সৌম্য সরকারকে ফিরিয়ে তার সঙ্গে তামিম ইকবালের শতরানের জুটি ভেঙেছেন রোস্টন চেইস। সীমানায় তরুণ বাঁহাতি ওপেনারের চমৎকার এক ক্যাচ নিয়েছেন ড্যারেন ব্রাভো।
শর্ট বল পুল করে ছক্কায় উড়াতে চেয়েছিলেন সৌম্য। ডিপ মিডউইকেটের ফিল্ডারের মাথার ওপর দিয়ে পাঠাতে পারেননি। তৎপর ব্রাভো ক্যাচ মুঠোয় নেন, তবে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে ফেলেছিলেন। সীমানা দড়ি স্পর্শ করার আগে বল ভেতরের দিকে ছোড়েন, পরে ভেতরে ঢুকে তালুবন্দি করেন। ৬৮ বলে নয় চার ও এক ছক্কায় ৭৩ রান করে ফিরে যান সৌম্য। ভাঙে ১৪৪ রানের জুটি।
ক্রিজে তামিমের সঙ্গী সাকিব আল হাসান। ২৬ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৪৪/১। জয়ের জন্য শেষ ২৪ ওভারে ১১৮ রান চাই তাদের।
দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে তামিমের ফিফটি
দল যেমন চায় ঠিক তেমন এক ইনিংস খেলছেন তামিম ইকবাল। দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে দলকে টানছেন দেশসেরা এই ওপেনার।
শেলডন কটরেলের বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের ৪৫তম ফিফটি তুলে নেন তামিম। ৭৮ বলে পঞ্চাশ স্পর্শ করার পথে হাঁকান পাঁচটি চার।
২৪ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১৩৩/০। তামিম ৫০ ও সৌম্য সরকার ৭২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৬ ওভারে আরও ১২৯ রান চাই তাদের।
কঠিন সুযোগ হাতছাড়া করলেন ডাওরিচ
অভিষেকে ব্যাটিংয়ে তেমন কিছু করতে পারেননি, ফিল্ডিংয়ে রাখতে পারতেন অবদান। দারুণ এক ক্যাচে ভাঙতে পারতেন বাংলাদেশের শতরানের শুরুর জুটি। কিন্তু একটুর জন্য কঠিন সুযোগটি কাজে লাগাতে পারেননি শেন ডাওরিচ।
কেমার রোচের বলে পুল করেছিলেন সৌম্য। ঠিকমতো টাইমিং করতে পারেননি। মিডউইকেটে লাফিয়ে দুইহাতে বলের নাগাল পেয়েছিলেন ডাওরিচ কিন্তু ক্যাচ মুঠোয় জমাতে পারেননি। সে সময় ৬২ রানে ছিলেন সৌম্য।
২২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১২১/০। সৌম্য ৬৩ ও তামিম ইকবাল ৪৭ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ২৮ ওভারে ১৪১ রান প্রয়োজন তাদের।
শতরানের জুটিতে তামিম-সৌম্যর রেকর্ড
১৯তম ওভারে শ্যানন গ্যাব্রিয়েলের বলে সিঙ্গেল নিলেন সৌম্য সরকার, তাতে বাংলাদেশের রান গেল তিন অঙ্কে। তামিম ইকবালের সঙ্গে পঞ্চম শতরানের জুটি উপহার দিলেন তরুণ বাঁহাতি এই ওপেনার। ওয়ানডেতে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি পাঁচটি শতরানের জুটি ছিল তামিম ও মুশফিকুর রহিমের। তামিম-সৌম্য জুটিতেও শতরান হলো পাঁচবার।
১৯ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ১০০/০। তামিম ৩৭ ও সৌম্য ৫২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩১ ওভারে তাদের প্রয়োজন ১৬২ রান।
আক্রমণাত্মক ব্যাটিংয়ে সৌম্যর ফিফটি
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে শেষ দুই ম্যাচে সেঞ্চুরি-ডাবল সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে ছন্দে ফেরা সৌম্য সরকার তুলে নিয়েছেন ফিফটি। তার ব্যাটে দৃঢ় ভিত পেয়ে গেছে বাংলাদেশ।
জেসন হোল্ডারকে আপার কাট করে বাউন্ডারি হাঁকানোর এক বল পর আবার সৌম্য তুলে নেন বাউন্ডারি। তাতে ৪৭ বলে পৌঁছান ফিফটিতে। এই সময়ে তার ব্যাট থেকে আসে সাতটি চার ও একটি ছক্কা।
১৮ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৯৩/০। সৌম্য ৫১ ও তামিম ইকবাল ৩২ রানে ব্যাট করছেন। জয়ের জন্য শেষ ৩২ ওভারে আরও ১৬৯ রান চাই তাদের।
তামিম-সৌম্য জুটিতে পঞ্চাশ
দ্বাদশ ওভারে বোলিং এলেন জেসন হোল্ডার। ওয়েস্ট ইন্ডিজ অধিনায়ককে ছক্কায় উড়ালেন সৌম্য সরকার। ইনিংসের প্রথম ছক্কায় শুরুর জুটির রান গেল পঞ্চাশে।
তামিম ইকবালের সঙ্গে সৌম্যর জুটির ফিফটি আসে ৭০ বলে। জুটিতে অগ্রণী সৌম্য, রানের গতিতে দম দিচ্ছেন তরুণ এই বাঁহাতি ব্যাটসম্যান। সাবধানী ব্যাটিংয়ে এগোচ্ছেন তামিম।
১২ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৫৫/০। তামিম ১৮ ও সৌম্য ২৯ রানে ব্যাট করছেন।
বাংলাদেশের সতর্ক শুরু
রান তাড়ায় বাংলাদেশকে সাবধানী শুরু এনে দিয়েছেন তামিম ইকবাল ও সৌম্য সরকার। বানিয়ে শট খেলার প্রবণতা দেখা যায়নি তাদের মাঝে।
১০ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ৩৮/০। এই সময়ে তামিম ইকবাল ৩৩ বলে করেছেন ১৪ রান, তার দুটি চারই শেষ দশম ওভারে। সৌম্য ২৭ বলে তিন চারে খেলছেন ২১ রানে। জয়ের জন্য শেষ ৪০ ওভারে আরও ২২৪ রান চাই বাংলাদেশের।
সাবধানী তামিম, আত্মবিশ্বাসী সৌম্য
রান তাড়ায় শুরুতে দুই প্রান্তে দুই রকম শুরু পেয়েছে বাংলাদেশ। অভিজ্ঞ তামিম ইকবাল গুটিয়ে রেখেছেন নিজেকে। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরিয়ান সৌম্য সরকার নিজের জোনে বল পেলেই চড়াও হচ্ছেন।
৫ ওভার শেষে বাংলাদেশের স্কোর ২১/০। এই সময়ে ১৬ বলে ৫ রান করেছেন তামিম। ১৪ বলে দুই চারে ১৪ রান করেছেন সৌম্য। জয়ের জন্য শেষ ৪৫ ওভারে বাংলাদেশের চাই ২৪১ রান।
বাংলাদেশের সামনে ২৬২ রানের লক্ষ্য
অনেক বড় স্কোরের সম্ভাবনা জাগানো ওয়েস্ট ইন্ডিজকে বেশি দূর যেতে দেয়নি বাংলাদেশ। শেষের দিকে ঘুরে দাঁড়িয়ে লক্ষ্যটা হাতের নাগালে রেখেছে মাশরাফি বিন মুর্তজার দল। দারুণ সূচনার পরও ৯ উইকেটে ২৬১ রানে থেমেছে ক্যারিবিয়ানরা।
অধিনায়ক দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সামনে থেকে। প্রথম স্পেলে আঁটসাঁট বোলিং করা অভিজ্ঞ এই পেসার নিজের শেষ স্পেলে তুলে নেন তিন উইকেট। ফিফটি করা রোস্টন চেইসকে ফিরিয়ে দিয়ে ভাঙেন শতরানের জুটি। পরে ফিরিয়ে দেন ঝকঝকে এক সেঞ্চুরি করা শেই হোপকে।
বাংলাদেশের বিপক্ষে টানা তৃতীয় সেঞ্চুরি করা হোপ ফিরেন ১০৯ রানে। চেইস করেন ৫১ রান।
মাশরাফি ৪৯ রানে নেন ৩ উইকেট। আঁটসাঁট বোলিং করেন সাকিব আল হাসান ও মেহেদী হাসান মিরাজ। খারাপ করেননি মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন। একেবারেই ধার ছিল না মুস্তাফিজুর রহমানের বোলিংয়ে। সাইফ ২ উইকেট নেন ৪৭ রানে, মুস্তাফিজ ৮৪ রানে নেন দুটি।
সংক্ষিপ্ত স্কোর:
সংক্ষিপ্ত স্কোর: বাংলাদেশ ৩৮ ওভারে ২০৮/২ (তামিম ৮০, সৌম্য ৭৩)
৭২ বলে বাংলাদেশের দরকার ৫৫ রান।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ৫০ ওভারে ২৬১/৯ (হোপ ১০৯, আমব্রিস ৩৮, ব্রাভো ১, চেইস ৫১, কার্টার ১১, হোল্ডার ৪, ডাওরিচ ৬, নার্স ১৯, রোচ ১, কটরেল ৪*, গ্যাব্রিয়েল ০; সাইফ ২/৪৭, মাশরাফি ৩/৪৯, মুস্তাফিজ ২/৮৪, সাকিব ১/৩৩, মিরাজ ১/৩৮)
লাইভ দেখুন এই লিঙ্কে

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।