জামাইষষ্ঠী মানেই প্রচুর খাওয়া দাওয়ার সঙ্গে হাসিঠাট্টা। তাই জামাইষষ্ঠী স্পেশাল কিছু জোকস রইল আপনাদের জন্য!
# জামাইষষ্ঠীতে জামাইয়ের জন্য কষে রেঁধেছেন শাশুড়ি। কিন্তু খেতে বসার পরে প্রথম পাতেই দিলেন পাটশাক এবং কাসুন্দি। জামাই চেটেপুটে খেয়ে ফেলার পরেই শাশুড়ি বললেন, ‘‘ভাল লেগেছে বাবা?’’ জামাই ঘা়ড় নাড়তে শাশু়ড়ি বললেন, ‘‘আরও একটু খাও।’’ জামাই সেটাও খেয়ে ফাঁকা করে দেওয়ার পরে শাশুড়ি আবার পাটশাক দিলেন। জামাই সেটাও খেয়ে ফেলার পরে সন্তুষ্ট শাশুড়ি বললেন, ‘‘ভাল লেগেছে বাবা? আরও একটু…’’। শাশুড়িকে এবার থামিয়ে জামাই বলে উঠলেন, ‘‘আর আপনাকে কষ্ট করতে হবে না মা। পাটখেতটা দেখিয়ে দিন, আমিই চলে যাচ্ছি।’’
# দুষ্টু বাচ্চা (দোকানে গিয়ে)— কাকু, আমি বড় হলে তোমার মেয়ের সঙ্গে আমার বিয়ে দেবে?
দোকানদার (স্নেহপরায়ণ হয়ে)— নিশ্চয়ই বাবা। কেন দেব না?
দুষ্টু বাচ্চা— তাহলে তোমার হবু জামাইকে দুটো আইসক্রিম খাওয়াও ফ্রি-তে!
# ধনী শ্বশুরের একমাত্র মেয়েকে বিয়ে করেছে গদাই। শ্বশুরের অবর্তমানে সে-ই সব পাবে। শ্বশুর মারাত্মক অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। এবং তার পর…
ডাক্তার— দুঃখিত, আপনার শ্বশুরকে মনে হয় বাঁচানো যাবে না। অবস্থা একেবারে খারাপ। এতক্ষণ হয়তো তিনি আর নেই।
এমন সময়ে বেড থেকে শ্বশুর— কে বলেছে? এই তো আমি দিব্যি বেঁচে রয়েছি!
গদাই— চোপ! আপনি কি ডাক্তারের থেকে বেশি জানেন? ডাক্তার বলেছে আপনার দিন শেষ। আপনি কি ডাক্তারের থেকে বেশি জানেন?
# পটলার সঙ্গে তীব্র ঝগড়া হয়েছে বউয়ের। অতঃপর তার বউ ফোন করেছে মা, অর্থাৎ পটলার শাশুড়িকে। এবং…
পটলার বউ— মা, ও আমার উপরে নির্যাতন করছে। আমি এই সংসার করতে পারব না।
পটলার শাশুড়ি— শান্ত হও মা, শান্ত হও।
পটলার বউ— ওকে শাস্তি দিতেই হবে মা! আমি আর এখানে থাকব না। ছ’মাসের জন্য তোমার ওখানে যাচ্ছি।
পটলার শাশুড়ি— দোষ তো ও করেছে মা। তুই কেন নিজেকে শাস্তি দিবি? শাস্তি তো ওকে দিতে হবে। তোকে আসতে হবে না। আমিই ছ’মাসের জন্য তোদের ওখানে যাচ্ছি।
# জামাইষষ্ঠীতে শ্বশুরকে প্রণাম করার পরে…
জামাই— বাবা, আপনি ১০০ বছর বাঁচবেন।
শ্বশুর— যদি ততদিন না বাঁচি?
জামাই— তাহলে আমাকে ঠাস ঠাস করে দুটো চড় মারবেন।
# হবু শ্বশুর— তাহলে তুমি বলতে চাও যে, আমাদের মেয়েকে বিয়ে করে তুমি আমাদের জামাই হতে চাও।
হবু জামাই— আ়়জ্ঞে, বিয়ে না করে অন্য কোনও উপায়ে যদি জামাই হওয়া যায়, তা হলে…
# শাশুড়ি— মেয়ে বলল, তুমি নাকি পেট্রোল পাম্পে গা়ড়িতে তেল ভরাতে গেলে ওকে বাইরে দাঁড় করিয়ে রাখো?
জামাই— হ্যাঁ বাবা।
শাশুড়ি— জানো না, কী ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটতে পারে?
জামাই— ভিতরে নিয়ে গেলে আরও ভয়ঙ্কর বিপদ ঘটবে।
শাশুড়ি— মানে!
জামাই— দেখেননি, পাম্পের গায়ে লেখা থাকে, ‘‘আগুন লাগিয়ে দেয় এমন বস্তু দূরে রাখুন?’’
# ওষুধের দোকানে গিয়ে ন্যাদা— দাদা, এক বোতল বিষ দিন তো।
দোকানদার— অ্যাঁ!
ন্যাদা— বিষ! বিষ! খেলেই যাতে কাজ হয়।
দোকানদার— প্রেসক্রিপশন আছে?
ন্যাদা একটি চিঠি বের করে দোকানদারের হাতে দিল। তার পর…
দোকানদার (চোখে জল)— আগে বলবেন তো দাদা। বলুন, ছোট বোতল দেব না বড় বোতল?
** চিঠিটি ছিল ন্যাদার শাশুড়ির। মূল বক্তব্য, ‘‘তোমাদের বাবাকে ডিভোর্স দেব! এবার থেকে তোমাদের সঙ্গেই থাকব।’’
# হাসপাতালে ডাক্তার— আরে! আপনার শাশুড়ির সঙ্গে আপনার রক্তের গ্রুপ একেবারে ম্যাচ করে গিয়েছে! অনবদ্য!
জামাই— হবেই তো ডাক্তারবাবু। গত ২৫ বছর ধরে যে তিনি ওটাই শুষে খাচ্ছেন!
# শ্বশুরকে জামাই— বাবা, আমি ঠিক করেছি সন্ন্যাস নেব।
শ্বশুর— অ্যাঁ! কেন!
জামাই— পরকালের কাজ সব করে রেখে যেতে চাই। কিন্তু যাওয়ার আগে কারও কাছে ঋণ রাখব না।
শ্বশুর— আমার কাছে তোমার তো কোনও ঋণ নেই বাবা।
জামাই (স্ত্রী ও তিন সন্তানকে এগিয়ে দিয়ে)— ১২ বছর আগে আপনার মেয়েকে দিয়েছিলেন। আজ সুদ-সহ মিটিয়ে দিয়ে গেলাম।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel