Close Menu
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Facebook X (Twitter) Instagram
Bangla news
  • Home
  • Bangladesh
  • Business
  • International
  • Entertainment
  • Sports
  • বাংলা
Bangla news
Home জীবন্ত এক রহস্যময় সমাধি
অন্যরকম খবর

জীবন্ত এক রহস্যময় সমাধি

জীবন্ত এক রহস্যময় সমাধি
rskaligonjnewsDecember 31, 20224 Mins Read
Advertisement

জুমবাংলা ডেস্ক: নবাব-বেগমদের জীবন বরবার রহস্যময়। তেমনি বেশকিছু নবাব এবং বেগম কুখ্যাত ছিলেন তাদেরই নিষ্ঠুরতা এবং ক্রূঢ়তার কারণে। এক নিষ্ঠুর বেগম আজিমুন্নেসা যে নারীর কঠোর হৃদয় দেখে স্তম্ভিত হয়ে গিয়েছিল স্বয়ং তার পিতা। বেগম আজিমুন্নিসা ছিলেন নবাব মুর্শিদকুলি খাঁর পালিতা কন্যা।

সমাধি

মুর্শিদকুলি খাঁ বাংলার প্রথম নবাব ছিলেন। তার বেগম নৌর্সেরি বানু ছিলেন সন্তানহীনা। তাই এক পুত্র ও দুই কন্যাকে তারা লালন পালন করেন। কন্যারা হলেন আজামাতুননিসা এবং আজিমুন্নিসা। মুর্শিদকুলি খাঁ তার কন্যাদের বিয়ে দেন উড়িষ্যার নবাব সুজাউদ্দিন মোহাম্মদ খানের সঙ্গে। যিনি পরে সুজাউদ্দৌলা নামে মুর্শিদাবাদের সিংহাসনে বসেন। সুজাউদ্দিন ছিলেন মুর্শিদাবাদের তৃতীয় স্বাধীন নবাব। তার পত্নী আজিমুন্নিসা বেগম ছিলেন সেই সময়কার সবচেয়ে প্রভাবশালী এবং ধনশালী মহিলা।

একবার তিনি অত্যন্ত দুরারোগ্য ব্যধিতে আক্রান্ত হন । তার পিতা নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ এবং স্বামী সুজাউদ্দৌলা অনেক ডাক্তার, কবিরাজ, হাকিম ডাকেন তাকে সুস্থ করে তোলার জন্য। কিন্তু কোন কিছুতেই তিনি সুস্থ হচ্ছিলেন না। অবশেষে এক হাকিম তার এই দুরারোগ্য অসুখ সারাতে সমর্থ হন। ওষুধের পথ্য হিসেবে তিনি যা দিয়েছিলেন শুনলে সকলের গায়ে কাঁটা দেবে।

সেটি হলো তিনি বেগমকে প্রত্যেকদিন একটি করে শিশুর কলিজা অর্থাৎ হৃদপিণ্ড খাওয়ার পরামর্শ দেন। হাকিম এর কথা অনুযায়ী বেগম প্রত্যেকদিন একটি করে শিশুর কলিজা খেতে থাকেন। কিছুদিন পর তিনি সম্পূর্ণ সুস্থ হয়ে যান। কিন্তু শিশুদের কলিজা খাওয়া তার নেশায় পরিণত হয়। আজিমুন্নেসা বেগম সেই সময়কার অত্যন্ত প্রভাবশালী নারী ছিলেন।

তাই তার অনুচরেরা তার কথামতো প্রত্যেকদিন একটি করে শিশুর কলিজা তাকে এনে দিতেন। এমনিভাবে বেশ কিছুদিন চলার পর খবরটি নবাব মুর্শিদকুলি খাঁ এর কানে ওঠে । তিনি ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ের জন্য অনুসন্ধান শুরু করেন। শেষে যখন দেখা যায় ঘটনাটি সত্য ,তখন তিনি এ ঘটনার শাস্তি স্বরূপ কন্যা আজিমুন্নিসাকে জীবন্ত সমাধি দেন।

আবার অনেকের মতে নবাব সুজাউদ্দৌলা তার স্ত্রীকে জীবন্ত সমাধির আদেশ দিয়েছিলেন, কারণ তাদের দাম্পত্য সম্পর্ক একেবারেই ভালো ছিল না। আজিমুন্নেসা সব সময় স্বামীর চরিত্র নিয়ে সন্দেহ করতেন এবং বিভিন্ন বিষয় তাদের মধ্যে মতবিরোধ লেগে থাকত। আজিমুন্নেসা অত্যন্ত স্বাধীনচেতা প্রকৃতির মানুষ ছিলেন। তিনি পিতা মুর্শিদকুলি খাঁ এর মত একটি মসজিদ নির্মাণ করেন এবং সে মসজিদের নিচেই নিজের সমাধি তৈরি করে রাখেন।

পরবর্তীতে সেই সমাধিস্থলেই তাকে জীবন্ত সমাধি দেওয়া হয়। আজিমুন্নেসা মনে করতেন তার সমাধির ওপরে পুণ্যবান মানুষের পায়ের ছাপ পড়লে তাদের চরণ স্পর্শে তার সমস্ত পাপ স্খলন হবে এবং তিনি মুক্তি লাভ করবেন ‌। আজিমুন্নেসা বেগম এর সমাধির উপরে আরো একটি সমাধি দেখতে পাওয়া যায়। তবে এই সমাধিটি আসলে কার সেটি সঠিকভাবে জানা যায়নি। কেউ কেউ বলেন সমাধিটি সেই হাকিমের আবার কেউ কেউ বলেন সমাধিটির বেগমের বিশ্বস্ত এক অনুচরের।

২৮৫ বছর আগে ঘটা ঘটনার অমীমাংসিত রহস্য আজও মুর্শিদাবাদের আনাচে কানাচে ঘুরে বেড়ায়। আজিমুন্নেসা বেগমের মসজিদটি প্রবল ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে এর কারুকার্য করা একটি দেওয়াল এখনো বর্তমান। এই মসজিদটির সঙ্গে মুর্শিদকুলি খাঁ এর নির্মিত কাটরা মসজিদ এর অনেক মিল পাওয়া যায়।

১৯৮৫ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই ভগ্নপ্রায় মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্ব নেন। এবং তারপরেই এটিকে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ১৭৩৪ সালে নির্মিত এই মসজিদটিতে ঠিক কবে যে আজিমুন্নিসা বেগমকে জীবন্ত সমাধি দেয়া হয়েছিল তা ইতিহাস মনে রাখার প্রয়োজন মনে করেনি। তাই তার মৃত্যুর সঠিক সময়টি অজানাই রয়ে গেছে। এখন মুর্শিদাবাদের লালবাগের আজিমুন্নেসা বেগমের জীবন্ত সমাধি দর্শনে আসেন বহু মানুষ। তাদের চরণ স্পর্শে বেগমের মুক্তিলাভ ঘটেছে কিনা জানা নেই তবে তার জীবদ্দশায় তার করা কুকীর্তির কথা শুনে সকলেই মনে মনে শিহরিত হয়ে ওঠেন এটা এক বাক্যে বলা যায়।

সিঁড়ির নিচে সমাধি হলেও সেখানে আছে প্রশস্ত কক্ষ। ঐ কক্ষেই আজিমুন্নেসার সমাধি। কথিত আছে, সাধারণ মানুষের পদধূলিতে তার শিশু হত্যার পাপমোচনের জন্য মসজিদে ওঠার সিঁড়ির নিচে তাকে জীবন্ত সমাহিত করা হয়। আজিমুন্নেসার সমাধির উপরে আরো একটি সমাধি দেখতে পাওয়া যায়। তবে সেটি কার সমাধি তা কারো জানা নেই। অনেকেই বলেন, সমাধিটি সেই হাকিমের। আবার কারো মতে, বেগমের বিশ্বস্ত এক অনুচরের। ২৯২ বছর ধরে আজও এই ঘটনাটি অমীমাংসিত রহস্য হিসেবেই আছে। মুর্শিদাবাদের আনাচে-কানাচে এই কাহিনি আজও ঘুরে বেড়ায়। আজিমুন্নেসা বেগমের মসজিদটি প্রবল ভূমিকম্পে ধ্বংস হয়ে যায়, তবে এর কারুকার্য করা একটি দেওয়াল এখনো রয়েছে। এই মসজিদটির সঙ্গে মুর্শিদ কুলি খানের নির্মিত কাটরা মসজিদের অনেক মিল পাওয়া যায়।

১৯৮৫ সালে ভারতীয় পুরাতত্ত্ব বিভাগ এই ভগ্নপ্রায় মসজিদটির রক্ষণাবেক্ষণ করে সর্বসাধারণের জন্য খুলে দেয়। নবাব কন্যা আজিমুন্নেসার জীবন্ত কবর দেখতে এরপর থেকে আজও মানুষের ভিড় লেগেই থাকে সমাধিস্থলে। আজিমুন্নেসার জীবন্ত কবরের প্রচলিত কাহিনী শুনে সবাই শিহরিত হয়ে ওঠেন।

সূত্র: বাংলাএক্সপ্রেস

বড় ঘরের ছোট কথা, রাজা, রানি ও বর্ণ

জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
অন্যরকম এক খবর জীবন্ত রহস্যময় সমাধি
Related Posts
Cycle

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

December 15, 2025
অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

December 13, 2025
বাজপাখি

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

December 11, 2025
Latest News
Cycle

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

অপটিক্যাল ইল্যুশনের ছবি

আপনি কতটা বুদ্ধিমান বলে দেবে এই ছবিটি

বাজপাখি

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ নিন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে সাইকেলের টায়ার আছে নাকি নেই খুঁজুন

ছবিটি

ছবিটিতে প্রথমে কী দেখলেন তা বলে দিবে অতীত ও বর্তমান

কুকুর

জুম করে ছবিতে লুকানো কুকুরটি খুঁজুন, ৯৯% মানুষ ব্যর্থ হন

অপটিক্যাল ইলুউশন

ছবিটি জুম করে দেখে বলুন লুকিয়ে কে ঘরের বাহিরে গিয়েছিল

Bird

ছবিটি জুম করে লুকিয়ে থাকা বাজপাখি খুঁজে বের করার চ্যালেঞ্জ! আপনি পারবেন?

ভূল

বলুন তো এই ছবিতে কোথায় ভূলটি রয়েছে? ৯৯% মানুষ ভুল উত্তর দেন

অপটিক্যাল ইলিউশন

ছবিটি জুম করে পাথরের ভিড়ে লুকিয়ে থাকা পাখিটি খুঁজে বের করুন

  • About Us
  • Contact Us
  • Career
  • Advertise
  • DMCA
  • Privacy Policy
  • Feed
  • Banglanews
© 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.