জুমবাংলা ডেস্ক : বুয়েট ছাত্র আবরার ফাহাদ হ*ত্যার ঘটনায় বহুল আলোচিত ছাত্রলীগ নেতা অমিত সাহাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। আলোচিত এই হ*ত্যাকাণ্ডের অন্যতম সন্দেহভাজন হওয়া সত্ত্বেও আবরার হ*ত্যা মামলার ১৯ জনের তালিকায় তার নাম না থাকা নিয়ে চলছিল ব্যাপক সমালোচনা। অবশেষে বৃহস্পতিবার বেলা ১১টায় রাজধানীর শাহজাহান পুরের বাসাবো থেকে অমিত সাহাকে গ্রেফতার করে ডিবি পুলিশ।
আবরার ফাহাদ হ*ত্যাকাণ্ডের পর বুয়েট ক্যাম্পাসে আলোচনার শীর্ষে আছেন এই অমিত সাহা। সব ছাত্রছাত্রীর মুখে তার নাম। যদিও আবরার হ*ত্যাকাণ্ডের পর থেকেই পলাতক ছিলেন তিনি।
অমিত সাহা বুয়েটের সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ১৬তম ব্যাচের ছাত্র এবং শাখা ছাত্রলীগের আইন বিষয়ক উপ-সম্পাদক। আবরারকে যে কক্ষে নিয়ে প্রথমে মারধর করা হয় সেই ২০১১ কক্ষের বাসিন্দা অমিত।
বিশ্ববিদ্যালয়-সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইন্টারন্যাশনাল সোসাইটি ফর কৃষ্ণ কনশাসনেসের (ইসকন) সদস্য অমিত সাহা। ইসকনের ব্যানারে তিনি বিভিন্ন সময় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ধর্ম নিয়ে বিভিন্ন স্ট্যাটাস দিতেন। তবে ঘটনার পর থেকে তার ফেসবুক ডিঅ্যাকটিভ আছে। তার মোবাইল নম্বরও বন্ধ পাওয়া গেছে।
অমিত সাহা শৈশব থেকেই মেধাবী ছিলেন। পঞ্চম ও অষ্টম শ্রেণিতে বৃত্তি পেয়ে পড়াশোনা করেছেন। এলাকার মানুষ খুব শান্ত ও ভদ্র হিসেবেই জানেন। অমিতের বাবা একজন ধানের আড়তদার। দীর্ঘদিন ধরেই তিনি ব্যবসা করেন।
বর্তামানে থাকেন নেত্রকোনা শহরের আখড়া মোড় এলাকায় নিজস্ব বাসায়। অমিত জেলা শহরের আঞ্জুমান আদর্শ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে এসএসসি ও নেত্রকোনা সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পাস করেছেন। তাদের গ্রামের বাড়ি নেত্রকোনা সদরের ঠাকুরাকোনা ইউনিয়নের ঠাকুরাকোনা বাজারের স্বাস্থ্য ক্লিনিকের পাশে।
হ*ত্যাকাণ্ডের আগে ১৭তম ব্যাচের (আবরার ফাহাদের সহপাঠী) এক শিক্ষার্থীকে অমিত সাহা মেসেঞ্জারে জিজ্ঞাসা করেন, আবরার ফাহাদ কি হলে আছে? এ ধরনের একটি স্ক্রিনশট সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ১৭তম ব্যাচের ওই শিক্ষার্থী নিজের পরিচয় প্রকাশ করতে না চাওয়ায় তারই এক সিনিয়র এ বিষয়টি ফেসবুকে প্রকাশ করেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।