জুমবাংলা ডেস্ক : ‘লকডাউনে’র বৈধতা নিয়ে রিটকারী আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ এবার জরিমানার টাকা মওকুফ করতে আদালতের কাছে মৌখিকভাবে আবেদন করেছেন। এ বিষয়ে লিখিত আকারে এফিডেভিট দিতে বলেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ মে) বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি সরদার মো. রাশেদ জাহাঙ্গীরের ভার্চ্যুয়াল হাইকোর্ট বেঞ্চ এ বিষয়ে আদেশের জন্য বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন।
গত ৫ মে লকডাউন দেওয়ার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে দায়ের করা রিট খারিজ করে দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে রিট করে আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় রিটকারী আইনজীবীকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা (কস্ট) করা হয়েছে।
বুধবার ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে ইউনুছ আলী আকন্দ আদালতে বলেন, আদালতের জুম আইডি পরিবর্তন হওয়ায় আমি ওইদিন আদালতে শুনানিতে অংশ নিতে পারিনি। এজন্য ক্ষমা চাইছি। আমাকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। জরিমানা মাফ করে দিন। আমি ক্ষমা চাইছি।
এ সময় আদালত বলেন, আপনি লিখিতভাবে আপনার কথাগুলো আদালতকে জানান। বৃহস্পতিবার (২০ মে) বিষয়টি আদেশের জন্য আসবে।
এর আগে গত ২৫ এপ্রিল লকডাউনের বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে রিট করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া লকডাউন দেওয়ার সুযোগ নেই উল্লেখ করে এ রিট আবেদন করা হয়।
রিট আবেদনে চলমান লকডাউনের ওপর স্থগিতাদেশ এবং আর যাতে লকডাউন দেওয়া না হয়, সে জন্য নির্দেশনা চাওয়া হয়। আবেদনে মন্ত্রিপরিষদ সচিব ও জাতীয় কারিগরি উপদেষ্টা কমিটিকে বিবাদী করা হয়।
ইউনুছ আলী আকন্দ জানান, জরুরি অবস্থা জারি করা ছাড়া জনগণের চলাফেরার অধিকার, আইনের আশ্রয় লাভের অধিকার সরকার স্থগিত রাখতে পারে না। এটা সংবিধানপরিপন্থি। কিন্তু সরকার জরুরি অবস্থা জারি ছাড়াই লকডাউন দিয়েছে, যা সংবিধানের ২৭, ২৮, ৩১, ৩২, ৩৩, ৩৫ ও ৩৬ অনুচ্ছেদের পরিপন্থী।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।