নিজস্ব প্রতিবেদক, গাজীপুর: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার আসামি ও ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার এপিএস মনিরুল ইসলাম খান।
রোববার (১৮ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ এর জেলার তরিকুল ইসলাম। এর আগে দুপুর আড়াইটার দিকে তিনি কাশিমপুর হাইসিকিউরিটি কেন্দ্রীয় কারাগার পার্ট-১ থেকে জামিনে মুক্তি পান। এসময় তার দুই ছেলে মাসরুর আল শাহির শিহাব ও মাসকুর আল সাকির সামী, মহানগর বিএনপি নেতা নাজমুল হোসেন, মিঠুন শেখসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
কাশিমপুর কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে মনিরুল ইসলাম খান বলেন, মিথ্যা ও ভিত্তিহীন মামলায় বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তিনিও জেল খেটেছেন। এজন্য যারা দায়ী তাদের বিচার দাবি করেন।
তিনি বলেন, মহান আল্লাহর দরবারে অশেষ শুকরিয়া দীর্ঘ কারাভোগের পর সুস্থভাবে সবার কাছে ফিরে এসেছি। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় ফরমায়েশি রায় দিয়ে খালেদা জিয়াসহ আমাদের দণ্ড দেওয়া হয়েছিল। বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে বলে আসছে ফরমায়েশি রায়ের কথা। এ সরকার বিচার ব্যবস্থা, পুলিশ ও প্রশাসনকে ব্যবহার করে ফেরাউনের শাসন চালু করেছিল। সব মামলার জামিন আছে শুধুমাত্র খালেদা জিয়ারসহ আমাদের মামলার জামিন নাই। হাইকোর্ট জামিন আবেদন শোনেনি। দীর্ঘ ১৬ বছর পরে হাজার শহীদের রক্তের বিনিময়ে ছাত্র-জনতা এ সরকারের পতন ঘটিয়েছে। যারা এ মিথ্যা মামলা সাজিয়েছে এবং যারা ফরমায়েশি রায় দিয়েছেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য বর্তমান নিরপেক্ষ সরকারের প্রতি দাবি জানাচ্ছি।
কারাগার সূত্রে জানা গেছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ২৯ অক্টোবর বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া, অবিভক্ত ঢাকা সিটি করপোরেশনের সাবেক মেয়র সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব (এপিএ) মনিরুল ইসলাম খানসহ চারজনকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়। এরপর মনিরুল ইসলামকে এ মামলায় গ্রেফতার দেখানোর আবেদন করলে আদালত সেটি মঞ্জুর করেন।
এছাড়া ২০২৩ সালের ১৭ জানুয়ারি মনিরুল ইসলাম খানকে দুদকের মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন ঢাকার ছয় নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আল আসাদ মো. আসিফুজ্জামান।
জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় ২০১৮ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে। পরে তাকে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগারে পাঠানো হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।