ছায়াপথ অতিক্রম করে মহাশূন্যে চলে যাওয়া বেশ সম্ভব। তবে সেখানে কিছু কিন্তু–যদি আছে। প্রথমে একটা ধারণা নিই। কত বড় আমাদের গ্যালাক্সি, যাকে বলি ছায়াপথ বা আকাশগঙ্গা? এটা এত বড় যে এর মধ্যে প্রায় ৩০০ বিলিয়ন বা ৩০ হাজার কোটি নক্ষত্র আছে। নক্ষত্র মানে এক একটা সূর্য।
কোনো মহাকাশযানে এই ছায়াপথ পার হয়ে মহাবিশ্বের অন্য কোনো গ্যালাক্সিতে যেতে সময় লাগবে প্রায় ২ লাখ আলোকবর্ষ। কোনো মানুষ যদি রওনা দেয়, তাহলে তার আয়ু তো শেষ হবেই, তার নাতি–পুতির কয়েক হাজার স্তর পর্যন্ত থাকবে কি না সন্দেহ। তারপর আছে গতির সমস্যা।
ছায়াপথ পার হতে অতিক্রমণ–বেগ (এসকেপ ভেলোসিটি) লাগবে সেকেন্ডে ৫৫০ কিলোমিটার। এর মাত্র অর্ধেক গতিতে সূর্য আমাদের ছায়াপথের কক্ষপথে ঘুরছে। ভয়েজার–১–এর গতি সেকেন্ডে মাত্র ১৭ কিলোমিটার। তাই ছায়াপথ পার হয়ে যাওয়া সহজ নয়। ভয়েজার–১ অবশ্য সৌরজগতের সীমা অতিক্রম করেছে।
কিন্তু সেটা প্রায় ৪৫০ কোটি বছর ধরে ছায়াপথের সীমার মধ্যেই এর কেন্দ্র প্রদক্ষিণ করবে। এর মধ্যে হয়তো অ্যান্ড্রোমিডা গ্যালাক্সির সঙ্গে আমাদের ছায়াপথের সংঘর্ষ হবে। অবশ্য তত দিন পর্যন্ত ভয়েজার–১ টিকবে কি না, সেটাও একটা ব্যাপার। তাহলে মূল কথা দাঁড়াল, ছায়াপথ অতিক্রম করে যাওয়া তাত্ত্বিকভাবে হয়তো সম্ভব। কিন্তু বাস্তবে খুব কঠিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।