স্পোর্টস ডেস্ক:জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে নিজেদের ৪০০তম ওয়ানডে ম্যাচে মাঠে নেমে ভালো পারফরম্যান্স উপহার দিতে পারেনি বাংলাদেশ টিম। আগে ব্যাটিং করে আনামুল হক বিজয় এবং আফিফ হোসেনের ব্যাটে ভর করে ৯ উইকেটে ২৫৬ রানের সংগ্রহ দাঁড় করায় বাংলাদেশ।
জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তিন ম্যাচ ওয়ানডে সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে হোয়াইটওয়াশ এড়ানোর লক্ষ্যে মাঠে নামে বাংলাদেশ। হারারেতে এদিন টানা নবম টস হারে আবারও আগে ব্যাটিং করতে পাঠানো হয় তামিম ইকবালের দলকে।
টাইগারদের পক্ষে এদিন বিজয় ও আফিফ এই দুই ব্যাটসম্যানই সত্তরোর্ধ্ব ইনিংস খেলেন। এছাড়া অন্যদের মধ্যে মাহমুদউল্লাহর ৩৯ রান ছাড়া বাকিরা আউট হয়েছেন বিশের নিচে। মাহমুদউল্লাহ এই রান করতে খেলেন ৬৯ বল। যেখানে ডট বল ৪৪টি।
এর আগে টসে হেরে ব্যাটিং করতে নেমে টাইগার দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও আনামুল হক বিজয় ভালো সূচনা এনে দেয় দলকে। দুজনে ৪১ রানের জুটি গড়ে তোলেন। এরপর দুইজনের ভুল বোঝাবুঝিতে ব্যক্তিগত ১৯ রানে তামিম রান আউটের ফাঁদে পড়লে ভাঙে জুটিটি।
তামিমের বিদায়ের পর পঞ্চাশ রানের আগেই ৩ উইকেট হারিয়ে বসে বাংলাদেশ। তিনে ও চারে নামা নাজমুল হোসেন শান্ত এবং মুশফিকুর রহিম দুইজনেই শূন্য রানে প্যাভিলিয়নের পথ ধরেন।
এরপর মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে ৭৭ রানের জুটি গড়েন বিজয়। যেখানে আগ্রাসী মনোভাবে ছিলেন বিজয়। একপ্রান্তে ৭১ বলে ৬টি চার ও ৪টি ছয়ে ৭৬ রানের ইনিংস খেলেন বিজয়। তবে দারুণ খেলতে থাকা বিজয় ফেরেন লুক জঙ্গুয়ের নিরীহ এক বলে উইকেট রক্ষক মাদান্দের হাতে ক্যাচ দিয়ে।
বিজয়ের বিদায়ের পর আফিফের সঙ্গে ৪৮ রানের জুটি গড়েন রিয়াদ। ৬৯ বলে ৩ চারে ৩৯ রান করে রিয়াদ বোল্ড হয়ে ফিরলে ভাঙে জুটিটি। এরপর একপ্রান্তে আফিফ একাই লড়াই করতে থাকেন। মিরাজ নেমে ১৪ রান করলেও আফিফকে যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি।
টেলএন্ডারদের ব্যাট থেকেও যথেষ্ট রান আসেনি। আফিফ একপ্রান্তে শেষ পর্যন্ত ৮১ বলে ৮৫ রান করে অপরাজিত থাকেন।
জিম্বাবুইয়ানদের পক্ষে ব্র্যাডলি ইভান্স ৫৩ রানে এবং জঙ্গুয়ে ৪০ রানের বিনিময়ে ২টি করে উইকেট শিকার করেন। সিকান্দার রাজা ৪২ রানে ১ উইকেট নেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।