আবু সাঈদ, বেরোবি প্রতিনিধি : বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের এক নেত্রী বিশ্ববিদ্যালয়ের আরেক শিক্ষার্থীকে মামলার হুমকি দিয়েছেন।শাখা ছাত্রদলের ছাত্রী বিষয়ক সম্পাদক আসমা আক্তার খুশি ফেইসবুকের এক মন্তব্যের জেরে নাইমুর রহমান নামের এক শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে মামলা দেয়ার হুমকি দেন।

জানা যায়, গত সোমবার বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ব্রাকসু) নির্বাচনের সকল কার্যক্রম স্থগিত ঘোষণা করে ব্রাকসু নির্বাচন কমিশন। ভোটার তালিকায় বিভিন্ন ত্রুটি ও অসঙ্গতি পাওয়ায় কমিশন এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে।এর প্রতিবাদে প্রশাসনিক ভবনের উত্তর গেটে শিক্ষার্থীরা তালা দিতে চাইলে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাখা ছাত্রদলের নেতৃবৃন্দ সেখানে বাধা প্রদান করে। সেখানে শিক্ষার্থীদের সাথে বাকবিতন্ডায় জড়ায় ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। ছাত্রদলের এই কাজের সমালোচনা করে নাইমুর রহমান নামে একজন পোস্ট করে। সেই পোস্টের কমেন্টে বেরোবি ছাত্রদলের নারী বিষয়ক সম্পাদক আসমা আনাম খুশী মামলা দেওয়ার হুমকি দেন।
যে ফেসবুক পোস্টের কারণে মামলার হুমকি দেওয়া হয়েছে সেই পোস্টে নাইমুর লিখেন,”আমার বিশ্ববিদ্যালয়ে আমি তালা দিবো নাকি গেইট খুলবো, সেটা দেখবে প্রশাসন, ফেইস করবে প্রশাসন। কিন্তু ছাত্রদল কোন চ্যাটের বাল?প্রশাসন আর শিক্ষার্থীদের মাঝে তৃতীয় পক্ষ কোন হনু?”
এ বিষয়ে মামলার হুমকি পাওয়া শিক্ষার্থী নাইমুর বলেন,”গতকাল নির্বাচন কমিশন অনির্দিষ্টকালের জন্য ব্রাকসু নির্বাচন স্থগিত করার পর কিছু শিক্ষার্থী প্রশাসনের প্রতি ক্ষুব্ধ হয়ে প্রশাসনিক ভবনে তালা দিতে গেলে ছাত্রদলের পোলাপাইন তাদের বাঁধা দেয়। তাদের এই বাঁধা দেওয়ার সাথে ১১ জুলাই ছাত্রলীগের বাঁধা দেওয়ার মধ্যে আমি কোনোভাবেই কোনো তফাৎ খুঁজে পাই নাই। ঘটনার হয়তো ভিন্নতা থাকতে পারে কিন্তু প্যাটার্নটা ঠিক একই।মূলত আমার স্ট্যান্ড হলো কোনো শিক্ষার্থী প্রশাসনের এগেইনস্টে স্ট্রাইক করলে প্রশাসন ঐ শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলবে, প্রশাসন বিষয়টি হ্যান্ডেল করবে। কিন্তু প্রশাসনের রূপ নিয়ে থার্ড পার্টি হয়ে শিক্ষার্থীদের আটকানোর ছাত্রদল কে? তারা কি কোনো শিক্ষার্থীকে সরাসরি বাঁধা দেওয়ার এখতিয়ার রাখে?”
তিনি আরও বলেন, “অতীত থেকে শিক্ষা না নিয়ে কেউ যদি ছাত্রলীগের দেখানো পথ অনুসরণ করে কারো বাকস্বাধীনতা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে তাহলে তাদের পরিণতি আরো ভয়াবহ হবে! ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের পরে এসেও কেউ যদি পুরোনো স্টাইলের রাজনীতি করতে চায় তাহলে তাকে ডেফিনিটলি মুখ থুবড়ে পড়তে হবে। এখনকার রাজনীতি হতে হবে পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ আর সহমর্মিতার। ২৪ এর গণঅভ্যুত্থানের সহযোগি শক্তি ছাত্রদলের কাছে একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আমার অনুরোধ তারা শিক্ষার্থীদের পালস বোঝার চেষ্টা করুক, কারো বাকস্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ না করে সমালোচনাগুলো পজিটিভলি গ্রহণ করে নিজেদের পুরোনো ধাঁচের রাজনীতি পরিহার করে শিক্ষার্থীদের জন্য নিবেদিত প্রাণ হিসেবে কাজ করুক।”
মামলার হুমকির বিষয়ে আসমা খাতুন খুশি বলেন, “আমি কাউকে মামলার হুমকি দেয়নি।উনি আমার দল এবং আমাদের নিয়ে খারাপ কথা বলেছে।এতে আমার খারাপ লেগেছে। তাই আমি মানহানি মামলা করবো বলেছি”।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।



