Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ
    জাতীয়

    জামিনে বেরিয়েই ছদ্মনামে হাসপাতালে ভর্তি হন ‘ডিবি হেফাজতে’ মৃত এজাজ

    Saiful IslamMarch 17, 20255 Mins Read
    Advertisement

    জুমবাংলা ডেস্ক : ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) হেফাজতে শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমনের সহযোগী হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে। তবে মৃত্যুর আগে এজাজ জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ফাহিম আহম্মেদ নামে ভর্তি ছিলেন। এমনকি কাগজপত্রে তিনি তাঁর বাবার নাম-ঠিকানাও দিয়েছিলেন ভুল।

    জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে গত শুক্রবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে ডিবি পুলিশ তাঁকে তুলে নিয়ে যায়। এরপর ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তাঁর মৃত্যু হয়। মৃত্যুর পর পুলিশের সুরতহাল প্রতিবেদনে নিহতের শরীরে আঘাতের দাগ রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ডিবি হেফাজতে মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে ডিএমপি।

    রোববার দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডির জিগাতলার জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে গিয়ে এজাজের ভর্তি থাকার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়া গেছে।

    জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালের নথিতে দেখা গেছে, শুক্রবার রাত ১০টা ৩৯ মিনিটে হাসপাতালে ভর্তি হন এজাজ। তবে তিনি ভর্তি ফরমে প্রকৃত নাম আড়াল করে ফাহিম আহম্মেদ নাম দেন। তাঁর সঙ্গে এ সময় এক ব্যক্তিও ছিলেন। তাঁকে তিনি বাবা পরিচয় দেন। বাবার নাম লেখেন কামরুল ইসলাম। ধানমন্ডি ৯/এ-এর একটি বাসা নম্বর দেওয়া হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ওই বাসায় তিনি থাকেন না।

    হাসপাতালের নথিতে আরও দেখা যায়, হাসপাতালটির কিডনি রোগ বিশেষজ্ঞ গোলাম ফাহাদ ভূঁইয়ার অধীনে তিনি ভর্তি হন। ভর্তির পর তাঁকে হাসপাতালটির ২০৩ নম্বর কেবিনে নেওয়া হয়। তাঁর চারটি পরীক্ষা করে কিডনি রোগের বিষয়ে নিশ্চিত হন চিকিৎসকেরা। এরপর তাঁর চিকিৎসা শুরু হয়।

    হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের একটি দল সেখানে যায়। সে সময় পুলিশের ৩০-৪০ জন সদস্য ছিলেন।

    হাসপাতালটির নির্বাহী পরিচালক মো. মুরাদ হোসেন খান বলেন, ‘ডিবির সদস্যরা জ্যাকেট পরা ছিলেন। তাঁরা হাসপাতালে এসেই ২০৩ নম্বর কেবিনে কে ভর্তি, তাঁর বিষয়ে তথ্য চান। কেবিনে গিয়ে তাঁরা ওই রোগীকে দেখতে চান। এরপর ডিবি পুলিশ ডিউটি ডক্টরকে নিয়ে ওই কেবিনে যান। তাঁরা কিছু তথ্য যাচাই-বাছাই করেন। পরে ডিবির একজন অফিসার হাসপাতালের ডিউটি ডক্টরকে বলেন, এই রোগী ফাহিম আহম্মেদ না, তার নাম এজাজ। তার বিরুদ্ধে থানায় মামলা রয়েছে। তাকে তাঁরা নিয়ে যেতে চান। এরপর হাসপাতাল থেকে ডিবি পুলিশ শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে তাঁকে নিয়ে যায়।’

    মুরাদ হোসেন আরও বলেন, ‘এজাজের কিডনির অবস্থা খুবই খারাপ ছিল। তাই আমরা দ্রুত তাঁর চিকিৎসা শুরু করি। তবে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী তাঁকে যখন নিয়ে যায়, তাতে আমাদের স্টাফরা বাধা দিতে পারেননি। কারণ, তাঁরা অনেক ডিবি সদস্য দেখে আতঙ্কিত হয়ে যান।’

    জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে বের করে নেওয়ার পর এজাজকে সকাল ৫টা ৪৫ মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে তাঁর নাম লেখা হয় এজাজ ওরফে ফাহিম আহম্মেদ। ভর্তি রসিদে ডিবির নাম উল্লেখ করা হয়েছে। তবে ভর্তির আগে পথে দুই ঘণ্টা সময় কী হয়েছিল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। কারণ, জিগাতলা থেকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যেতে ভোররাতে ২ ঘণ্টা সময় লাগার কথা নয়। এজাজের পরিবারের অভিযোগ, এই সময় এজাজকে মারধর করা হয়।

    এদিকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের (ঢামেক) নথিতে উল্লেখ করা হয়েছে, ঢামেক হাসপাতালে শনিবার ভোরে ভর্তির পর তাঁর ডায়ালাইসিস শুরু করা হয়। এরপর একই দিন রাত ৮টা ৪৫ মিনিটে এজাজের মৃত্যু হয়।

    এজাজের মৃত্যুর পর মোহাম্মদপুর থানার এসআই শেখ কাদের আহম্মেদ সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরি করেন। প্রতিবেদনে তিনি উল্লেখ করেছেন, এজাজের ডান ও বাম ঊরুর পেছন দিকে নিতম্ব পর্যন্ত রক্তজমা কালশিটে দাগ আছে। পা সামান্য ফোলা। পায়ের পাতা ও আঙুল স্বাভাবিক। বুক ও পিঠের মাঝামাঝি পুরোনো দাগ। পিঠে রক্ত জমা কালচে দাগ আছে এবং দুই হাতে হ্যান্ডকাফ পরানোর দাগ রয়েছে।

    নিহত এজাজের বাবা শাহ আলমের দাবি, জামিনে থাকা সত্ত্বেও শুক্রবার মাঝরাতে জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতাল থেকে এজাজকে ধরে নিয়ে যায় ডিবি পুলিশ। পরে শনিবার ভোরে অসুস্থ অবস্থায় তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে একই দিন রাত সাড়ে ৮টায় তিনি মারা যান। ওয়ারী জোনের একজন এডিসির বিরুদ্ধে নির্যাতনের অভিযোগও করেন তিনি।

    ডিবির সূত্র জানিয়েছে, ডিবির ওয়ারীর একাধিক টিম এজাজকে গ্রেপ্তারে ওই হাসপাতালে গিয়েছিল। তবে এ বিষয়ে ডিবি কোনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য দিতে রাজি হয়নি।

    ডিবি ও মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশের একটি সূত্র জানিয়েছে, হেজাজ বিন আলম ওরফে এজাজ শীর্ষ সন্ত্রাসী সানজিদুল ইসলাম ইমনের সহযোগী ছিলেন। তাঁর বিরুদ্ধে ডাকাতি, হত্যাসহ একাধিক মামলা রয়েছে। তাঁকে ১১ মার্চ সেনাবাহিনী গ্রেপ্তার করে মোহাম্মদপুর থানা-পুলিশে সোপর্দ করে। ১২ মার্চ তাঁকে আদালতে তোলে পুলিশ। অসুস্থতার কারণে তিনি আদালত থেকে জামিন পান। এরপর ১৪ মার্চ রাতে তিনি জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে ভর্তি হন। ডিবি তাঁকে হাসপাতাল থেকে গ্রেপ্তার করে ঢামেক হাসপাতালে নিলে সেখানে তাঁর মৃত্যু হয়।

    এদিকে ডিবি হেফাজতে এজাজের মৃত্যুর বিষয়টি অস্বীকার করেছে পুলিশ। ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উপপুলিশ কমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স) মোহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেছেন, ‘এজাজ ডিবি হেফাজতে মারা যায়নি। কিছুদিন আগে গ্রেপ্তারের পর জামিনে বের হন এজাজ। জামিন পাওয়ার পর আমরা তাঁকে নজরদারিতে রাখি। এরপর থেকে তিনি ধানমন্ডির জাপান বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। সেখান থেকে হাসপাতালের চিকিৎসকেরা তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে রেফার করেন। গতকাল শনিবার ভোর ৪টা ৪০ মিনিটে তাঁকে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। সেখানে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সন্ধ্যায় মারা যান এজাজ। যেহেতু তাঁর নামে মামলা রয়েছে, তাই ঢামেক হাসপাতালে তাঁর সঙ্গে থানা-পুলিশ ও ডিবি পুলিশ উপস্থিত ছিল।’

    সন্ত্রাসী নেটওয়ার্ক
    পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, দীর্ঘদিন কারাভোগের পর গত ১৫ আগস্ট শীর্ষ সন্ত্রাসী সুইডেন আসলাম, পিচ্চি হেলাল ও ইমনের সঙ্গে জামিনে মুক্তি পান এজাজ। মুক্তির পর থেকেই তিনি ঢাকার বিভিন্ন এলাকায় চাঁদাবাজি, অপহরণ ও হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিলেন। কিছুদিন আগে এলিফ্যান্ট রোডে এক ব্যবসায়ীকে হত্যার উদ্দেশ্যে গুলি ও কোপানোর ঘটনার মূল হোতা ছিলেন এজাজ। এ ছাড়া মোহাম্মদপুর, ধানমন্ডি, হাজারীবাগ, নিউমার্কেট, এলিফ্যান্ট রোড ও কলাবাগান এলাকায় ত্রাস সৃষ্টি করতেন তিনি।

    শীর্ষ সন্ত্রাসী ইমন ও পিচ্চি হেলাল বর্তমানে পলাতক থাকায় তাঁদের সন্ত্রাসী গ্যাং এজাজের নেতৃত্বে পরিচালিত হচ্ছিল। এলাকাবাসীর তথ্য অনুযায়ী, এজাজের নেতৃত্বে ১২০ থেকে ১৫০ জনের একটি সন্ত্রাসী চক্র সক্রিয় রয়েছে।

    এজাজের বিরুদ্ধে ঢাকার বিভিন্ন থানায় হত্যা, চাঁদাবাজি, অপহরণসহ ১২ থেকে ১৫টি মামলা রয়েছে বলে জানায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী।

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘জাতীয় এজাজ ছদ্মনামে জামিনে ডিবি বেরিয়েই ভর্তি মৃত হন হাসপাতালে হেফাজতে
    Related Posts
    Vumikompo

    আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

    September 5, 2025
    যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত

    যুক্তরাষ্ট্র থেকে ফেরত এলো আরও ৩০ বাংলাদেশি

    September 5, 2025

    আফগানিস্তানে জরুরি ত্রাণ সামগ্রী পাঠাল বাংলাদেশ

    September 5, 2025
    সর্বশেষ খবর
    Messi

    মেসি বললেন, ‘সম্ভবত আর কোনো বিশ্বকাপ খেলব না’

    পালসার বাইক

    জনপ্রিয়তার শীর্ষে বাজাজের সেরা ৫টি পালসার বাইক

    ঘাড়

    মুখ, ঘাড় ও গলার কালো দাগ দূর করার কিছু জাদুকরী টিপস

    Vumikompo

    আফগানিস্তানে ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ত্রাণ পাঠালো বাংলাদেশ

    জমির খাজনা

    নতুন নিয়মে জমির খাজনা পরিশোধ না করলে হারাতে পারেন আপনার জমি

    ওয়েব সিরিজ

    উল্লুতে মুক্তি পেল সাহসী ওয়েব সিরিজ ‘সিয়াপা’, যা মিস করা যাবে না!

    Sen

    স্বামীর মৃত্যুর ১২ মিনিট পর স্ত্রীর মৃত্যু, কী ঘটেছিল

    Motorola Edge 60 Pro

    Motorola Edge 60 Pro: নতুন যুগের সেরা স্মার্টফোন!

    ওয়েব সিরিজ

    শরীরী উষ্ণতায় ভরপুর নতুন ওয়েব সিরিজ, নেট দুনিয়ায় ঝড়!

    Biman

    বিমানে ওঠার আগে রানওয়েতে বসে প্রস্রাব ভারতীয়র

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.