জুমবাংলা ডেস্ক: ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করতে বড় আকারের গরুগুলোকে ‘বস’, ‘রাজা বাবু’, সাকিব খান, বাহুবলি ‘টাইগার বাবু’সহ নানা ধরনের নাম দিয়ে থাকেন খামারিরা। এরই ধারাবাহিকতায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার নবীনগর উপজেলার লাউরফতেহপুর ইউনিয়নের হাজীপুর গ্রামের খামারি ইউনুস মিয়া নিজের লালন-পালন করা একটি গরুর নাম রেখেছেন ‘জায়েদ খান’। ষাঁড় গরুটির ওজন ৬০০ কেজিরও বেশি।
নবীনগর উপজেলার আহাম্মদপুর কুরবানির পশুর হাটে বিক্রির জন্য তোলা হয়েছে জায়েদ খানকে। প্রাথমিকভাবে গরুটির দাম হাঁকা হচ্ছে তিন লাখ টাকা। তবে ‘জায়েদ খানের’ দাম উঠেছে এক লাখ ৮০ হাজার টাকা।
খামারি ইউনুস মিয়া জানান, এবার কুরবানির পশুর হাটে তোলার জন্য তার খামারে ২২টির বেশি গরু লালন-পালন করেছেন তিনি। তাদের নিয়মিত খড়, ভুসি, কাঁচা ঘাস, কলা, খাওয়ানো হয়। রোগ-জীবাণুর হাত থেকে বাঁচতে প্রতিদিন সাবান-শ্যাম্পু দিয়ে গোসল করানো হয় এবং ছিটানো হয় ব্লিচিং পাউডার ও অ্যান্টিসেপটি স্প্রে।
এর মধ্যে খামারের বড় গরুগুলোকে ক্রেতাদের কাছে আকর্ষণীয় করে তুলতে বিভিন্ন নাম দেওয়া হয়েছে। ‘জায়েদ খানে’র নামও আকর্ষণীয় করে তুলতেই দিয়েছেন বলেও জানান ইউনুস মিয়া।
এদিকে বাংলা চলচ্চিত্রের আলোচিত-সমালোচিত অভিনেতা জায়েদ খানের নামের ওই গরুটি একপলক দেখতে হাটে ভিড় করছেন উৎসুক জনতা।
এই হাটের বাবুল মিয়া নামে একজন গরু ব্যবসায়ী জানান, ঈদ ঘনিয়ে এলেও ষাঁড়ের আশানুরূপ ক্রেতা মিলছে না। অন্যান্য বছরের তুলনায় বর্তমানে সীমিতভাবেই দাম আছে, তবে কিছু দিন পর হয়তো বা দাম বাড়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানান।
উল্লেখ্য, পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষ্যে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় এবার ৮০টির মতো কুরবানির পশুর হাট বসবে। এসব হাটে অন্তত ৭০০ কোটি টাকার পশু বেচাকেনা হবে বলে আশা করছেন সংশ্লিষ্টরা। আর এবার জেলাজুড়ে কুরবানির জন্য পশুর চাহিদা আছে এক লাখ ৭০ হাজারেরও বেশি।
Own the headlines. Follow now- Zoom Bangla Google News, Twitter(X), Facebook, Telegram and Subscribe to Our Youtube Channel