সকালের কোমল রোদ্দুরে দাঁড়িয়ে আয়নায় নিজের প্রতিবিম্ব দেখছিলেন রিয়াদ। গালে, থুতনিতে কিছুটা হলেও দাড়ির ছোঁয়া। মনে পড়ে গেল মসজিদের ইমাম সাহেবের কথা, বাবার আদেশের মতো কড়া সুরে বলা সেই বাক্যগুলো: “দাড়ি রাখা তো ফরজ, বেটা! এক বিঘত রাখবে।” কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের ট্রেন্ড, অফিসের ড্রেস কোড, আর বন্ধুদের টিটকারির চাপে প্রশ্ন জাগে – আদৌ কি দাড়ি রাখা বাধ্যতামূলক? এটা কি শুধু ফ্যাশন, না ঈমানের অঙ্গ? হাজারো তরুণ মুসলিমের মতো রিয়াদের মনের গভীরেও একই দ্বিধা দোলা দিচ্ছে। এই লেখাটি সেইসব কনফিউজড হৃদয়ের জন্য, যারা জানতে চায় জানুন ছেলেদের দাড়ি রাখার ইসলামিক নিয়ম নিয়ে স্পষ্ট, প্রামাণিক ও হৃদয়গ্রাহী দিকনির্দেশনা।
Table of Contents
ইসলামী শরীয়তে দাড়ির মর্যাদা: ফরজ, ওয়াজিব নাকি সুন্নত? বিস্তারিত জানুন ছেলেদের দাড়ি রাখার ইসলামিক নিয়ম
দাড়ি নিয়ে ইসলামের অবস্থান কতটুকু কঠোর? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে হলে ফিরে যেতে হবে কুরআন-হাদিসের প্রামাণিক উৎসে। পবিত্র কুরআনে সরাসরি দাড়ির নির্দেশনা না থাকলেও, হাদিসের অসংখ্য বর্ণনায় দাড়ি রাখার বিষয়টি স্পষ্টভাবে ফুটে উঠেছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) নিজে যেমন পুরো দাড়ি রাখতেন, তেমনি সাহাবায়ে কেরামকেও দাড়ি লম্বা করতে এবং গোঁফ ছাঁটতে আদেশ দিয়েছেন। বুখারী শরীফের হাদিস নং ৫৮৯২-তে রাসূল (সা.) বলেছেন:
“গোঁফ খাটো করো এবং দাড়ি লম্বা করো। মুশরিকদের বিপরীত হও।”
এই হাদিসটিই দাড়ি রাখার বিধানের মূল ভিত্তি। ইসলামিক স্কলারদের বিশাল অংশ এটিকে ফরজ বা ওয়াজিব (অত্যাবশ্যকীয় কর্তব্য) হিসেবে ব্যাখ্যা করেন। কেন? কারণ এখানে শুধু দাড়ি রাখার কথা বলা হয়নি, বরং অন্যের থেকে ভিন্ন হওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামিক স্টাডিজ বিভাগের প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আব্দুল্লাহ-জামান ব্যাখ্যা করেন: “রাসূল (সা.)-এর প্রতিটি হুকুম মুমিনের জন্য পালনীয়। দাড়ি রাখার আদেশ বারবার এসেছে এবং তা পরিপূর্ণভাবে পালন করা গৌরবের বিষয়। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে যুবসমাজের সামনে চ্যালেঞ্জ থাকলেও, ঈমানদার হিসেবে আমাদেরকে শরীয়তের বিধানকে প্রাধান্য দিতেই হবে।”
দাড়ি না রাখার পরিণতি কী?
ইসলামিক স্কলারদের মতে, ইচ্ছাকৃতভাবে দাড়ি কামানো বা একেবারে ছোট করে ফেলা গুনাহের কাজ। এটি রাসূল (সা.)-এর সুন্নতের স্পষ্ট বিরোধিতা। মাজহাবভেদে মতপার্থক্য থাকলেও (কিছু হানাফি আলেম একে মাকরূহে তানজিহি বলেন), বাংলাদেশের প্রধান ধারা হলো – দাড়ি রাখা ফরজ। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশের প্রকাশনা দাড়ি ও ইসলাম বইটিতে এটিকে ‘ঈমানের নিদর্শন’ হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।
ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট: মুসলিম আইডেন্টিটির প্রতীক
মুঘল আমল থেকে শুরু করে ব্রিটিশ শাসন পর্যন্ত দাড়ি ছিল মুসলিম পুরুষের ধর্মীয় ও সাংস্কৃতিক পরিচয়ের অবিচ্ছেদ্য অংশ। সৈয়দ আহমদ ব্রেলভী, হাজী শরীয়তুল্লাহ, এমনকি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানেরও যুবক বয়সের ছবিতে দাড়ি দেখা যায়। বর্তমানে পশ্চিমা সংস্কৃতির প্রভাবে দাড়ি রাখার প্রবণতা কমলেও, শহুরে এলাকায় ধর্মীয় সচেতনতা বাড়ার সাথে সাথে আবারও দাড়ি রাখার হার বাড়ছে।
দাড়ি রাখার সঠিক নিয়ম: কতটুকু লম্বা? কাটা যাবে কী?
এবার আসা যাক বাস্তব প্রয়োগে। শুধু দাড়ি রাখলেই কি চলবে? না, ইসলামে দাড়ির আকৃতি ও দৈর্ঘ্যেরও সুনির্দিষ্ট নির্দেশনা রয়েছে। রাসূলুল্লাহ (সা.) দাড়ি “এক মুষ্টি” বা “এক বিঘত” পরিমাণ রাখতে বলেছেন। কিন্তু সমস্যা হলো, আধুনিক পরিমাপে এক বিঘত কতটুকু?
দাড়ির আদর্শ দৈর্ঘ্য:
- হানাফি মাজহাব: থুতনি থেকে নিচে কমপক্ষে এক মুষ্টি পরিমাণ (প্রায় ৪ আঙ্গুল বা ৪ সেন্টিমিটার) দাড়ি রাখা ফরজ। এর চেয়ে কম করা বা মুণ্ডানো নিষিদ্ধ।
- শাফেয়ী, মালিকি, হাম্বলি মাজহাব: দাড়ি লম্বা রাখাকে সুন্নত মনে করা হয়, তবে এক মুষ্টির কম করাকে মাকরূহ (অপছন্দনীয়) বলা হয়।
কোন অংশ কাটা যাবে না?
- গালের দাড়ি: ইসলামে গালের দাড়ি কাটা বা ট্রিম করা নিষিদ্ধ। দাড়ি বলতে গোটা মুখমণ্ডল (চিবুক ও গাল) ঢাকা অংশকে বোঝায়।
- গোঁফ: গোঁফ এমনভাবে ছাঁটতে হবে যাতে উপরের ঠোঁট দৃষ্টিগোচর হয়। হাদিসে গোঁফ ছাঁটতে বলা হয়েছে (সহীহ মুসলিম: ৫০১)।
- ট্রিমিং বা শেইপিং: দাড়িকে আকর্ষণীয় করে তোলার জন্য ট্রিম করা বা শেইপিং করা জায়েয নয় যদি তা দাড়ির প্রাকৃতিক বৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করে বা রাসূল (সা.)-এর নির্দেশিত পদ্ধতির বাইরে যায়।
বাংলাদেশি প্রেক্ষাপটে চ্যালেঞ্জ:
ঢাকার কর্পোরেট অফিসে কাজ করা আহসানুল হক বলেন, “প্রথমে অনেক বাঁধা এসেছে। HR ডিপার্টমেন্ট বলেছিল, ‘লুক ক্লিন রাখুন’। কিন্তু আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশনের বই থেকে প্রিন্ট আউট নিয়ে গেলাম। শেষ পর্যন্ত তাঁরা আমার ধর্মীয় অধিকার মেনে নিলেন।” তার মতো অনেক তরুণ পেশাদারই এখন পরিপূর্ণ দাড়ি নিয়ে আত্মবিশ্বাসের সাথে কাজ করছেন।
দাড়ি না রাখার যুক্তি ও তার জবাব: সমকালীন দ্বিধা-দ্বন্দ্বের নিরসন
দাড়ি রাখার ইসলামিক বিধান নিয়ে অনেকের মনেই নানা প্রশ্ন ও সংশয় কাজ করে। আসুন, কিছু কমন যুক্তি ও তার ইসলামিক জবাব জেনে নিই:
যুক্তি ১: “দাড়ি তো স্রেফ সাংস্কৃতিক প্রথা, ফরজ নয়!”
জবাব: না। দাড়ি রাখার নির্দেশ সরাসরি রাসূল (সা.) থেকে বর্ণিত হাদিস দ্বারা প্রমাণিত। এটি নিছক আরব সংস্কৃতি নয়; বরং শরয়ী হুকুম। সাহাবায়ে কেরাম বিভিন্ন সংস্কৃতির মানুষ ছিলেন, কিন্তু সকলেই দাড়ি রেখেছেন।
যুক্তি ২: “চাকরি বা পড়াশোনায় সমস্যা হয়!”
জবাব: ধর্মীয় স্বাধীনতা একটি মৌলিক অধিকার। বাংলাদেশের সংবিধানও এটা নিশ্চিত করে। অনেক প্রতিষ্ঠান এখন ধর্মীয় পরিচয়ের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। প্রয়োজনে ইসলামিক ফাউন্ডেশনের সহায়তা নেওয়া যেতে পারে। সত্যিকার ঈমানদার ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা রাখেন – রিযিকের মালিক আল্লাহ।
যুক্তি ৩: “অনেক আলেমও তো ছোট দাড়ি রাখেন!”
জবাব: কিছু আলেম দুর্বল হাদিসের ভিত্তিতে দাড়ি এক মুষ্টির কম রাখাকে জায়েয বললেও, বিশুদ্ধ হাদিস ও প্রধান আলেমদের মত হলো – দাড়ি পূর্ণ রাখা ফরজ। আমরা যেন দুর্বল মতের পেছনে না ছুটে প্রমাণিত বিধানের অনুসরণ করি।
দৈনন্দিন জীবনে দাড়ি রাখার ব্যবহারিক টিপস ও পরিচর্যা
দাড়ি রাখা ফরজ, কিন্তু তা যেন পরিচ্ছন্ন ও সুন্দর দেখায় – সেদিকেও খেয়াল রাখা জরুরি। রাসূল (সা.) ছিলেন পরিপাটি ও সুগন্ধিপ্রিয়।
- পরিচ্ছন্নতা: দাড়ি প্রতিদিন ধুয়ে পরিষ্কার রাখুন। তেল বা ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন শুষ্কতা রোধে।
- আকার-আকৃতি: দাড়ি যেন বিশৃঙ্খল না থাকে। প্রয়োজনবোধে কাঁচি দিয়ে সমান করে নেওয়া জায়েয, তবে শেভিং মেশিন বা রেজর ব্যবহার করে মূল দাড়ি কাটা হারাম।
- সুগন্ধি: হালাল সুগন্ধি (আতর বা পারফিউম) ব্যবহার করুন। রাসূল (সা.) সুগন্ধি ব্যবহারে উৎসাহ দিয়েছেন।
- খাদ্যাভ্যাস: দাড়ি ঘন ও সুস্থ রাখতে ভিটামিন-বি, বায়োটিন সমৃদ্ধ খাবার (ডিম, বাদাম, মাছ) খান।
চট্টগ্রামের ফ্যাশন ডিজাইনার শাহরিয়ার ইসলাম বলেন, “আধুনিক ফ্যাশনের সাথে ইসলামিক আইডেন্টিটি মেলাতে আমরা এখন ‘দাড়ি-ফ্রেন্ডলি’ লুক ডিজাইন করি। একটি সুগঠিত দাড়ি ব্যক্তিত্বকে আরও মর্যাদাশীল করে তোলে।
সমাজে দাড়ি নিয়ে প্রচলিত ভুল ধারণা ও তার খণ্ডন
দাড়ি রাখা নিয়ে আমাদের সমাজে কিছু কুসংস্কার ও ভুল ধারণা প্রচলিত আছে। আসুন সেগুলো দূর করা যাক:
- ভুল ধারণা: “দাড়ি রাখলে ব্যাকটেরিয়া হয়!”
সত্য: বৈজ্ঞানিকভাবে ভুল। পরিচ্ছন্ন দাড়ি ত্বকের জন্য ক্ষতিকর নয়। বরং কিছু গবেষণায় বলা হয়, দাড়ি UV রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করে। - ভুল ধারণা: “দাড়ি শুধু মাদ্রাসার ছাত্র বা বয়স্কদের জন্য!”
সত্য: দাড়ি রাখা প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলিম পুরুষের উপর ফরজ। বয়স, পেশা বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান এখানে বিবেচ্য নয়। - ভুল ধারণা: “ট্রিম করলে দাড়ি রাখার সওয়াব পাওয়া যাবে!”
সত্য: দাড়ি ফরজ হিসেবে রাখলেই পূর্ণ সওয়াব। শরীয়তের সীমা লঙ্ঘন করে ট্রিম করলে তা গুনাহের কারণ হতে পারে।
জেনে রাখুন-
দাড়ি রাখা কি ফরজ নাকি সুন্নত?
ইসলামিক স্কলারদের বিশাল অংশের মতে, পুরুষের জন্য দাড়ি রাখা ফরজ বা ওয়াজিব (অত্যাবশ্যকীয়)। এটি রাসূলুল্লাহ (সা.)-এর স্পষ্ট নির্দেশ এবং মুমিনের পরিচয়। দাড়ি না রাখা বা একেবারে কামিয়ে ফেলা গুরুতর গুনাহ। বিশদ জানতে বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলেম ড. মুহাম্মাদ মুজীবুর রহমানের ইসলামে দাড়ির বিধান গ্রন্থটি পড়ুন।
দাড়ি কতটুকু লম্বা রাখতে হবে?
দাড়ি কমপক্ষে এক মুষ্টি বা এক বিঘত (প্রায় ৪ আঙ্গুল বা ৪ সেন্টিমিটার) লম্বা রাখা ফরজ। গালের দাড়ি কাটা বা শেইপ করা সম্পূর্ণ নিষেধ। দাড়ি পরিপূর্ণ রাখাই শরীয়তের নির্দেশ। হাদিসে দাড়ি লম্বা করতে এবং গোঁফ খাটো করতে বলা হয়েছে।
দাড়ি ট্রিম করলে কি গুনাহ হবে?
হ্যাঁ, দাড়ি যদি এক বিঘতের কম করে ফেলা হয় বা গালের অংশ ট্রিম করা হয়, তাহলে তা গুনাহ। দাড়ির প্রাকৃতিক বৃদ্ধিকে ক্ষতিগ্রস্ত করা বা রাসূল (সা.)-এর নির্দেশিত পদ্ধতির বাইরে গিয়ে শেইপিং করা ইসলামে অনুমোদিত নয়। শুধুমাত্র দাড়ির প্রান্ত অপরিচ্ছন্ন বা অগোছালো হলে সামান্য কাঁচি দিয়ে সমান করা যেতে পারে।
চাকরির জন্য দাড়ি কাটতে বাধ্য করলে কী করব?
বাংলাদেশে ধর্মীয় স্বাধীনতা সংবিধান দ্বারা সংরক্ষিত। ইসলামিক ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ বা স্থানীয় আলেমের মাধ্যমে প্রতিষ্ঠান কর্তৃপক্ষের সাথে আলোচনা করুন। প্রয়োজন হলে লিখিতভাবে ধর্মীয় বাধ্যবোধকতার কথা জানান। অনেক প্রতিষ্ঠানই ধর্মীয় বিশ্বাসের প্রতি শ্রদ্ধা দেখায়। মনে রাখবেন, রিযিকদাতা আল্লাহ।
দাড়ি ঘন ও সুন্দর রাখার উপায় কী?
দাড়ি সুস্থ রাখতে নিয়মিত পরিষ্কার করুন, তেল বা বিওটিন সমৃদ্ধ ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। পুষ্টিকর খাবার (প্রোটিন, ভিটামিন ই, বি-ভিটামিন) খান। ধৈর্য ধরুন – দাড়ি ঘন হতে সময় লাগে। রাসূল (সা.)-এর সুন্নত হলো দাড়ি পরিপূর্ণ ও পরিচ্ছন্ন রাখা।
দাড়ি রাখলে কি নামাজ বা ইবাদত কবুল হয় না?
এটি সম্পূর্ণ ভুল ধারণা। দাড়ি না রাখা একটি গুনাহ হলেও, তা অন্যান্য ইবাদত (নামাজ, রোজা) কবুল না হওয়ার কারণ নয়। তবে গুনাহগার ব্যক্তি আল্লাহর রহমত থেকে দূরে থাকতে পারে। তাই গুনাহ ত্যাগ করে ফরজ আদায়ের মাধ্যমে আল্লাহর নৈকট্য কামনা করা উচিত।
দাড়ি শুধু মুখের লোম নয়, ঈমানের স্বাক্ষর। জানুন ছেলেদের দাড়ি রাখার ইসলামিক নিয়ম – এই সহজ কিন্তু গভীর সত্যটি আজও হাজারো তরুণ হৃদয়ে আলোড়ন তোলে। এটি কোনো ফ্যাশন স্টেটমেন্ট নয়, বরং আল্লাহ ও তাঁর রাসূলের নির্দেশের সামনে নতিস্বীকার। সমাজের চোখ রাঙানি, অফিসের নিয়মকানুন কিংবা বন্ধুদের বিদ্রূপ – কোনোটাই যেন আপনার ঈমানের দৃঢ়তাকে দুর্বল না করে। দাড়ি রাখা মানে শুধু দৈহিক পরিবর্তন নয়; এটা অন্তরের আত্মসমর্পণ, আল্লাহর হুকুমের প্রতি আনুগত্যের নীরব ঘোষণা। আপনার সেই দাড়িই হয়ে উঠুক ঈমানের দীপ্তিমান আলামত, আত্মবিশ্বাসের প্রতীক। আজই সিদ্ধান্ত নিন – আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য দাড়ি রাখুন পূর্ণাঙ্গভাবে, সুন্নত মোতাবেক। আল্লাহর রাস্তায় এক পা এগিয়ে দেওয়ার এই সুযোগ হাতছাড়া করবেন না!
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।