জুমবাংলা ডেস্ক : নড়াইলের লোহাগড়া পৌর শহরের গোপিনাথপুর এলাকায় গৃহশিক্ষক কর্তৃক শিক্ষার্থীর অন্তরঙ্গ মুহূর্তের দৃশ্য মোবাইল ফোনে ধারণ করে বিয়ে ভেঙে দেওয়ার অভিযোগে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত গৃহশিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানাকে (৩০) গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠিয়েছে।
জানা গেছে, লোহাগড়া পৌরসভার গোপীনাথপুর এলাকার মৃত মনিরুজ্জামান শেখের ছেলে গৃহ শিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানা ২০১৯ সালে একই এলাকার একজন শিক্ষার্থীকে প্রাইভেট পড়ানোর ছলে ও বিভিন্ন প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করে এবং ধর্ষণের চিত্র মোবাইল ফোনে ধারণ করেন। পরে ওই ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে ওই ছাত্রীকে একাধিকবার ধর্ষণসহ স্বর্ণের গহনা বিক্রি করে বিভিন্ন সময় টাকা হাতিয়ে নেয়। পরবর্তীতে পারিবারিক সম্মতিতে ওই শিক্ষার্থীর গত রোববার বিয়ের দিন ধার্য্য করা হয়।
বিয়ের আগের দিন গত শনিবার গভীর রাতে অভিযুক্ত গৃহ শিক্ষক আশরাফুজ্জামান রানা পাত্র পক্ষর বাড়িতে উপস্থিত হয়ে ধর্ষণের ধারনকৃত ভিডিও প্রদর্শন করলে পাত্র পক্ষ কৌশলে আশরাফুজ্জামান রানাকে আটকিয়ে রেখে লোহাগড়া থানা পুলিশকে খবর দেয়। খবর পেয়ে রাতেই লোহাগড়া থানা পুলিশ আশরাফুজ্জামান রানাকে আটক করে। এ ঘটনায় শিক্ষার্থীর পিতা বাদী হয়ে সোমবার সকালে অভিযুক্ত রানাকে আসামী করে লোহাগড়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
লোহাগড়া থানার এস আই ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম জানান, সোমবার বিকালে অভিযুক্ত আশরাফুজ্জামান রানা নড়াইলের সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদার আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি প্রদান করেছে। ভিকটিমের ডাক্তারি পরীক্ষা নড়াইল সদর হাসপাতালে সম্পন্ন হয়েছে। আদালতে ভিকটিম ২২ধারায় জাবানবন্দী প্রদান করেছেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।