জুমবাংলা ডেস্ক : সিলেটের শাহাজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) ২৬ শিক্ষার্থী জাতিসংঘের মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রাম ২০২৪-এর জন্য নির্বাচিত হয়েছেন।
গত ১৪ আগস্ট সন্ধ্যায় ফেলোশিপের ফলাফল প্রকাশিত হয়েছে বলে জানান নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা।
জাতিসংঘ একাডেমিক ইমপ্যাক্ট (ইউএনএআই) এবং মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক এমসিএন পরিচালিত ওই প্রোগ্রামটি সারা বিশ্বের তরুণ শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বের দক্ষতা উন্নয়নে উৎসাহিত করে এবং জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনের জন্য তাদের চ্যালেঞ্জ নিয়ে কাজ করতে অনুপ্রাণিত করে।
মিলেনিয়াম ক্যাম্পাস নেটওয়ার্ক টিমের তথ্যমতে, এ বছর সারা বিশ্বের ১৭০টি দেশের ৬,০০০ ক্যাম্পাস থেকে মোট ৫২,৫৮১ শিক্ষার্থী মিলেনিয়াম ফেলোশিপের আবেদন করেন। তাদের মধ্য থেকে ৪০টি দেশের ২০০ ক্যাম্পাসকে নির্বাচন করা হয়েছে, যার মাধ্যমে ৪,০০০ (৫%) শিক্ষার্থীকে মিলেনিয়াম ফেলো হিসেবে মনোনীত কর হয়েছে।
নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা হলেন, ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের আহমদ রেজা সামি, শারমিন সুলতানা কলি, হাসান আহমদ, এস এম আনিসুর রহমান। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনলজি বিভাগের এস এম ইউসুফ উদ্দিন, রিফাত সুমাইয়া জামান, আলভি আলম। রসায়ন বিভাগের শরীফুজ্জামান নাইম, মেহেদী হাসান ফাহাদ, এস এম সাখাওয়াত সাকিব নিলয়। পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের জসীম উদ্দিন ও মো. রিফাত ইসলাম,সমাজকর্ম বিভাগের মো. আতাউর রহমান রিফাত, সালমা হুমায়রা, সমাজবিজ্ঞান বিভাগের এম মহসিন ও মোহাম্মদ মিনহাজ ,নৃবিজ্ঞান বিভাগের মো. আমরুল কায়েছ সাকিব ও সাইমা ইসলাম। অর্থনীতি বিভাগের সৈয়দ তাহমিদ আলম, ফরেস্ট্রি এন্ড এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স বিভাগের তীর্থ দাস, লোকপ্রশাসন বিভাগের হামজা আসাদুল্লাহ, সমুদ্র বিজ্ঞান বিভাগের মো. আবু ইউসুফ, ফুড ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ডটি টেকনোলজি বিভাগের মুনীরাহ বিনতে মিজান, পেট্রোলিয়াম এন্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের আনিকা তাহসিন অর্থী, বাংলা বিভাগের মো আব্দুল ওয়াহিদ হাসান ও ইংরেজি বিভাগের সিদরাতুল মুনতাহা।
এতে ক্যাম্পাস ডিরেক্টর হিসেবে সিলেকশন পেয়েছেন ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের শারমিন সুলতানা কলি ও পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের মো. রিফাত ইসলাম।
মিলেনিয়াম ফেলোশিপ ২০২৩ এ শাবিপ্রবির ফেলো, পলিটিক্যাল স্টাডিজ বিভাগের হাবিবুর রহমান মাসরুর বলেন, ‘এটি দ্বিতীয় বারের মতো আমাদের ক্যাম্পাস মিলেনিয়াম ফেলোশিপের জন্য মনোনীত সিলেকশন পেয়েছে। এই প্রোগ্রামটি সরাসরি জাতিসংঘের সঙ্গে কাজ করে। আমি এর প্রতিনিধি হিসেবে গেল এপ্রিলে আমেরিকার নিউইয়র্কে জাতিসংঘের ইয়ুথ ফোরামে অংশ নিয়েছিলাম। আমি আশাবাদী আমাদের এ বছরের ফেলোশিপপ্রাপ্ত শিক্ষার্থীরা অনেক ভালো করবেন এবং আমাদের ক্যাম্পাসকে সারা বিশ্বে প্রতিনিধিত্ব করবেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘মিলেনিয়াম ফেলোশিপ প্রোগ্রামটি শিক্ষার্থীদের মধ্যে নেতৃত্বের গুণাবলী বিকাশে সহায়তা করে এবং তাদের বিশ্বব্যাপী সামাজিক উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে উৎসাহিত করে। এই ফেলোশিপের মাধ্যমে নির্বাচিত শিক্ষার্থীরা জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমান বাস্তবায়নে কাজ করবে এবং বিভিন্ন সামাজিক সমস্যার সমাধানে তাদের দক্ষতা ও উদ্যোগের মাধ্যমে ভূমিকা রাখবে।’
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।