জুমবাংলা ডেস্ক : বগুড়ায় ছেলেকে বাসে তুলে দিয়ে চলন্ত ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মঞ্জু বেগম (৩৫) নামে এক নারী আত্মহত্যা করেছেন। শুক্রবার (১১ জুন) বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে বগুড়া শহরের তিন মাথা রেলগেট এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
নিহত মঞ্জু বেগম বগুড়ার দুপচাঁচিয়া উপজেলার ভাটাহার গ্রামের জসিমের স্ত্রী ও গাইবান্ধা জেলা সাঘাটা উপজেলা বোনারপাড়া এলাকার শ্যামপুর গ্রামের মৃত শামসুদ্দিনের মেয়ে।
নিহতের স্বামী জসিম ও ছেলে মাহবুব জানায়, ১২ দিন আগে নিহত মঞ্জু বেগম তার ছেলেকে সঙ্গে নিয়ে শ্যামপুর গ্রামের বাড়িতে বেড়াতে যায়। ১২ দিন পর শুক্রবার সকালে ছেলেকে নিয়ে মঞ্জু বেগম মায়ের বাড়ি থেকে স্বামীর বাড়ির উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। বগুড়া শহরের সাতমাথা এসে মঞ্জু বেগম তার ছেলেকে বাসে তুলে দেয় দুপচাঁচিয়ায় যাওয়ার জন্য।
ছেলে বাড়িতে পৌঁছার পর তার বাবাকে বিষয়টি জানায়। জসিম ও তার ছেলে মাহবুব আবার বগুড়া শহরের সাতমাথা এলাকায় আসেন। চারমাথায় এসে মঞ্জু বেগমকে খুঁজতে থাকেন। বিকেল ৫টার দিকে জসিম ও তার ছেলে মাহবুব তিনমাথা রেলগেট এলাকায় এসে দেখতে পান মঞ্জু বেগম ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেছেন।
তিনমাথা রেলগেট এলাকার ঘটনা প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বিকাল ৪টার পর ওই নারী রেললাইনের আশপাশ দিয়ে ঘোরাফেরা করছিলেন। এ সময় ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস তিনমাথা রেলগেট এলাকায় পৌঁছালে তিনি ট্রেনের নিচে ঝাঁপ দিয়ে আত্মহত্যা করেন।
বগুড়া রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির এসআই মোস্তাফিজ জানান, ঢাকা থেকে রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেসের নিচে ঝাঁপ দিয়ে মঞ্জু বেগম আত্মহত্যা করেছেন। নিহতের মরদেহ সন্ধ্যা ৬টার দিকে উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।