আন্তর্জাতিক ডেস্ক: জাপানের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিতে চলেছেন দেশটির প্রাক্তন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ফিউমিও কিশিদা। বর্তমান প্রধানমন্ত্রী ইওশিহিদে সুগার স্থলাভিষিক্ত হবেন তিনি।
লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির নতুন নেতা হিসেবে আগামী সোমবার সংসদে দেশের পরবর্তী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত হবেন কিশিদা। তাঁর দল লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি ও তাদের জোটসঙ্গীরা সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠ। সেক্ষেত্রে নেতা নির্বাচিত হওয়ার ক্ষেত্রে কোনও সমস্যা হওয়ার সম্ভাবনা কম। প্রথম ধাপে দুই মহিলা প্রতিদ্বন্দ্বী সেনেই তাকাইচি ও সেইকো নোদাকে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে পিছনে ফেলেন কিশিদা।
ফিউমিও কিশিদা জাপানে এখনও বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন করতে পারেননি। দেশের রাজনীতিতে নরমপন্থী ভাবমূর্তির জন্যই তিনি পরিচিত। লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির বেশ কিছু হেভিওয়েট নেতাদের সমর্থন তাঁর ওপর থাকার ফলেই বাকিদের তিনি পিছনে ফেলে দিয়েছেন বলে মনে করা হচ্ছে।
করোনা টিকা বন্টনের দায়িত্ব থাকা মন্ত্রী তারো কোনো জাপানের রাজনীতিতে উদীয়মান তারকা হিসেবে উঠে আসছিলেন। তাঁর জনপ্রিয়তাও দিন দিন বাড়ছিল। কোনোর এই দ্রুত উত্থান অনেকেই ভালোভাবে নেয়নি, সেই কারণেই কিশিদা প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে কোনোকে দমানোর চেষ্টা করা হয়েছে বলেই মনে করেন সে দেশের রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশ।
মনে করা হচ্ছে বেশ কঠিন সময়েই প্রধানমন্ত্রীর গুরু দায়িত্ব নিতে চলেছেন ৬৪ বছর বয়সী কিশিদা। দায়িত্ব নেয়ার পরপরই তিনি আগামী নির্বাচনে এলডিপিকে বিজয়ী করার চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বেন। ক্রমবর্ধমান করোনা সংক্রমণ এবং সেই জন্য ব্যবসায় ঘাটতির কারণে বেশ কিছুটা সংকটের মুখে রয়েছে পৃথিবীর তৃতীয় বৃহত্তম অর্থনীতি। এছাড়া করোনা আবহে টোকিও অলিম্পিক আয়োজন করায় দেশের শাসক দলের জনপ্রিয়তা অনেকটাই কমে গিয়েছে। সেই সমস্ত কিছুর সঙ্গেই লড়াই করতে হবে তাঁকে। একই সঙ্গে একজন মধ্যপন্থী নেতা হিসেবে তিনি জাপানের বিদেশ নীতি ও অভ্যন্তরীণ নীতি রূপায়ণ করবেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।