জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ সম্প্রতি তার প্রথম সেটের ফলাফল প্রদান করেছে। প্রাথমিক ছায়াপথ দেখতে প্রত্যাশার চেয়ে বড় এবং আরও বেশি বিশাল মনে হয়। এই ফলাফল মহাবিশ্বে গ্যালাক্সিগুলি কীভাবে তৈরি হয় সে সম্পর্কে আমাদের বোঝার ক্ষেত্রে চ্যালেঞ্জ তৈরি করে। কসমিক ডন সেন্টারের জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা একটি গবেষণা পরিচালনা করেছেন। সেখানে বলা হয় যে, এই ছায়াপথ প্রাথমিকভাবে ধারণার খেকেও বিশাল হতে পারে। প্রথম মহাজাগতিক যুগে এ ধরনের নতুন প্রভাব নিয়ে অধ্যয়ন করা হয়নি।
জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপের পর্যবেক্ষণের সবথেকে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হচ্ছে প্রাচীনতম ছায়াপথের আকার। দূরবীক্ষণ যন্ত্রের প্রথম ছবি প্রকাশের পর থেকে দূরবর্তী গ্যালাক্সিকে প্রত্যাশার থেকেও বড় দেখা যাচ্ছে। ব্যাপকভাবে স্বীকৃত ΛCDM মডেল (ল্যাম্বডা কোল্ড ডার্ক ম্যাটার মডেল) মহাবিশ্বের গঠন এবং বিবর্তনকে বর্ণনা করে।
কসমিক ডন সেন্টারের ছাত্র ক্লারা জিমেনেজ আর্টেগা পিএইচডি করার সময় এর প্রভাব নিয়ে কাজ করেছেন যা এই গবেষণায় আরও অবদান রাখতে পারে। সাধারণত গ্যালাক্সি দ্বারা নির্গত আলোর পরিমাণ পরিমাপ করা এবং সেই পরিমাণ আলো তৈরি করার জন্য প্রয়োজনীয় নক্ষত্রের সংখ্যা নিয়ে কাজ করছে বিজ্ঞানীরা।
ঐতিহ্যগতভাবে, সমগ্র ছায়াপথকে আলো নির্গতকারী একটি সত্তা হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যাইহোক, জেমস ওয়েব স্পেস টেলিস্কোপ দিয়ে পর্যবেক্ষণ করা পাঁচটি ছায়াপথের নমুনা পরীক্ষা করে, গিমেনেজ আর্টেগা দেখতে পেয়েছেন যে একটি গ্যালাক্সিকে সমজাতীয় কাঠামোর পরিবর্তে একাধিক ক্লাম্পের কালেকশন হিসাবে রিপ্রেজেন্ট করা হয়।
তাহলে তারার ভর এত বড় হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা করেছেন গিমেনেজ আর্টেগা। তারাকারাজির জনসংখ্যা একদিকে ছোট এবং অস্পষ্ট নক্ষত্রের মিশ্রণ এবং অন্যদিকে উজ্জ্বল ও বিশাল নক্ষত্রের মিশ্রণ। আমরা যদি শুধুমাত্র সম্মিলিত আলোর দিকে তাকাই, তাহলে উজ্জ্বল নক্ষত্র সম্পূর্ণরূপে অস্পষ্ট নক্ষত্রকে ছাড়িয়ে যাবে। আমাদের বিশ্লেষণ আরও দেখায় যে, উজ্জ্বল তারা গঠনকারী দল মোট আলোর উপর আধিপত্য বিস্তার করতে পারে, তবে ভরের বেশিরভাগ অংশ ছোট তারাগুলিতে পাওয়া যায়।”
নাক্ষত্রিক ভর হল একটি গ্যালাক্সিকে চিহ্নিত করার জন্য ব্যবহৃত প্রধান বৈশিষ্ট্য এর মধ্যে একটি, এবং গিমেনেজ-আর্টেগারের এ গবেষণা ছায়াপথ এর অনেক রহস্য সমাধানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ বলে মনে করা হয়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।