জুমবাংলা ডেস্ক: রুপালি পর্দায় ঝড় তোলা ‘জস’ ছবিটির কথা মনে আছে? একাধিক পর্ব রয়েছে এই ছবির। যার সবগুলোর বিষয়বস্তু হাঙরের দাপটকে ঘিরে। এবার সত্যিই তেমন এক হাঙরের দেখা মিলল মিশরে। দেশটিতে ছুটি কাটাতে এসে হাঙরের পেটে গেলেন এক রুশ পর্যটক। ২৩ বছরের ওই পর্যটকের নাম ভ্লাদিমির পপভ।
মিশরের জনপ্রিয় রিসোর্টে সাঁতার কাটছিলেন ২৩ বছর বয়সী ভ্লাদিমির পপভ। ওই অবস্থাতেই তাকে হঠাৎ ‘বাবা, আমাকে বাঁচান!’ বলে চিৎকার করে উঠতে শোনা যায়। তারপরেই সোজা একটি হাঙরের মুখে ঢুকে যায় তার শরীর।
সংবাদ মাধ্যম ইন্ডিপেন্ডেন্টের প্রতিবেদন অনুযায়ী, জুনেই হুরগাদার একটি মিশরীয় রিসোর্টে ওই মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে। জ্যান্ত মানুষকে গিলে ফেলার ওই ঘটনা সারা বিশ্বেই শোরগোল ফেলে দেয়। এবার সেই হাঙরটিকেই মিশরের জাদুঘরে সংরক্ষণ করা হবে বলে জানা গেছে।
প্রসঙ্গত, হামলার সময় একটি ভিডিও ধারণ করা হয়েছিল। সেই ভিডিওতেই ধরা পড়েছিল দিনটির মর্মান্তিক দৃশ্য। সমুদ্রে গোসল করতে করতেই হঠাৎ ওই ব্যক্তির পা ধরে টেনে ধরে কুমির। তার শরীর রীতিমতো হাঙরের মুখে চলে যায়। উদ্ধারকারীরা তাকে উদ্ধার করতে নামলেও বিশেষ লাভ হয়নি। শরীর ততক্ষণে দুই ভাগ হয়ে গেছে। একটি ভাগ সমুদ্রের থেকে উদ্ধার করেন উদ্ধারকারীরা।
পরে হাঙরটির উপরে চড়াও হন স্থানীয়রা। তাঁরা পিটিয়ে মেরে ফেলেন ঘাতক হাঙরটিকে। একজনকে দেখা যায়, সেই হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে নিজের সেলফিও তুলে রাখতে। হাঙরটির পেট থেকে উদ্ধার হয়েছে রুশ পর্যটকের মাথা ও হাতের অংশ। জানা যাচ্ছে, ‘ইনস্টিটিউট অফ মেরিন সায়েন্সেস অ্যান্ড দ্য রেড সি রিজার্ভসে’র জাদুঘরে ঠাঁই হয়েছে মৃত হাঙরটির। তাকে সাধারণ দর্শকদের জন্য প্রদর্শিত করা হচ্ছে।
পপভের বাবা, ইউরি রাশিয়ার স্থানীয় সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা বিশ্রাম নিতে সমুদ্র সৈকতে গিয়েছিলাম। তার কয়েক সেকেন্ডের মধ্যেই এই দুর্ঘটনা ঘটে যায়।’ পুরো ঘটনাটি ২০ সেকেন্ডের মধ্যে ঘটে যায়। তার বাবার কথায়, ছেলের শেষ কাজ তিনিই করবেন। তারপর দেহাবশেষ নিয়ে ফিরে যাবেন রাশিয়াতে।
স্থানীয় আউটলেট আল আরাবিয়া জানিয়েছে , ইনস্টিটিউট অব মেরিন সায়েন্সেস এন্ড রেড সি রিজার্ভের বিশেষজ্ঞরা সোমবার প্রাণীটির শুষ্কীকরণ প্রক্রিয়া শুরু করেছেন। অন্যদিকে নিউইয়র্ক পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রক্রিয়াটি সম্পন্ন হলে, মমি বানিয়ে হাঙরটিকে ইনস্টিটিউটের জাদুঘরে রাখা হবে।
মিশরীয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, গবেষকরা ওই হাঙরটি আচরণ বুঝতে চাইছেন। শুধু তাই নয়, ওই প্রাণীটি ‘আগে ঘটে যাওয়া এমনই কয়েকটি দুর্ঘটনার কারণ’ কিনা, তাও বোঝার চেষ্টা করবেন গবেষকরা। তবে ওই জনবহুল এলাকার মধ্যে ঘটনাটি কীভাবে ঘটল তা এখনও রহস্য। কারণ ওখানে নিয়মিত জাহাজ চলাফেরা করে।
তাছাড়াও, নিরাপদ সমুদ্র সৈকত হিসেবে বেশ পরিচিত রয়েছে ওই সৈকতের। তার মধ্যেই এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটে যাওয়ার কথা অনেকেরই বিশ্বাস হচ্ছে না। বিচটিকে ঘিরে মানুষের মধ্যে একটি ভয়েরও জন্ম হয়েছে। ইতিমধ্যে স্থানীয় প্রশাসনের তরফে সবাইকে এ ব্যাপারে সতর্কও করা হয়েছে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।