লাইফস্টাইল ডেস্ক : মানুষের জীবনে সমস্যার যেন শেষ নেই। কোন ফাঁকে ঘাপটি মেরে লুকিয়ে আছে কোন সমস্যা, তা সবারই অজানা। আবার যে সমস্যারা সামনে এসেছে তারাও যে খুব নিয়ম মেনে সমাধানের পথ বাছতে পেরেছে এমনও না। বরং কোনটা আগে করবেন আর কোনটা পরে, তা নিয়ে তালগোল পাকিয়ে তৈরি হচ্ছে নতুন সমস্যা। হয়ে যাচ্ছেন দিশেহারা।
অনেকেই সমস্যা সমাধানের পথ বেছে নিতে গিয়ে হিমশিম খান। কীভাবে কোন সমস্যা সমাধান করবেন, সেটা বুঝে উঠতে উঠতে আরেকটা সমস্যা ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেলতে থাকে। কী করবেন এরকম পরিস্থিতিতে?
মনোবিজ্ঞানীরা বলছেন, এ ধরনের সমস্যায় প্রথমেই সমস্যাগুলোকে ভয় না পেয়ে সমাধানের পথ ভাবতে বসা উচিত। সমস্যা যত এড়িয়ে যেতে চাইবেন, তা সাময়িক মুক্তি দিলেও অন্য সমস্যার আকারে ফের দেখা দেবে। একসঙ্গে অনেক নয়, বরং এক এক করে করতে হবে সমাধান।
এজন্য প্রথমে ভালো করে ভেবে দেখুন, সত্যিই কি কোনো সমস্যা হয়েছে, না এটা আপনার বোঝার ভুল। খাতা–কলম নিয়ে লিখতে বসে যান। যে যে কারণে মন বিক্ষিপ্ত, তা পর পর লিখুন। পাশাপাশি তার কারণগুলোও লিখলে সত্যি কোনো সমস্যা হয়েছে কিনা তা পরিষ্কার হয়ে যাবে।
একাধিক সমস্যা পাওয়া গেলে সেগুলো পর পর লিখুন। দেখুন এর মধ্যে কোনটা এখনই সামলাতে হবে। কোনটা পরে করলেও চলবে। আর কোনটার সমাধান হাতের বাইরে, অন্তত এই মুহূর্তে।
হাতের বাইরের সমস্যার কথা আপাতত ভুলে যান। এখনই যা সামলানো দরকার, তা নিয়ে ভাবুন। একসঙ্গে একাধিক সমস্যার কথা ভাববেন না। গুরুত্বের ভিত্তিতে যে কোনো একটিকে চিহ্নিত করে নিন।
সমস্যাটাকে ভালো করে বুঝুন। দরকার হলে কাগজে লিখুন বা এ ব্যাপারে দক্ষ কারো সঙ্গে আলোচনা করুন।
কী কী সমাধান হতে পারে তা দেখুন। ধরুন কর্মক্ষেত্রে জটিলতা এতই বেড়েছে যে সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন। কী করবেন? বসের দ্বারস্থ হবেন? অফিসে কোনো সংগঠন থাকলে সেখানে জানাবেন? সমঝোতা করবেন নাকি নতুন চাকরি খুঁজবেন? একই ভাবে অন্য যে কোনো সমস্যায় সম্ভাব্য সমাধান কী কী হতে পারে তা পর পর লিখুন।
প্রতিটি সমাধানের সুবিধা–অসুবিধা কী আছে তা লিখুন পাশে পাশে। লাভক্ষতির নিরিখে বিচার করে এর মধ্যে থেকে সবচেয়ে সুষ্ঠু সমাধানটি বেছে নিন।
এবার ডেডলাইন ঠিক করে কাজে লেগে যান। সে পথেও বাধা আসবে, সেগুলো কীভাবে সামলাবেন তা আগে থেকে ছকে নেওয়ার চেষ্টা করুন। সবসময় পারবেন না অবশ্যই, তখন সামলাতে হবে মাথা ঠান্ডা করে বা দক্ষ কারও পরামর্শ মেনে।
সমাধান হয়ে যাওয়ার পর আর ভালোমন্দ বিচারে যাবেন না। হয়তো আরো ভালো সমাধান আসতে পারত, কিন্তু তা নিয়ে আক্ষেপ করলে কোনো লাভ তো হবেই না, বরং সময় ও ঘুম দুই-ই নষ্ট হবে। তার চেয়ে পরের সমস্যা নিয়ে ব্যস্ত হওয়ার মাঝের অবসরে একটু রিল্যাক্স করুন।
এত যুক্তি, বিচার–বিবেচনার মধ্যে না গিয়ে, আবেগ ও বোধের উপর নির্ভর করেও সমাধান করা যায়। মন যা চাইছে কিছুটা তাই করে ফেলা। হঠকারিতা নয়।
শান্তভাবে মনের গভীরে খুঁজে দেখা, সে কী চাইছে। ধরা যাক, সম্পর্ক ভেঙে গেছে। কোন রাস্তায়, কীভাবে তাকে জুড়ে দেওয়া যায় সেই যুক্তি না সাজিয়ে যদি একটু সময় নিয়ে, খুব সততার সঙ্গে মনকে জিজ্ঞেস করা যায়, সে কী চায়; উত্তর একটা আসবেই। সেই উত্তর অনুযায়ী কাজ করা যেতে পারে। একে বলে ‘ক্রিয়েটিভ প্রবলেম সলভিং’।
তবে বুঝতেই পারছেন, এই পদ্ধতিতে ঝুঁকি বেশি। কাজেই সবচেয়ে ভালো হয় দুটো পদ্ধতিকে একসঙ্গে মিশিয়ে নিলে। আবেগকে সঙ্গে নিয়ে একটু চোখ কান খোলা রেখে কাজ করলে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।