আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ৩৩ বছরের মধ্যে সবচেয়ে বড় মজুরি বৃদ্ধির ঘোষণা দিয়েছে জাপানের বৃহৎ কোম্পানিগুলো। চলতি বছরে তারা ৫ দশমিক ২৮ শতাংশ মজুরি বাড়াতে সম্মত হয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির শীর্ষ ট্রেড ইউনিয়নগুলোর জোট। অবশ্য ধারণা করা হচ্ছে, মজুরি বৃদ্ধির ফলে এক দশকব্যাপী চলতে থাকা প্রণোদনা কর্মসূচি থেকে দ্রুত সরে আসবে জাপানের কেন্দ্রীয় ব্যাংক। খবর স্ট্রেইটস টাইমস।
টেকসই মজুরি বৃদ্ধির লক্ষ্যমাত্রাকে স্থিতিশীল অর্থনৈতিক অবস্থা প্রতিষ্ঠার পূর্বশর্ত হিসেবে দেখেন জাপানের অর্থনীতিবিদরা। এর মাধ্যমে দেশটির ২০১৬ সালের সুদহারের নেতিবাচক প্রভাবও লোপ পাবে বলে মনে করেন তারা।
এরই মধ্যে ব্যাংক অব জাপান (বিওজে) আট বছরের নেতিবাচক সুদহার নীতি শেষ করার কাছাকাছি পৌঁছেছে। কেন্দ্রীয় ব্যাংকটির কর্মকর্তারা জানিয়েছিলেন, এ নীতি পরিবর্তন ২০২৪ সালের বার্ষিক মজুরি আলোচনার ফলাফলের ওপর নির্ভর করবে। নীতিনির্ধারকরা প্রত্যাশা করছেন, এ মজুরি বৃদ্ধি জাপানের গৃহস্থালি ব্যয় বাড়াবে। পাশাপাশি অর্থনীতিকে আরো টেকসই প্রবৃদ্ধির দিকে পরিচালিত করবে।
জাপানের বৃহৎ ট্রেড ইউনিয়নগুলোর জোট জাপানিজ ট্রেড ইউনিয়ন কনফেডারেশনের (রেঙ্গো) তথ্যমতে, জাপানের বড় কোম্পানিগুলোর কর্মীরা তাদের বার্ষিক ৫ দশমিক ৮৫ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির প্রস্তাব করেছিল। মজুরি বৃদ্ধির এ প্রস্তাব ৩৩ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। বড় কোম্পানিগুলো মূল মজুরির ৩ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির লক্ষ্য হাতে নিয়েছে।
বিশ্লেষকরা ২০২৩ সালের ৩ দশমিক ৬ শতাংশ মজুরি বৃদ্ধির পর ৪ শতাংশেরও বেশি মজুরি বৃদ্ধির পূর্বাভাস করেছিলেন, যা তিন দশকের সর্বোচ্চ। রেঙ্গোর প্রধান তোমোকো ইয়োশিনো এক সংবাদ সম্মেলনে মজুরি বৃদ্ধির জন্য ক্রমবর্ধমান আয় বৈষম্য, মূল্যস্ফীতি ও শ্রমিক ঘাটতিকে কারণ হিসেবে দেখিয়েছেন। তিনি আরো জানান, চলতি অর্থবছরে খণ্ডকালীন কর্মীদের ৬ শতাংশ মজুরি বাড়ানো হবে।
ইয়োশিনো জোর দিয়ে বলেন, ‘জাপান অর্থনৈতিক পুনরুজ্জীবনের দিকে অগ্রসর হওয়ার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পর্যায়ে রয়েছে। সরকার আশা করছে ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের কোম্পানিগুলোয় এ মজুরি বৃদ্ধির ইতিবাচক প্রভাব রাখবে। যেখানে দেশের প্রায় ৭০ শতাংশ কর্মী কাজ করছে।’
প্রতিবেদনে বলা হয়, ইতিবাচক অগ্রগতি সত্ত্বেও প্রকৃত মজুরি মূল্যস্ফীতির জন্য সমন্বয় করা হয়েছে। দেশটিতে টানা ২২ মাস ধরে মূল্যসংকোচন দেখছে। এছাড়া বয়স্ক জনবলের কারণে শ্রম ঘাটতির মুখোমুখি হচ্ছেন জাপানি ব্যবসায়ীরা। এ কারণে কর্মী ধরে রাখতে মজুরি বাড়ানোর চাপের মধ্যে রয়েছেন তারা।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।