ঘটনা ভারতের ছত্তীসগড়ের বলোদাবাজার জেলার। পুলিশ জানিয়েছে, মারদা গ্রামের একটি সরকারি স্কুলে এমন নৈরাজ্যের পরিবেশ তৈরি হয়েছিল ঘুণাক্ষরেও টের পাননি কেউ। এমনকি পরিবারকেও কিছু জানাননি ছাত্রীরা। সব দেখেও মুখে কুলুপ এঁটেছিলেন স্কুল কর্তৃপক্ষ। দেবেন্দ্র খুন্তে (৩৮), রামেশ্বর প্রসাদ সাহু (৩৯), মহেশ কুমার বর্মা (৩৭), দীনেশ কুমার সাহু (৩৮), চরণ দাস বাঘেল (৩৯), রূপনারায়ণ সাহু (৩৬) ও লালরাম বারভানশকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
স্কুলেরই এক ছাত্রী পুলিশকে জানিয়েছেন, গত বছর জানুয়ারিতে নবম ও দশম শ্রেণির ছাত্রীদের পিকনিকে নিয়ে গিয়েছিলেন এই শিক্ষকরা। সেখানে তাদের দেখে অশালীন অঙ্গভঙ্গি করেন কয়েকজন। অভিযোগ, দু’জন ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে গিয়ে শ্লীলতাহানিও করা হয়। পরে ভয় দেখিয়ে তাদের মুখ বন্ধ করে দেন শিক্ষকরা।
এখানেই শেষ নয়। ছাত্রীদের অভিযোগ, যখন তখন টিচার্স রুমে ডেকে পাঠিয়ে তাদের শারীরিকভাবে হেনস্থা করা হত। শিক্ষক রামেশ্বর প্রসাদ প্রায়ই অশালীন মেসেজ পাঠাতেন ছাত্রীদের। হুমকি দিতেন পরিবারকে কিছু জানালে পরীক্ষায় ফেল করিয়ে দেবেন। গত বৃহস্পতিবার নবম শ্রেণিরই দু’জন ছাত্রী লুকিয়ে পুলিশের কাছে গিয়ে ওই শিক্ষকদের নামে অভিযোগ জানান। তাদের অভিযোগের ভিত্তিতেই শনিবার সকালে সাতজন শিক্ষককে গ্রেফতার করে পুলিশ। সূত্র : দ্য ওয়াল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।