জুমবাংলা ডেস্ক : প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় প্রস্তুত বাগেরহাট জেলা প্রশাসন। খোলা হয়েছে ২৩৪টি ঘূর্ণিঝড় আশ্রয় কেন্দ্র, জেলা সদরসহ ৯টি উপজেলার প্রতিটিতে একটি করে কন্ট্রোল রুমও খোলা হয়েছে। এ ছাড়াও প্রস্তুত রাখা হয়েছে ১০টি মেডিকেল টিম।
বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) সকাল থেকেই বাগেরহাটের উপকূলের আকাশ কালো মেঘে ঢেকে রয়েছে। এইকসঙ্গে উপকূলজুড়ে ভ্যাপসা গরমের পাশাপাশি বাড়ছে বাতাসের গতি।
সরকারি সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, স্থানীয় পর্যায়ের সব সরকারি কর্মকতা-কর্মচারীদের ছুটি বাতিল করা হয়েছে। রেড ক্রিসেন্ট, ফায়ার সার্ভিস ও বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থার কয়েক’শ স্বেচ্ছাসেবীকে প্রস্তুত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১ এপ্রিল) রাতে এক প্রস্তুতি সভা থেকে এসব নির্দেশ দেওয়া হয়।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার দূরুল হুদা জানান, মোংলা বন্দরে প্রবল ঘূর্ণিঝড় ফণী মোকাবিলায় সর্বত্মক প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে। বন্দরে জেটি ও বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত ১৫টি জাহাজ নিরাপদে রয়েছে। পণ্যবোঝাই ও খালাসের কাজ বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে।
অন্যদিকে সুন্দরবন উপকূলে ঘূর্ণিঝড় ফণীর আগাম প্রস্তুতি হিসেবে সুন্দরবন বিভাগের সকল কর্মকর্তা-কর্মচারিদের ছুটি বাতিল করে তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ও গোলাবারুদসহ নিরাপদে থাকতে নির্দেশ দিয়েছেন সুন্দরবন পূর্ব বিভাগীয় বন কর্মকর্তা মো. মাহমুদুল হাসান। তিনি জানান, করমজল ও হারবাড়ীয়া পর্যটন কেন্দ্রের পর্যটকদেও সরিয়ে আনা হচ্ছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।