জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের বদৌলোতে এ বিশ্ব কিছু বিরল মুহূর্তের সাক্ষী হয়েছে। জেমস ওয়েব টেলিস্কোপ এখনো কাজ করে যাচ্ছে। তবে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ এখনো মহাবিশ্বের অসাধারণ ছবি তুলতে সক্ষম হচ্ছে।
সাম্প্রতিক সময়ে নাসা এবং ইউরোপিয়ান স্পেস এজেন্সি হাবল টেলিস্কোপ এর তোলা একটি ছবি পাবলিশ করেছে। Arp-Madore 417-391 সিস্টেমের মধ্যে দুটি ছায়াপথ অবস্থান করছে।
সম্প্রতি এ দুটি ছায়াপথ নিজেদের মধ্যে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। এ বিরল অদৃশ্য ধারণ করতে সক্ষম হয়েছে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ। এ দুটি ছায়াপথ পৃথিবী থেকে ৬৭০ মিলিয়ন আলোকবর্ষ দূরে অবস্থিত।
সংঘর্ষের পর সিস্টেমের মধ্যে একটি গোলাকার রিং এর আবির্ভাব হয়েছে। মূলত দুটি ছায়াপথের মূল অবকাঠামো অত্যন্ত নিকটে অবস্থান করায় গোলাকার রিং এর আবির্ভাব ঘটেছে।
সংঘর্ষের পরেই দুটি ছায়াপথকে কেন্দ্র করে সবকয়টি তারা একটি সার্কেল গঠন করে। হাবল স্পেস টেলিস্কোপের দুর্দান্ত ক্যামেরা অনেকদিন ধরেই ওই সিস্টেমকে পর্যবেক্ষণ করেছে।
দীর্ঘদিন ধরেই এই বিস্ময়কর দুটি ছায়াপথ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অনুসন্ধান করছে হাবল টেলিস্কোপ। হাবল টেলিস্কোপ এ সিস্টেম সম্পর্কে অনেক তথ্য সংগ্রহ করেছে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে বিজ্ঞানীরা মহাকাশ পর্যবেক্ষণের ক্ষেত্রে নতুন পদ্ধতি অবলম্বন করছে।
এ পদ্ধতি অনুসারে পূর্বে মহাবিশ্বের যেসব বস্তু হাবল টেলিস্কোপ এর মাধ্যমে পর্যবেক্ষণ করা হয়েছিল সেখানে জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপকেও পাঠানো হচ্ছে। পরবর্তী সময়ে জেমস ওয়েব মহাবিশ্বের কোন কোন অঞ্চলে যাবে এবং কী কী বস্তু পর্যবেক্ষণ করবে তার তালিকা তৈরি করা হচ্ছে।
তবে হাবল স্পেস টেলিস্কোপ সম্পর্কে কিছু দু:সংবাদ আছে। এ টেলিস্কোপে কিছু সিস্টেম সংক্রান্ত সমস্যা ধরা পড়েছে। সম্ভবত ২০৩০ সালের পর এটি পৃথিবীর উপর আছড়ে পড়বে।
হাবল স্পেস টেলিস্কোপ যেন নাসাকে আরো অনেক দিন পর্যন্ত সার্ভিস দিতে পারে সে ব্যাপারে কাজ করা হচ্ছে। নাসা চায় ছায়াপথের সংঘর্ষের দৃশ্য বাদ দিয়েও পরবর্তী সময়ে হাবল টেলিস্কোপের মাধ্যমে আরো গুরুত্বপূর্ণ তথ্য যেন সংগ্রহ করা সম্ভব হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।