জুমবাংলা ডেস্ক: আগামী নভেম্বর মাসের শেষ সপ্তাহে জাপান সফর করবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বুধবার (২৮ সেপ্টেম্বর) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনুষ্ঠিত আন্তঃমন্ত্রণালয় বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়।
বৈঠক সূত্র জানায়, প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ হয়নি। তবে তিনি ২৩ থেকে ৩০ নভেম্বরের মধ্যে এই সফর করবেন।
বৈঠকে অংশ নেওয়া এক কর্মকর্তা বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরের তারিখ নির্ধারণ এবং অন্যান্য আনুষঙ্গিক বিষয় নিয়ে উভয় দেশ কাজ করছে। এ সফরের মধ্য দিয়ে উন্নয়ন অংশীদার জাপানের সঙ্গে সম্পর্ক অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাওয়ার সুযোগ রয়েছে।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফর আগেই হওয়ার কথা ছিল। জাপানে বসন্তের সময় বিশেষ ধরনের ফুল সাকুরা ফোটে। সেই প্রাকৃতিক দৃশ্য দেখানোর জন্য জাপানের পক্ষ থেকে সফরের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। কিন্তু করোনার কারণে সফর তখন হয়নি।
কর্মকর্তারা জানান, বাংলাদেশ-জাপানের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তীর বছরে টোকিও সফরে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী। সরকার প্রধানের সফরে দুই দেশ বিভিন্ন বিষয়ে সমঝোতা স্মারক ও চুক্তি সইয়ের প্রস্তুতি নিচ্ছে। সফরে বাংলাদেশ আরও জাপানি বিনিয়োগ চাইবে। অন্যদিকে ভারত-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল কৌশল রূপকল্প বাস্তবায়নে ঢাকাকে পাশে চাইবে টোকিও। তবে ঢাকা এ কৌশলের অর্থনৈতিক বা উন্নয়নভিত্তিক উদ্যোগের বাইরে সামরিক বা অন্য কোনো উদ্যোগে অংশীদার হতে চায় না।
সর্বশেষ ২০১৯ সালে জাপান সফর করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০১৪ সালে জাপান সফর করেন বঙ্গবন্ধু কন্যা।
বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপানের রাষ্ট্রদূত ইতো নাওকি গত ৭ জুলাই বলেন, চলতি বছর দুই দেশের সম্পর্কের একটি গুরুত্বপূর্ণ সময়। কারণ এই বছর জাপান-বাংলাদেশ সম্পর্কের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এই বছরের শেষ ভাগে টোকিওতে স্বাগত জানাতে প্রস্তুত জাপান। ওই সময়ে দুই দেশের সম্পর্ক আরও উচ্চস্তরে উন্নীত হবে এবং কৌশলগত সম্পর্ক প্রতিষ্ঠা হবে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।