লাইফস্টাইল ডেস্ক: জীবন ধারণের জন্য পানির বিকল্প নেই। পৃথিবীপৃষ্ঠের ৭১ শতাংশই পানি। তবে এর মাত্র ৩ দশমিক ৫ শতাংশ পানযোগ্য। এই গ্রহের মোট পানির ৯৬ শতাংশেরও বেশি সমুদ্রের লবণাক্ত পানি।
যাতে লবণের পরিমাণ এতটাই বেশি যে মানুষের পক্ষে পান করা সম্ভব নয়।
লবণাক্ত পানি তৃষ্ণা নিবারণ করে না। খুব বেশি পান করলে ডিহাইড্রেশন হয়ে মৃত্যুও হতে পারে। লবণাক্ত পানি পান করতে না পারার কারণ খুব সহজ। আমাদের কিডনি পরিচানলায় সমস্যা সৃষ্টি করে এই লবণাক্ত পানি।
কিডনি শরীরে লবণের মাত্রা ঠিক রাখে। আপনি যখন প্রচুর পরিমাণে লবণাক্ত পানি পান করবেন তখন কিডনির কাজও বেড়ে যাবে। যা আসলে ক্ষতিকারক। কিডনি প্রস্রাবের মাধ্যমে অতিরিক্ত পানি বের করে দেয়। লবণাক্ত পানি পান করলে কিডনি কাজ করা বন্ধ করে দেওয়ার মতো বিপদও ঘটতে পারে।
ন্যাশনাল ওশেনিক অ্যান্ড অ্যাটমোস্ফিয়ারিক অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (এনওএএ) তথ্যমতে যদি সমুদ্রের সমস্ত লবণ অপসারণ করে পৃথিবীর সকল স্থলভাগে ছড়িয়ে দেওয়া হয় তাহলে প্রায় ৫০০ ফুটের বেশি উঁচু লবণের স্তর হয়ে যাবে, যা একটি ৪০ তলা অফিস ভবনের সমান।
তবে অনেক প্রাণী আছে যারা সমুদ্রের পানি পান করতে পারে। অ্যালবাট্রস, গুল ও পেঙ্গুইনের মতো সামুদ্রিক পাখিগুলো লবণাক্ত পানি পান করে থাকে। কারণ অতিরিক্ত লবণ পরিশোধন করার জন্য তাদের বিশেষ লবণগ্রন্থি রয়েছে। এ ছাড়া তিমি, ডলফিন এবং সিলের মতো সামুদ্রিক প্রাণীরা এই পরিবেশের সাথে নিজেদের খাপ খাইয়ে নিয়েছে।
আমেরিকান মিউজিয়াম অব ন্যাচারাল হিস্ট্রির স্যাকলার ইনস্টিটিউট ফর কম্পারেটিভ জিনোমিক্সের কিউরেটর রব ডিসাল বলেছেন, সামুদ্রিক স্তন্যপায়ী প্রাণীরা বিশেষ এনজাইমের মাধ্যমে অতিরিক্ত লবণ শরীর থেকে বের করে দিতে পারে।যা একধরনের সুপার কিডনি।
সূত্র : লাইভ সায়েন্স।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।