জুমবাংলা ডেস্ক : দিনাজপুরের হিলি স্থলবন্দর দিয়ে ভারত থেকে নতুন জিরার আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় খুচরা বাজারে কেজিপ্রতি দাম কমেছে ৪০০ টাকা। দুই মাস আগে ১১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে জিরা। সেই জিরা বর্তমানে ৭২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।হিলি বাজারের মসলা ব্যবসায়ীরা বলছেন, ভারতে নতুন জিরা ওঠায় বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পেয়েছে। এ কারণে দাম কমে যাচ্ছে। পণ্যটির দাম কমায় খুশি নিম্ন আয়ের মানুষেরা।সোমবার (১২ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে হিলি মসলা বাজার ঘুরে দেখা গেছে, গত বছরে প্রতি কেজি জিরা বিক্রি হয়েছে ৪০০ থেকে ৪৫০ টাকা দরে।ডলার সংকট ও ভারতে জিরার ফলন কম এবং আমদানি কমে যাওয়ার অজুহাতে দাম বাড়তে থাকে। সর্বশেষ দুই মাস আগে ১১২০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে। চলতি বছরে ভারতে নতুন জিরার ফলন ভালো হয়েছে। সেই সঙ্গে বিভিন্ন বন্দর দিয়ে আমদানি বৃদ্ধি পাওয়ায় গত দুই মাস পর্যায়ক্রমে জিরার দাম কমেছে কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা।এর মধ্যে ভারত থেকে আমদানীকৃত ভালো মানের কাকা জিরা ৭২০, বাবা জিরা ৭২০, মধু জিরা ৭২০, অমরিত জিরা ৭২০ টাকা, সোনা জিরা ৭৩০ টাকা ও ডিবিগোল্ড জিরা ৭৪০ টাকা কেজি দরে বিক্রি হচ্ছে।হিলি বাজারে জিরা কিনতে আসা ফরহাদ হোসেন বলেন, ‘দুই মাস আগেও জিরার আকাশছোঁয়া দাম ছিল। এর আগেও ১০০ গ্রাম জিরা ৪০ টাকায় কিনেছি। সেই জিরা কিনতে হয়েছে ১০০ টাকায়। আজকে মসলা কিনতে এসে শুনলাম কেজিপ্রতি ৪০০ টাকা কমেছে।তাই এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকায়। বর্তমানে দাম অনেক কমে এসেছে।’বগুড়া থেকে আসা জিরা ক্রেতা আনিছুর রহমান বলেন, ‘আমি স্বপ্নপূরীতে ঘুরতে এসেছিলাম। সেখানে ঘুরে হিলি স্থলবন্দর ঘুরেও দেখলাম। হিলিতে কম দামে মসলা পাওয়া যায়। তাই মসলা কিনতে আসলাম। আমি বগুড়াতে প্রায় তিন মাস আগে ১২০০ টাকা কেজি দরে জিরা কিনেছি। হিলিতে এসে এক কেজি জিরা নিলাম ৭২০ টাকা দিয়ে। দাম কমায় আমাদের মতো মানুষের অনেক ভালো হলো।’হিলি বাজারে বিসমিল্লাহ মসলা ঘরের ব্যবসায়ী আওলাদ হোসেন বলেন, ‘গত বছরে ভারতে জিরার ফলন কম হওয়ায় বন্দর দিয়ে আমদানিও কমে যায়। সে কারণে জিরার দাম বাড়তে বাড়তে ১১৫০ টাকা কেজি দরে ওঠে। বর্তমান ভারতে নতুন জিরা ওঠায় আমদানি বেড়েছে। তাই দামও কেজিপ্রতি কমেছে ৪০০ টাকা। আমরা ৭১০ টাকা কেজি দরে কিনে ৭২০ টাকায় বিক্রি করছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘আশা করছি আগামীতে দাম আরো কমে আসবে। আগে তো দাম বেশির কারণে বেচাকেনা কম হচ্ছিল। আগে ক্রেতারা ১০০ গ্রাম জিরা কিনত এখন এক কেজি করে ক্রয় করেছে। আগের চেয়ে বেচাকেনা অনেক ভালো হচ্ছে। সাদা এলাচ ও কালো ফলের দাম একটু বেশি। তবে অন্যান্য মসলার দাম স্বাভাবিক আছে।’