বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক : কতগুলো রোবট দেখতে মানুষের মতো বা হিউম্যানয়েড, আর কতগুলো ভিন্ন চেহারার– এমন কয়েক ডজন রোবট হাজির হয়েছে জাতিসংঘের প্রযুক্তি সংস্থার সম্মেলনের মঞ্চে।
যত দিন যাচ্ছে জাতিসংঘের গৃহীত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জন ততই কঠিন হয়ে উঠছে। এমন অবস্থায় সুইজারল্যান্ডে বৃহস্পতিবার শুরু হওয়া দুই দিনের এই সম্মেলনে রোবটগুলো জাতিসংঘের লক্ষ্যমাত্রা পূরণে তাদের সম্ভাবনা ও সক্ষমতা প্রদর্শন করবে বলে প্রতিবেদনে লিখেছে রয়টার্স।
২০১৫ সালে জাতিসংঘ ১৭টি টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা নির্ধারণ করেছে, যার উদ্দেশ্য ২০৩০ সালের মধ্যে এই পৃথিবী ও বিশ্বব্যাপী মানুষের জীবনমান উন্নয়ন। তবে প্রায় আট বছর পর ব্যাপকভাবে ধারণা করা বেশিরভাগ লক্ষ্যই নির্ধারিত সময়ের মধ্যে পূরণ করা সম্ভব হবে না।
সম্মেলনে যে তারকা রোবটগুলো হাজির হচ্ছে, তার মধ্যে একটির নাম ‘নাদিন’। এটি একটি সামাজিক রোবট যার সংবেদনশীলতা বোঝার সক্ষমতা রয়েছে এবং এটি মানুষকে চিনতে পারে। এরইমধ্যে এর ব্যবহার হচ্ছে অবসরে যাওয়া প্রবীণদের বাড়িতে।
দুই দিনব্যাপী এই সম্মেলনটিতে রোবটদের একটি প্যানেল সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেবে, যা পৃথিবীর ইতিহাসে প্রথম মানুষ-রোবট সংবাদ সম্মেলন হতে যাচ্ছে।
“রোবোটিক্সের দীর্ঘমেয়াদী ব্যবহার নিয়ে বিশ্বব্যাপী সংলাপ শুরু করার জন্য এদের সক্ষমতা, সুযোগ এবং চ্যালেঞ্জ সম্পর্কে ধারণা দেওয়াই এর লক্ষ্য” বলে জানান আইটিইউ টেলিকমিউনিকেশন স্ট্যান্ডার্ডাইজেশন ব্যুরোর স্ট্র্যাটেজিক এনগেজমেন্টের প্রধান ফ্রেডেরিক ভেরনার। কিছুদিনের মধ্যেই জেনিভায় আয়োজিত হবে ‘এআই ফর গুড’। সেখানে পাঁচ হাজার দর্শনার্থী যোগ দেওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
এ বছর যেমন করে ওপেনএআইয়ের তৈরি চ্যাটজিপিটির মতো জেনারেটিভ এআই প্রযুক্তিগুলো আলোচনার কেন্দ্রে এসেছে, ঠিক তেমনি রোবট আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে সেখানে পৌঁছাবে, বলে তিনি যোগ করেন।
“ম্যাটিরিয়াল সায়েন্স, ব্যাটারির সক্ষমতা, নেটওয়ার্ক কানেক্টিভিটি, এআই, মেশিন লার্নিং ইত্যাদি প্রযুক্তির অগ্রগতির ফলে আজকে রোবট যেখানে আছে, আগামীতে তার চেয়েও হাতের নাগালে চলে আসবে।”
হাঙ্গারম্যাপ প্রকল্পে দুর্ভিক্ষ ঝুঁকির ডেটা সংগ্রহ করতে ইতোমধ্যে এআই ব্যবহার করছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি। তারা বিপদসঙ্কুল এলাকায় জরুরী সহায়তা পাঠাতে রিমোট চালিত ট্রাক ব্যবহার করছে।
অন্যদিকে এআই প্রযুক্তি ব্যবহার করে রোগ নির্ণয়ের মানদণ্ড নির্ধারণে কাজ করে যাচ্ছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
“দূর্ভাগ্যজনকভাবে এসডিজি লক্ষ্যমাত্রা পূরণে ব্যাত্যয় ঘটেছে এবং অনেকবেশি দেরি হয়ে যাওয়ার আগে, আমি বিশ্বাস করি এআই সে প্রত্যাশা পূরণে আমাদের সহায়তা করতে পারবে।” – সম্মেলনের পূর্বক্ষণে এমনটাই বললেন আইটিইউ’র মহাসচিব ডরিন বোগডান-মার্টিন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।