জুমবাংলা ডেস্ক : করোনা ভাইরাস আতঙ্কের মধ্যেও মঙ্গলবার (৭ এপ্রিল) দুপুরে পুরান ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালত প্রাঙ্গণে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য, গণমাধ্যমকর্মী ও আইনজীবী ছাড়াও উৎসুক জনতার ভিড় জমে। কয়েক দিন ধরে আদালত প্রাঙ্গণে সুনসান নীরবতা বিরাজ করছিল। কিন্তু আজ হঠাৎ করে আদালত এলাকা সরব হয়ে ওঠে।
বঙ্গবন্ধু হত্যা মামলার ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত পলাতক আসামি ক্যাপ্টেন আব্দুল মাজেদকে আজ ভোরে গ্রেফতারের পর আদালতে হাজির করা হলে তাকে দেখতেই আদালত প্রাঙ্গণে ভিড় জমে। সবার প্রশ্ন কে এই মাজেদ?
ভোলার বোরহানউদ্দিন উপজেলার বাটামারা গ্রামের মরহুম আলী মিয়া চৌধুরীর ছেলে ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদ। ১৯৭৫ সালে ধানমন্ডির ৩২ নম্বর রোডে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে হত্যাকাণ্ডের সময় তিনি অন্য আসামিদের সঙ্গে সরাসরি অংশগ্রহণ করেন। হত্যাকাণ্ড শেষে তিনি বঙ্গবন্ধু হত্যার অপর আসামি মেজর শাহরিয়ারসহ অন্য সেনা সদস্যদের সঙ্গে রেডিও স্টেশনে দায়িত্ব পালন করেন। এছাড়া তিনি ক্যু কৃত অফিসারদের সঙ্গে বঙ্গভবনে দেশ ত্যাগের পূর্ব পর্যন্ত বিভিন্ন দায়িত্ব পালন করেন। তিনি হত্যাকাণ্ডে অংশগ্রহণকারী অফিসারদের সঙ্গে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমানের আদর্শে বাংলাদেশ থেকে ব্যাংকক হয়ে লিবিয়া গমন করেন।
তিনি সেখানে ক্যু কৃত অফিসারদের সঙ্গে তিন মাস অবস্থান করেন। অবস্থানকালীন হত্যাকাণ্ডের পুরস্কার হিসেবে তৎকালীন সেনাপ্রধান জিয়াউর রহমান তাকে সেনেগাল দূতাবাসে বদলির আদেশ দেন।
পরে ১৯৮০ সালের ২৬ মার্চ জিয়াউর রহমান সরকার ক্যাপ্টেন আবদুল মাজেদকে বিআইডব্লিউটিসিতে চাকরি দেন এবং উপসচিব পদে যোগদানের সুবিধার্থে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে তিনি অংশগ্রহণ করেন। পরে তাকে সচিব পদে পদোন্নতি দেয়া হয়। এরপর তিনি মিনিস্ট্রি অব ইয়ুথ ডেভেলপমেন্টে ডাইরেক্টর ইয়ুথ ডেভেলপমেন্ট পদের জন্য আবেদন করেন এবং ওই পদে যোগদান করেন। সেখান থেকে তিনি ডাইরেক্টর অব হেড অব ন্যাশনাল সেভিংস ডিপার্টমেন্টে বদলি হন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।