Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home ‘ছেলেধরা’ মিঠুর দখলে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটা, বদলি-নিয়োগও
    অপরাধ-দুর্নীতি জাতীয়

    ‘ছেলেধরা’ মিঠুর দখলে স্বাস্থ্য খাতের কেনাকাটা, বদলি-নিয়োগও

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কJune 23, 2020Updated:June 23, 20205 Mins Read
    ছবি সংগৃহীত
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : হাওয়া ভবন থেকে মিন্টো রোড, মহাখালী থেকে সচিবালয়, মন্ত্রীর দপ্তর থেকে বাসা—যুগের কিংবা সরকারের বদল হলেও স্বাস্থ্য খাতে ঠিকাদারি সাম্রাজ্যের গডফাদার হয়েই আছেন মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠু। বিএনপি আমলে যেমন খোদ প্রধানমন্ত্রীর ছেলেকে ধরেছিলেন, তেমনি আওয়ামী লীগ আমলে একজন মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে বন্ধুত্ব ও সখ্য গড়ে স্বাস্থ্য খাতে যন্ত্রপাতি থেকে শুরু করে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কেনাকাটার নিয়ন্ত্রণ নিজের হাতেই রেখেছেন বছরের পর বছর ধরে। গা বাঁচাতে সাত বছর ধরে কিছুটা পর্দার আড়ালে থেকে চালাচ্ছেন নিজের গড়া সিন্ডিকেটের সব কিছু। থাকছেন কখনো দেশে, কখনো বা দেশের বাইরে। কেনাকাটার বাইরে স্বাস্থ্য খাতের সরকারি পর্যায়ে বদলি-নিয়োগেও রয়েছে তাঁর সমান নিয়ন্ত্রণ। নিজের সিন্ডিকেটের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রয়োজনীয় জায়গাগুলোতে বসানো এবং অপছন্দের লোকদের অন্যত্র বদলি করানোর কাজও নিয়মিত করে ফেলছেন নানা প্রভাব খাটিয়ে।

    এমনকি এখন পালিয়ে থেকেও সিন্ডিকেট নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় সব কিছুই চালিয়ে যাচ্ছেন। স্বাস্থ্য খাত সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সূত্র থেকে মিলেছে এমন তথ্য। গত ৩০ মে জনপ্রশাসনসচিবের কাছে লেখা এক চিঠিতে এই মিঠুসহ আরো বিভিন্ন পর্যায়ে স্বাস্থ্য খাতের দুর্নীতির বিভিন্ন তথ্য উপস্থাপন করেন কেন্দ্রীয় ঔষধাগারের (সিএমএসডি) সাবেক পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল মো. শহীদউল্লাহ।

    মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর একসময়ের ঘনিষ্ঠ এক সহযোগী নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, “মিঠুর এত প্রভাবের খুঁটির জোর কোথায়? সে কেন সব সময় ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকছে। এর জবাব মন্ত্রীদের ছেলেরাই মিঠুর ভরসা। তাই আমরা তাকে সব সময় ‘ছেলেধরা মিঠু’ বলেই ডাকতাম। কেবল স্বাস্থ্যমন্ত্রীই নন, আরো কয়েকজন মন্ত্রীর ছেলেদের সঙ্গে তার সখ্য রয়েছে বাণিজ্যিক কারণেই।”

    কিছুদিন আগে পর্যন্ত মিঠুর বিশ্বস্ত সহযোগী হিসেবে কাজ করা স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, রংপুরের গঙ্গাচড়ার মহিপুর এলাকার মিঠু বিএনপির আমলে তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর ছেলের নিয়ন্ত্রিত হাওয়া ভবনের সিন্ডিকেটে ঢুকে নিয়ন্ত্রণ শুরু করেন স্বাস্থ্য খাতের ঠিকাদারি। ওই সময় নামে-বেনামে তাঁর সরবরাহকৃত অনেক যন্ত্রপাতি এখনো সারা দেশের জেলা ও উপজেলা পর্যায়ে অকেজো অবস্থায় পড়ে আছে, যা কখনোই ব্যবহার করা যায়নি। অনেক হাসপাতালে তখন প্রয়োজন না থাকলেও কিংবা ব্যবহারের জনবল ও অবকাঠামো না থাকা সত্ত্বেও অনেক মূল্যবান যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হয়েছিল।

       

    ২০০৯ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় আসার পর কৌশলে একজন মন্ত্রীর ছেলের বন্ধু হয়ে মিঠু ঢুকে পড়েন মিন্টো রোডের বাসভবন থেকে শুরু করে মন্ত্রণালয়ে মন্ত্রীর একান্ত কামরায়। বলা হয়ে থাকে, ২০০৯ থেকে ২০১৩ সাল পর্যন্ত স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের কেনাকাটার সব কিছুই ছিল এই মিঠুর নিয়ন্ত্রণে। তৎকালীন ওই মন্ত্রীর ছেলের সঙ্গে মিলে প্রয়োজন থাকুক বা না থাকুক, কোথায় কোন যন্ত্রপাতি সরবরাহ করা হবে না হবে, প্রাক্কলন তৈরি থেকে শুরু করে বিল তৈরি পর্যন্ত সব কিছুই বেশির ভাগ সময় মন্ত্রীর মিন্টো রোডের বাসায় অথবা মিঠুর অফিসে ঠিকঠাক হতো। মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে তাঁর সুবিধাভোগী কর্মচারীরা ফাইল নিয়ে ছোটাছুটি করতেন ওই দুই জায়গায়। যাঁরা তাঁকে সহায়তা করতে বিলম্ব করতেন কিংবা অপারগতা দেখাতেন তাঁদেরই পড়তে হতো বদলি বা বিভিন্ন ধরনের বিভাগীয় শাস্তির কবলে। এসব প্রক্রিয়ায় দরপত্র তৈরি ও বিল প্রস্তুতের মাধ্যমে অনেক ক্ষেত্রেই বাজারমূল্যের চেয়ে কয়েক গুণ বেশি দর দেখিয়ে চলত কেনাকাটা। নিজের ১৫-১৬টি প্রতিষ্ঠানসহ সহযোগীদের নামে থাকা ঠিকাদারি লাইসেন্স দিয়ে চলত এসব দুর্নীতির উৎসব।

    ওই সূত্রগুলো জানায়, আওয়ামী লীগ সরকারের ওই মেয়াদ পার হওয়ার পর ২০১৪ সালের নতুন মেয়াদে সরকারের কার্যক্রম শুরু হলে দুদক সক্রিয় হয়ে ওঠে মিঠু সিন্ডিকেটের দুর্নীতি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে। একের পর এক মামলাসহ বিভিন্ন কার্যক্রম চলে। সাবেক এক মন্ত্রী এবং তাঁর ছেলেও জড়িয়েছিলেন দুদকের মামলায়; যদিও পরে ওই মন্ত্রী ও ছেলে মামলা থেকে রেহাই পেয়েছেন।

    আওয়ামী লীগের পরবর্তী মেয়াদে মন্ত্রণালয় ও অধিদপ্তরে সশরীরে যাতায়াত কমে যায় মিঠুর। এমনকি দুদকের মামলার পর গাঢাকা দেন তিনি। বেশির ভাগ সময় কাটে দেশের বাইরে। তবে ভেতরে ভেতরে নিজের সিন্ডিকেটের লোকজনকে যতটা সম্ভব সুরক্ষা দেওয়ার চেষ্টা অব্যাহত থাকে। পরে কিছুটা আড়ালে থেকেই সক্রিয় হয়ে ওঠেন মিঠু ও তাঁর সিন্ডিকেট। অভিযোগ রয়েছে, এ ক্ষেত্রেও বর্তমান একজন মন্ত্রীর ছেলেকে হাত করে সিন্ডিকেট সক্রিয় করতে সক্ষম হয়েছেন তিনি। আর এরপরই সিন্ডিকেটের ভেতরে থাকা বিভিন্ন ঠিকাদার, কর্মকর্তা-কর্মচারীর মধ্যে এক ধরনের ভাঙা-গড়া তৈরি হয়। পুরনো অনেককেই বাদ দিয়ে জায়গা দেওয়া হয় নতুন অনেককে। তাঁর রোষানলে পড়া পুরনো ঘনিষ্ঠ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের যেমন অনেকে বদলি হয়েছেন আবার অনেকে বিভিন্ন ধরনের শাস্তির আওতায় এসেছেন। শুধু কর্মকর্তা-কর্মচারীই নন, তাঁর পুরনো বিশ্বস্ত সহযোগী ঠিকাদারদের মধ্যে যাঁরা তাঁর বিরোধিতা করেছেন তাঁরাও বিভিন্ন ধরনের চাপের মধ্যে পড়েছেন। এ ক্ষেত্রে সম্প্রতি যে ১৪ ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানকে কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকে তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। এই তালিকার মধ্যে যেমন মিঠু বা তাঁর প্রতিষ্ঠানের নাম নেই, তেমনি যাঁদের নাম আছে তাঁদের অনেকেই আগে মিঠুর সঙ্গে ঘনিষ্ঠ বা একই সিন্ডিকেটে থাকলেও কোনো কারণে দূরত্ব তৈরি হয়েছে। যদিও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের চিঠিতে এই তালিকা দুদক থেকে দেওয়া হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

    মিঠুর ঘনিষ্ঠ এক সূত্র জানায়, মিঠু বর্তমানে আমেরিকা ও সিঙ্গাপুর যাতায়াত করে সেখান থেকেই বাংলাদেশে তাঁর সিন্ডিকেট পরিচালনা করছেন। তাঁর মূল প্রতিষ্ঠান লেক্সিকনের ঠিকানা পরিবর্তন করে গুলশানে নেওয়া হয়েছে। তাঁর এই অফিসের কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারীও পরিবর্তন হয়েছে এর মধ্যেই। সেই সঙ্গে তাঁর পুরনো যে প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ে নানা দুর্নীতির অভিযোগ ছিল, সেই প্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ করে দিয়ে অন্য নামে আরো কয়েকটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান চালু করেছেন বলেও ওই প্রক্রিয়ায় যুক্ত একাধিক সূত্র জানিয়েছে।

    স্বাস্থ্য খাতের একাধিক সূত্র জানায়, মিঠুর একসময়ের ‘ডান হাত’ বলে পরিচিত স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কর্মচারী আবজাল ও তাঁর স্ত্রীর সঙ্গে অবৈধ আয় ও সম্পদের ভাগাভাগি নিয়ে দ্বন্দ্ব শুরু হলে ফাঁস হয়ে যায় ওই দম্পতির প্রায় ১৫ হাজার কোটি টাকার মালিকানার বিষয়টি। দুদক ওই সূত্র ধরেই একে একে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন বিভিন্ন দপ্তরের ৪৭ জনের বিরুদ্ধে তদন্তকাজ শুরু করে। পরে পর্যায়ক্রমে কয়েকজনের বিরুদ্ধে মামলা কার্যক্রম শুরু হয়। কয়েকজন গ্রেফতার হন, কেউ কেউ বদলি হন।

    এসব বিষয়ে মোতাজ্জেরুল ইসলাম মিঠুর বক্তব্য নেওয়ার জন্য দুই দিন ধরে বিভিন্ন মাধ্যমে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও তাঁর সাড়া পাওয়া যায়নি। গতকাল সোমবার রাতেও একাধিকবার তাঁর ফোন নম্বরে কল করা হলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি।  সূত্র : কালের কণ্ঠ

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    Related Posts
    Logo

    প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে থাকছে যেসব জেলা

    October 1, 2025
    সহায়তা

    বাংলাদেশে রোহিঙ্গাদের সহায়তায় আরও ২৭ মিলিয়ন পাউন্ড দিচ্ছে যুক্তরাজ্য

    October 1, 2025

    জুলাই আন্দোলনে নিহত শিশুদের পরিবারকে সম্মাননা দেওয়ার সিদ্ধান্ত

    October 1, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Samsung One UI 8.5 Update

    Samsung’s One UI 8.5 Simplifies Flashlight Access

    Lauren Jauregui DWTS elimination

    Lauren Jauregui’s One-Word Reaction Echoes Anna Delvey

    NFL sideline altercation

    Robert Saleh Addresses Abuse Claims in Jaguars Altercation

    D4vd Celeste Rivas

    D4vd update: What do we know about the teen found in his Tesla?

    Homelander

    Marie’s Powers Surpass Homelander in Gen V Season 2

    Quince Fall Fashion Restock

    Quince Fall Fashion Restock Sells Out Popular Cashmere Styles

    US government shutdown

    Government shutdown news: Government shutdown voting fails in Senate

    Logo

    প্রস্তাবিত নতুন ২ বিভাগে থাকছে যেসব জেলা

    Tyreek Hill injury

    Tyreek Hill’s Season-Ending Injury Sparks Controversy After Domestic Abuse Allegations Surface

    Trump Harvard deal

    How Trump’s $500M Trade Schools Deal Settled Harvard Feud

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.