জুমবাংলা ডেস্ক : পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রী মোঃ শাহাব উদ্দিন বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তন জনিত ক্ষয়ক্ষতির জন্য নতুন তহবিল ব্যবস্থার অবিলম্বে কার্যকরীকরণ বাংলাদেশের মতো ঝুঁকিপূর্ণ দেশের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
ঢাকায় প্রাপ্ত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, আজ শুক্রবার (২৮ জুলাই) ভারতের চেন্নাইতে অনুষ্ঠিত এ২০ পরিবেশ ও জলবায়ু টেকসই মন্ত্রী পর্যায়ের সভায় ‘এনভায়রনমেন্ট এন্ড ক্লাইমেট সাসটেইনেবিলিটি : ক্লাইমেট চেইঞ্জ, ওশান / ব্লু-ইকোনমি, রিসোর্স ইফিসিয়েন্সি এন্ড সার্কুলার ইকোনমি’ বিষয়ক মন্ত্রী পর্যায়ের সেশনে পরিবেশ মন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের নেতিবাচক প্রভাব মোকাবেলায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা ২০২৩-২০৫০ বাস্তবায়নে উন্নত দেশগুলোর সক্রিয সহায়তা প্রয়োজন। উন্নয়নশীল দেশে বসবাসকারী লাখ লাখ দরিদ্র মানুষের ঝুঁকি কমাতে উন্নত দেশগুলিকে নেতৃত্ব দিতে হবে।’
সম্মেলনের দ্বিতীয় অধিবেশনে পরিবেশমন্ত্রী বলেন, খাদ্য ও পুষ্টি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে বিশ্বকে টেকসই ও সমন্বিত পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় কাজ করতে হবে। আমরা একক ব্যবহারের প্লাস্টিক হ্রাস সহ সার্কুলার পদ্ধতির প্রসারে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। সমুদ্রের তলদেশের জমা বর্জের হুমকির জন্য সম্মিলিত পদক্ষেপ প্রয়োজন।
পরিবেশমন্ত্রী আরো বলেন, আমরা সমুদ্রের তলদেশের জমা বর্জ্য কমানোর জন্য নীতি ও পরিকল্পনা তৈরি করতে প্রতিবেশী দেশগুলোর মধ্যে দ্বিপাক্ষিক ও বহুপাক্ষিক সহযোগিতা গড়ে তোলার প্রস্তাব করছি। আমাদের নদীতে প্রবাহিত প্লাস্টিক এবং মাইক্রোবিডগুলি সনাক্ত এবং হ্রাস করার জন্য আমাদের অবশ্যই ব্যবস্থা গ্রহন করতে হবে, আমাদের মহাসাগর এবং সামুদ্রিক বাস্তুতন্ত্রকে সুরক্ষিত রাখতে হবে।
সম্মেলনে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের অন্যতম সদস্য হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) ইকবাল আবদুল্লাহ হারুন এবং উপসচিব (পরিবেশ-১) মো. আমিরুল কায়সার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।