Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home জাতিসংঘে যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা
    জাতীয়

    জাতিসংঘে যে ভাষণ দিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

    জুমবাংলা নিউজ ডেস্কSeptember 26, 202010 Mins Read
    ছবি সংগৃহীত
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ বিবেচনা করে বিশ্বের সব দেশ যাতে এই টিকা সময়মত এবং একই সঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৫তম অধিবেশনে দেওয়া ভাষণে তিনি এ আহ্বান জানান।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ত্ব প্রদান করা হলে, এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে। রোহিঙ্গা সংকটের স্থায়ী সমাধানে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে আরও কার্যকরী ভূমিকা গ্রহণেরও অনুরোধ জানান প্রধানমন্ত্রী।

    বিশ্বব্যাপী করোনা মহামারির কারণে জাতিসংঘের ৭৫ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম বিশ্ব নেতৃবৃন্দ বিশ্বের সর্বোচ্চ ফোরাম জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ভার্চুয়াল অধিবেশনে অংশ নিচ্ছেন। এ অধিবেশনের মূল পর্ব সাধারণ বিতর্কে শনিবার বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। জাতিসংঘে এটি শেখ হাসিনার ১৭তম ভাষণ। এরআগে ১৬ বার সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দ্যরে ডাক দিয়েছেন তিনি। এবারই ব্যতিক্রম ঘটেছে। করোনা মহামারির কারণে বিশ্বের কোনো রাষ্ট্র ও সরকার প্রধান নিউইয়র্কে যাননি। আগে ধারণ করা ভিডিওতে ভার্চুয়াল প্ল্যাটফর্মে বক্তৃতা দেন প্রধানমন্ত্রী। তাঁর বক্তৃতার একটি বড় অংশ জুড়ে ছিল করোনা পরিস্থিতি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ প্রমাণ করেছে, আমাদের সকলের ভাগ্য একই সূত্রে গাঁথা। আমরা কেউই সুরক্ষিত নই যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা সকলের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে পারছি। এই ভাইরাস আমাদের অনেকটাই ঘরবন্দি করে ফেলেছিল। যার ফলে স্বাস্থ্য ব্যবস্থার পাশাপাশি আর্থনীতিক কর্মকা­ও মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয়েছে। বাংলাদেশে ২০১৮-১৯ অর্থবছরে ৮.২ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জন সম্ভব হয়েছিল। কিন্তু কোভিড-১৯ আমাদের এই অগ্রযাত্রা বাধাগ্রস্ত করেছে।’

    করোনা মহামারির মধ্যে বাংলাদেশ প্রথম থেকেই ‘জীবন ও জীবিকা’ দুই ক্ষেত্রেই সমানভাবে গুরুত্ব দিয়ে কার্যক্রম শুরু করেছিল উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য, উৎপাদন যাতে ব্যাপক ক্ষতির সম্মুখীন না হয়, তার জন্য সরকার বিভিন্ন প্রণোদনার ব্যবস্থা করেছে। সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির পরিধি ব্যাপকভাবে বৃদ্ধি করেছে।

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ বিস্তারের কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া মানুষের জন্য আমরা তাৎক্ষণিকভাবে খাদ্য ও অন্যান্য সহায়তার ব্যবস্থা নিয়েছি। এতে ১০ মিলিয়নের বেশি পরিবার উপকৃত হয়েছেন। আমরা ৪ মিলিয়ন শিক্ষার্থীকে শিক্ষাবৃত্তি প্রদান করেছি। করোনাকালে ক্ষতিগ্রস্ত কৃষক, শ্রমিক ও দিনমজুরসহ ৫ মিলিয়ন মানুষকে নগদ অর্থ সহায়তা দিয়েছি। সাধারণ মানুষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে গ্রাম পর্যায়ের প্রায় ১৮ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক ও ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র হতে বিনামূল্যে ৩০ ধরনের ওষুধ দেওয়া হয়।’

    তিনি আরও বলেন, ‘দেশের মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য আমরা প্রতি বছর প্রায় ৩৯ বিলিয়ন টাকা বরাদ্দ করি। এ ছাড়া বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যাক্তা মহিলাদের জন্য ভাতা, প্রতিবন্ধী ভাতা এবং সমাজের অনগ্রসর শ্রেণিসহ অন্যদের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি ও ভাতার প্রচলন করেছি যার মাধ্যমে প্রায় ৯.১ মিলিয়ন পরিবার উপকৃত হচ্ছেন।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘সরকারি সহায়তার পাশাপাশি আমি নিজে উদ্যোগী হয়ে তহবিল সংগ্রহ করে এতিম ও গরীব শিক্ষার্থী, মাদ্রাসা, মসজিদ, মন্দির, স্কুল শিক্ষক, শিল্পী, সাংবাদিকসহ যাঁরা সাধারণভাবে সরকারি সহায়তার আওতাভুক্ত নন, তাঁদের মধ্যে ২.৫ বিলিয়নের বেশি টাকা বিতরণ করেছি। যার ফলে সাধারণ মানুষকে করোনা ভাইরাস খুব বেশি ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারেনি।’

    প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কোভিড-১৯ রোগী সনাক্তের সাথে সাথে আমরা ৩১-দফা নির্দেশনা জারি করেছিলাম। করোনাভাইরাস যাতে ব্যাপকহারে সংক্রমিত হতে না পারে, তার জন্য আমরা সচেতনতামূলক প্রচারণা চালানোর পাশাপাশি সুরক্ষা সামগ্রী বিতরণ করেছি। যার সুফল হিসেবে আমরা লক্ষ্য করছি, ঋতু পরিবর্তনের ফলে আমাদের দেশে যেসব রোগের প্রাদুর্ভাব হয়, এবার সেসব রোগ তেমন একটা দেখা যাচ্ছে না।’

    করোনা মহামারিতে আর্থিক খাতের সমস্যাগুলি চিহ্নিত করে ২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণার কথা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘রপ্তানিমুখী শিল্প, শ্রমিকদের সুরক্ষা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্পকে ওয়ার্কিং ক্যাপিট্যাল প্রদান, রপ্তানি বৃদ্ধিতে ঋণ প্রদান, কৃষি ও কৃষকদের সহায়তা, কর্মসৃজনের জন্য ঋণ প্রদান, ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সুদ মওকুফ, পুনঃঅর্থায়ন স্কিম এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের জন্য বীমা চালুকরণ-ইত্যাদি খাত প্রণোদনার অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।’ এ পর্যন্ত মোট ১৩.২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার সমপরিমাণ প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে যা দেশের মোট জিডিপি’র ৪ দশমিক শূন্য ৩ শতাংশ, জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমরা করোনাকালে খাদ্য উৎপাদনকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়েছি। সেই সঙ্গে পুষ্টি নিশ্চয়তার জন্য সব ধরনের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। স্বাস্থ্যবিধি মেনে দেশের শিল্প কারখানা সচল রাখা এবং কৃষি ও শিল্পপণ্য যথাযথভাবে বাজারজাতকরণের বিশেষ ব্যবস্থা নিয়েছি। যার ফলে বাংলাদেশের স্ব্যাস্থ্য ও অর্থনীতি এখনও তুলনামূলকভাবে অনেক ভাল আছে।’

    তিনি আরও বলেন, কোভিড-১৯ এর কারণে বিশ্বব্যাপী উৎপাদনে স্থবিরতা সত্তে¡ও ৫.২৪ শতাংশ হারে জিডিপি প্রবৃদ্ধি অর্জিত হয়েছে। আগামী অর্থবছরে জিডিপি’র প্রবৃদ্ধির হার ৭ শতাংশে উন্নীত হবে বলেও আশা প্রকাশ শেখ হাসিনা।

    প্রধানমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেন বিশ্ব শিগগিরই কোভিড-১৯ এর ভ্যাকসিন পাবে। তিনি বলেন, ‘এই ভ্যাকসিনকে বৈশ্বিক সম্পদ হিসেবে বিবেচনা করা প্রয়োজন। সকল দেশ যাতে এই ভ্যাক্সিন সময় মত এবং একইসঙ্গে পায় তা নিশ্চিত করতে হবে। কারিগরি জ্ঞান ও মেধাসত্ব প্রদান করা হলে, এই ভ্যাকসিন বিপুল পরিমাণে উৎপাদনের সক্ষমতা বাংলাদেশের রয়েছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে আমরা মানব ইতিহাসের এক অভাবনীয় দুঃসময় অতিক্রম করছি। জাতিসংঘের ইতিহাসেও এই প্রথমবারের মত নিউইয়র্কের সদরদপ্তরে সদস্য দেশসমূহের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের অনুপস্থিতিতে ডিজিটাল পদ্ধতিতে সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হচ্ছে।’ তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘের এই সভাকক্ষটি আমার জন্য অত্যন্ত আবেগের। ১৯৭৪ সালে এই কক্ষে দাঁড়িয়ে আমার পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি সদ্য স্বাধীন দেশের সরকার প্রধান হিসেবে মাতৃভাষা বাংলায় প্রথম ভাষণ দিয়েছিলেন। আমিও এই কক্ষে এর আগে ১৬ বার সশরীরে উপস্থিত হয়ে বিশ্বশান্তি ও সৌহার্দের ডাক দিয়েছি। সরকার প্রধান হিসেবে জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এটি আমার ১৭তম বক্তৃতা।’

    করোনায় স্বাস্থ্যকর্মীসহ সকল পর্যায়ের জনসেবকদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে বলেন, তারা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে প্রতিনিয়ত অক্লান্ত পরিশ্রম করে ক্ষতিগ্রস্ত দেশ ও জনগোষ্ঠিকে সুরক্ষা দিয়ে চলেছেন। এই দুর্যোগকালে জাতিসংঘ মহাসচিবকে তাঁর বলিষ্ঠ নেতৃত্ব ও বহুপাক্ষিক উদ্যোগের জন্য সাধুবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ শুরু থেকেই যুদ্ধ বিরতিসহ মহাসচিবের অন্যান্য উদ্যোগসমূহকে সমর্থন জানিয়ে আসছে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ যেমন জাতিসংঘ সৃষ্টির মাধ্যমে বিশ্বের সকল দেশের ঐক্যবদ্ধ প্রয়াসের উপর গুরুত্বারোপের সুযোগ তৈরি করেছিল, তেমনি এই মহামারি আবারও সবাইকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে সঠিক নেতৃত্ব প্রদানের প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি সামনে নিয়ে এসেছে।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকান্ডের বর্ণনা দেন। তিনি বলেন, ‘মহামারি নিরসনে উদ্যোগ এবং এজেন্ডা-২০৩০ অর্জনে প্রচেষ্টা সমানতালে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। বাংলাদেশের দ্বিতীয় ভলান্টারি ন্যাশনাল রিভিউ রিপোর্ট উপস্থাপন প্রমাণ করে যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জনে আমরা যথাযথভাবে এগিয়ে চলেছি।’

    ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে একটি মধ্যম আয়ের দেশ, ২০৩০ সালের মধ্যে এসডিজি অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশ এবং ২১০০ সালের মধ্যে সমৃদ্ধ ব-দ্বীপে পরিণত করতে তাঁর সরকার কাজ করে যাচ্ছে বলে জানান শেখ হাসিনা।

    প্রযুক্তিগত বিভাজন নিরসন, সম্পদ আহরণ ও প্রযুক্তি স্থানান্তরের জন্য বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও উদ্ভাবনকে কাজে লাগানো প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, স্বল্পোন্নত হতে উন্নয়নশীল এবং সদ্য উত্তরিত উন্নয়নশীল দেশসমূহের জন্য আপদকালীন, উত্তরণকাল ও উত্তরণ-পরবর্তী সময়ে বর্ধিত আন্তর্জাতিক সহায়তা এবং প্রণোদনা প্যাকেজ নিশ্চিত করা জরুরি।
    প্রবাসী শ্রমিকরা স্বাগতিক ও নিজ দেশের অর্থনীতিতে বড় ধরনের অবদান রেখে চলেছেন বলে জাতিসংঘের ভাষণে জানান প্রধানমন্ত্রী।

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘এই মহামারির কারণে অনেক শ্রমিক কাজ হারিয়েছেন। অনেককে নিজ দেশে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। আমরা দেশে ফিরে আসা অভিবাসী শ্রমিকদের প্রণোদনা বাবদ ৩৬১ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বরাদ্দ দিয়েছি। তবে কোভিড-পরবর্তী সময়ে তাঁদের কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’ অভিবাসী শ্রমিকদের বিষয়টি সহমর্মিতার সঙ্গে ও ন্যায়সঙ্গতভাবে বিবেচনা করার জন্য আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় ও অভিবাসী গ্রহণকারী দেশসমূহের প্রতি আহ্বান জানান শেখ হাসিনা।

    বৈশ্বিক জলবায়ু পরিবর্তনজনিত সমস্যার কথা উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, ‘ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর বিদ্যমান সমস্যাসমূহ প্রতিনিয়ত প্রকট হচ্ছে। এই সংকটকালেও আমাদের বন্যা ও ঘূর্ণিঝড় আম্ফানের বিরূপ প্রভাব মোকাবেলা করতে হচ্ছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘সিভিএফ ও ভি-২০ গ্রæপ অব মিনিস্টার্স অব ফাইনান্স-এর (ঈঠঋ ও ঠ-২০ এৎড়ঁঢ় ড়ভ গরহরংঃবৎং ড়ভ ঋরহধহপব) সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ জলবায়ু সমস্যা উত্তরণে একটি টেকসই পরিকল্পনা প্রণয়নে নেতৃত্ব প্রদান করবে। এ ছাড়াও গøাসগো কনফারেন্স অব পার্টিস-সিওপি-এ (ঈড়হভবৎবহপব ড়ভ চধৎঃরবং (ঈঙচ) গঠনমূলক ও কার্যকর ফলাফল নিশ্চিত করতে বাংলাদেশ সর্বদা সচেষ্ট থাকবে।’

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জানান, লিঙ্গ সমতা নিশ্চিতকরণে বেইজিং ডিক্লারেশন এন্ড প্ল্যাটফর্ম অ্যাকশন (Beijing Declaration and Platform of Action) কার্যকর ভূমিকা রেখেছে। এই ঘোষণার ২৫ বছর পূর্তি উদযাপনকালে ঘোষণায় উল্লেখিত গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুসমূহ বাস্তবায়নে দৃঢ় সংকল্প ও পারস্পরিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার কথা তুলে ধরেন তিনি। শেখ হাসিনা জানান, ‘বাংলাদেশে আমরা লিঙ্গ বৈষম্য সামগ্রিকভাবে ৭২ দশমিক ৬ শতাংশ কমিয়ে এনেছি। আমাদের জাতীয় উন্নয়নের মূলে রয়েছে নারীদের অবদান। মহামারি মোকাবেলাসহ সকল কার্যক্রমে বাংলাদেশের নারীরা সামনে থেকে কাজ করে যাচ্ছেন।’

    শেখ হাসিনা বলেন, শিশুদের উন্নয়নে বিশেষ কর্মসূচি বাস্তবায়নে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে। ইউনিসেফ-এর এক্সিকিউটিভ বোর্ডের বর্তমান সভাপতি হিসেবে বাংলাদেশ শিশুর প্রতি বৈষম্য দূরীকরণে কাজ করছে। তাছাড়া, কোভিড সংক্রান্ত সমস্যা যাতে শিশুদের সামগ্রিক সমস্যায় পরিণত না হয়, তা নিশ্চিত করতে সরকার সচেষ্ট রয়েছে।

    প্রধানমন্ত্রী জানান, ‘সকলের সাথে বন্ধুত্ব কারো সাথে বৈরিতা নয়’ এই নীতিবাক্য বাংলাদেশের পররাষ্ট্র নীতির মূলমন্ত্র। এ মন্ত্রে উদ্বুদ্ধ হয়ে বাংলাদেশ শান্তি ও নিরাপত্তা রক্ষা এবং শান্তির সংস্কৃতি বিনির্মাণে নিয়মিত অবদান রেখে চলেছে। তিনি বলেন, ‘মহামারিকালে অসহিষ্ণুতা, ঘৃণা, বিদ্বেষ ও উগ্র জাতীয়তাবাদের মত বিষয়গুলো বৃদ্ধি পাচ্ছে। শান্তির সংস্কৃতি প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে আমরা এ বিষয়গুলোর মোকাবেলা করতে পারি।’

    প্রধানমন্ত্রী জানান, শান্তিরক্ষী প্রেরণে বাংলাদেশের অবস্থান এখন শীর্ষে। সংঘাতপ্রবণ দেশসমূহে শান্তি প্রতিষ্ঠা ও শান্তি বজায় রাখতে বাংলাদেশের শান্তিরক্ষীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন। তাঁদের সুরক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের অন্যতম দায়িত্ব উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এ বছর আমরা ওমেন, পিস এন্ড সিকিউরিটি ( Women, Peace and Security) এজেন্ডা-এর ২০ বছর পূর্তি উদযাপন করছি। এই এজেন্ডার অন্যতম প্রবক্তা হিসেবে আমরা শান্তি ও নিরাপত্তায় নারীর ভ‚মিকার উপর গুরুত্বারোপ করি। বাংলাদেশ ইতোমধ্যে এ বিষয়ে একটি জাতীয় কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করেছে।’

    শেখ হাসিনা বলেন, “শান্তির প্রতি অবিচল থেকে আমরা সন্ত্রাসবাদ ও সহিংস উগ্রবাদের বিরুদ্ধে ‘জিরো টলারেন্স’ নীতি গ্রহণ করেছি। মহামারির ফলে সৃষ্ট ঝুঁকি মোকাবেলায় জাতীয় উদ্যোগের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক সহযোগিতাও অপরিহার্য।”

    পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত পৃথিবী বিনির্মাণে বৈশ্বিক আকাক্সক্ষার প্রতি সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পরমাণু প্রযুক্তির শান্তিপূর্ণ ব্যবহারের বিষয়ে উন্নয়নশীল দেশসমূহের কার্যক্রমকে বাংলাদেশ জোর সমর্থন জানায়।

    তিনি বলেন, ‘আমাদের স্বাধীনতার সংগ্রামে বাঙালি জাতি অবর্ণনীয় দুর্দশা, মানবতা বিরোধী অপরাধ ও গণহত্যার মত জঘন্য অপরাধের শিকার হয়েছে। সেই কষ্টকর অভিজ্ঞতা থেকেই আমরা নিপীড়িত ফিলিস্তিনী জনগণের ন্যায়সঙ্গত দাবির প্রতি সমর্থন দিয়ে আসছি।’

    শেখ হাসিনা বলেন, ‘বাংলাদেশ ১১ লাখেরও বেশি জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমার নাগরিককে আশ্রয় প্রদান করেছে। তিন বছরের বেশি সময় অতিক্রান্ত হলেও এখন পর্যন্ত মিয়ানমার একজন রোহিঙ্গাকেও ফেরত নেয়নি। এই সমস্যা মিয়ানমারের সৃষ্টি এবং এর সমাধান মিয়ানমারকেই করতে হবে। আমি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে এ ব্যাপারে আরও কার্যকর ভ‚মিকা গ্রহণের অনুরোধ জানাচ্ছি।’

    প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘কোভিড-১৯ মহামারির কারণে বিদ্যমান বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জসমূহ আরও প্রকট হয়েছে। এ মহামারি আমাদের উপলদ্ধি করতে বাধ্য করেছে যে, এ সংকট উত্তরণে বহুপাক্ষিকতাবাদের বিকল্প নেই।’ জাতিসংঘের ৭৫তম বছর পূর্তিতে জাতিসংঘ সনদে অন্তর্নিহিত বহুপাক্ষিকতাবাদের প্রতি অগাধ আস্থার কথা জানান তিনি।

    প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর ভাষণে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা, সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি (বঙ্গবন্ধু) শোষণ, বঞ্চনা ও নিপীড়নের অবসান ঘটিয়ে বাঙালি জাতিকে পৃথিবীর বুকে মাথা উঁচু করে দাঁড়াতে শিখিয়েছেন।’ প্রধানমন্ত্রী এক্ষেত্রে জাতিসংঘের পরিষদে দাঁড়িয়ে জাতির পিতার অবিস্মরণীয় উক্তিটি তুলে ধরেনÑ ‘জাতিসংঘ সনদে যে মহান আদর্শের কথা বলা হয়েছে তা আমাদের জনগণের আদর্শ এবং এই আদর্শের জন্য তাঁরা চরম ত্যাগ স্বীকার করেছেন। এমন এক বিশ্ব ব্যবস্থা গঠনে বাঙালি জাতি উৎসর্গকৃত, যে ব্যবস্থায় সকল মানুষের শান্তি ও ন্যায়বিচার লাভের আকাক্সক্ষা প্রতিফলিত হবে।’ শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধুর এই দৃপ্ত ঘোষণা ছিল মূলত বহুপাক্ষিকতাবাদেরই বহিঃপ্রকাশ। ১৯৭৪ সালে জাতিসংঘে তাঁর প্রদত্ত দিক-নির্দেশনামূলক বক্তব্য বর্তমান সঙ্কট মোকাবেলার জন্য আজও সমানভাবে প্রাসঙ্গিক।

    এ বছর জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকী উদ্যাপন করা হচ্ছে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘বাঙালি জাতির জন্য এ বছরটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। বঙ্গবন্ধুর জীবন, সংগ্রাম, আত্মত্যাগ এবং সাফল্য আমাদের কোভিড-১৯ এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় যেমন সাহস যোগায়, তেমনি সংকটের উত্তরণ ঘটিয়ে নুতন দিনের আশার সঞ্চার করে।’

    শেখ হাসিনা এসময় ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টের নির্মম হত্যাকা­ের ঘটনা স্মরণ করেন। তিনি বলেন, ‘এ হত্যাকান্ডের শিকার আমার পিতা এবং বাঙালি জাতির পিতা, তৎকালীন রাষ্ট্রপতি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান, আমার মা, আমার তিন ভাই, দুই ভাতৃবধূসহ পরিবারের ১৮ জন সদস্য। আমরা দুই বোন দেশের বাইরে থাকায় ঘাতকদের হাত থেকে রক্ষা পেয়েছিলাম। শরণার্থী হিসেবে আমাদের ৬ বছর দেশের বাইরে থাকতে হয়েছে। আমি জাতিসংঘ সাধারণ অধিবেশনে এই প্রসঙ্গটি উত্থাপন করছি এ জন্য যে, পৃথিবীর ইতিহাসে এরকম জঘন্য, নির্মম ও বেআইনি হত্যাকা­ যেন আর না ঘটে।’

    প্রধানমন্ত্রী জানান, জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে নিরবিচ্ছিন্নভাবে কাজ করে যাচ্ছে তাঁর সরকার। দারিদ্র্য ও শোষণমুক্ত সে সোনার বাংলাদেশ হবে গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের উপর প্রতিষ্ঠিত, যেখানে সবার মানবাধিকার নিশ্চিত হবে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে জাতি ও বিশ্বের কাছে এই দৃঢ় অঙ্গীকার ব্যক্ত করেন শেখ হাসিনা।

    শনিবার জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে দিনের প্রথমার্ধের শুরুর দিকে বক্তৃতা করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। অধিবেশনে সশরীরে উপস্থিত ছিলেন জাতিসংঘে বাংলাদেশের স্থায়ী প্রতিনিধি রাষ্ট্রদূত রাবাব ফাতিমা। এসময় প্রায় প্রতিটি সদস্য দেশের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। করোনা মহামারির কারণে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ও সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে অধিবেশন কক্ষে একটি দেশের একজন প্রতিনিধিকে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হয়। বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্র ও সরকার প্রধানদের বক্তৃতা অধিবেশনের বড় পর্দায় প্রদর্শিত হয়।

    প্রসঙ্গত, জাতিসংঘে বাংলাদেশের সদস্যপদ লাভের পর প্রথম ১৯৭৪ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ভাষণের পদাঙ্ক অনুসরণ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সাধারণ পরিষদের অধিবেশনে সব সময় বাংলায় ভাষণ দেন। ১৯৯৯ সালে ইউনেস্কো কর্তৃক একুশে ফেব্রুয়ারিকে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে স্বীকৃতির পর থেকে বাংলাকে জাতিসংঘের অন্যতম দাপ্তরিক ভাষার মর্যাদা দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে বাংলাদেশ।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় ‘যে জাতিসংঘে দিলেন প্রধানমন্ত্রী ভাষণ শেখ হাসিনা
    Related Posts
    Mahfuz

    বড় শয়তান এখনও আমাদের কাঁধে শ্বাস ফেলছে : মাহফুজ

    July 13, 2025
    Rain

    ঢাকাসহ ৬ বিভাগে তুমুল বৃষ্টির আভাস

    July 13, 2025
    Fauzul

    এনবিআরের আন্দোলন ছিল সরকারবিরোধী : জ্বালানি উপদেষ্টা

    July 13, 2025
    সর্বশেষ খবর
    সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ

    নেপালকে হারিয়ে উইমেনস সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হলো বাংলাদেশ

    পেঁয়াজ

    পেঁয়াজে কালো ছোপ কীসের ইঙ্গিত বহন করে? জানলে চমকে যাবেন

    Untitled

    শ্রীপুরে ৭৩ শিক্ষার্থী ফেল: ব্যবহারিক নম্বর নেই

    রেমিট্যান্স

    ১২ দিনে রেমিট্যান্স এলো ১৩ হাজার কোটি টাকা

    ওয়েব সিরিজ

    সাহসীকতার সমস্ত সীমা অতিক্রম অতিক্রম করলো এই ওয়েব সিরিজ

    Zenelia

    সিতারে জমিন পারের সাফল্যের পর যা বললেন জেনেলিয়া

    Gazipur-Sripur

    তুরাগে অজ্ঞাত লাশ, কালিয়াকৈরে চাঞ্চল্য

    Keyboard

    বদলে যাচ্ছে স্মার্টফোনে টাইপিংয়ের ধরন

    দলিল

    হেবা দলিলের সরকার নির্ধারিত রেজিস্ট্রি খরচ কত? কে কাকে হেবা দলিল করতে পারবে

    এম চিহ্ন

    ডান হাতে ‘এম’ চিহ্ন থাকলে যা হয়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.