বিনোদন ডেস্ক: খুব ছোটবেলায় দর্শকদের নজর কেড়েছিলেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। ছোটবেলার সেই ‘ময়না পাখি’ বিজ্ঞাপনের মাধ্যমে ব্যাপক প্রশংসা কুড়িয়েছিলেন তিনি। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে সেই সংলাপের পেছনের গল্প জানালেন দীঘি।
অভিনেত্রী বলেন, সে সময় অনেক ছোট ছিলাম। তখনও কোনো অভিনয় করিনি আমি। আমার মনে আছে, আমাকে শুধু বলা হয়েছিল, বাবার সঙ্গে ফোনে যেভাবে কথা বলো, সেভাবেই এই ডায়লগটা বলো। আমি ঠিক সেভাবেই বলেছিলাম। আসলেই যখন মা আমাকে খুব বকা দিত, দেখা যেত রাতের বেলা বাবার কাছে এভাবেই নালিশ দিতাম।
গেল ঈদে মুক্তিপ্রাপ্ত ওয়েব সিরিজ ‘ফেরা’ নিয়ে দীঘি বলেন, ‘ফেরা’ নিয়ে আমাদের চিন্তা-ভাবনা অনেক বড় ছিল। গল্পটাই যেহেতু অনেক স্ট্রং। আমাদের আর্টিস্টও অনেক স্ট্রং লাগবে এবং বাকি যে জিনিসগুলো আছে সেগুলোও স্ট্রং লাগবে। তবে শাহনাজ কিন্তু তুলির মতো না, বলা যায় একদমই তুলির উল্টা পাশ। তার চরিত্রের অনেক ভেরিয়েশন আছে। কথা বলার ভঙ্গিও অনেক আলাদা। সে অনেক ধরনের রূপ ধারণ করতে পারে।
সে সময় নির্মাতা সুমন ধর আমাকে বলেন, তোমাকে পর্দায় বিভিন্ন রূপে দেখব আমরা। শুরু করব একটা দিয়ে এবং সিরিজটি শেষ করব আরেকটি রূপ দিয়ে।
‘ফেরা’ তে নিজের চরিত্র নিয়ে অভিনেত্রী বলেন, শাহনাজ একটু নেগেটিভ। আমি ঈদের চতুর্থ দিন আমার ভাইয়ে সঙ্গে বসে ফিল্মটি দেখছিলাম, সে সময় ও যখন বুঝতে পারল যে, শাহনাজ কিছুটা ডিফারেন্ট এবং একটু নেগেটিভ। সে আমার দিকে তাকিয়ে শুধু একটা কথাই বলল, তুই সাহস করলি কেমনে এই এক্সপেরিমেন্ট করার। এখনই তুই খারাপ হইতে গেছিস। কয়েকদিন আগেই তো ভালো ক্যারেক্টার করলি।
দীঘি আরও বলেন, ‘ফেরা’-তে শাহনাজ চরিত্রটির এতো ভেরিয়েশন আছে যে, মুহূর্তেই সে তার রূপ পরিবর্তন করে ফেলে। আমি এমনই একটি চরিত্রে কাজ করতে চেয়েছিলাম। তবে আমার প্রত্যাশা এতোটাও ছিল না। যতটা সিরিজটি মুক্তির পরে দর্শকরা দেখিয়েছেন। তারা এতো ভালোভাবে আমাকে গ্রহণ করেছেন সে জন্য দর্শকডের কাছে আমি ভীষণ কৃতজ্ঞ। দিন শেষে যখন কমেন্টসে দেখতে পাই যে, তারা বলছেন, দীঘি একটু একটু করে এগিয়ে যাচ্ছে। তখন আসলে ভীষণ ভালোলাগা কাজ করে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।