জুমবাংলা ডেস্ক : হেলেনা জাহাঙ্গীর তার জয়যাত্রা টেলিভিশনে জেলা প্রতিনিধি হিসেবে নিয়োগ দেয়ার জন্য ত্রিশ থেকে পঞ্চাশ হাজার টাকা এবং উপজেলা প্রতিনিধি হিসেবে দশ থেকে বিশ হাজার টাকা এককালীন দিতে হত। এছাড়া প্রতিনিধিদের কাছ থেকে প্রতি মাসে দুই থেকে পাঁচ হাজার টাকা সংগ্রহ করা হত। জয়যাত্রা টিভি বিশ্বের প্রায় ৩৪টি দেশে সম্প্রচারিত হত। যেখানে দেশের গুরুত্ব বিবেচনায় এক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বিনিময়ে প্রতিনিধিরা নিয়োগ পেতেন।
মঙ্গলবার (৩ আগস্ট) হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগী হাজেরা খাতুন ও সানাউল্ল্যাহ নূরীকে গ্রেফতারের পর জিজ্ঞাসাবাদে দুপুরে কারওয়ান বাজার র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র্যাবের লিগ্যাল অ্যান্ড মিডিয়া উইংউইয়ের পরিচালক কমান্ডার খন্দকার আল মঈন।
তিনি বলেন, স্যাটেলাইট টেলিভিশনের অনুমতি না নিয়েই হেলেনা জাহাঙ্গীরের জয়যাত্রা টিভি ২০১৮ সাল থেকে হংকংয়ের একটি ডাউনলিংক চ্যানেল হিসেবে সম্প্রচার হয়ে আসছিল। যার ফ্রিকোয়েন্সি হংকং থেকে বরাদ্দ করা হয়। ফ্রিকোয়েন্সির জন্য হংকংকে মাসে প্রায় ছয় লাখ টাকা পরিশোধ করতে হত। হংকং থেকে বরাদ্দ ফ্রিকোয়েন্সির মাধ্যমে বাংলাদেশে সম্প্রচারের কোনো বৈধ অনুমোদন নেই।
এর আগে, মঙ্গলবার ভোরে রাজধানীর গাবতলী এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে করে হেলেনা জাহাঙ্গীরের অন্যতম সহযোগী হাজেরা খাতুন (৬০) ও সানাউল্ল্যাহ নূরীকে (৪৭) গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ২টি ল্যাপটপ ও ২টি মোবাইল জব্দ করা হয়।
তিনি বলেন, হাজেরা খাতুন ২০০৯ সালে কুমিল্লার একটি কলেজ থেকে মাস্টার্স সম্পন্ন করে হেলেনা জাহাঙ্গীরের মালিকানাধীন মিরপুরে একটি গার্মেন্টে অ্যাডমিন (এইচআর) পদে চাকরি শুরু করেন। তিনি হেলেনা জাহাঙ্গীরের নিকটাত্মীয় এবং একইসঙ্গে কর্মদক্ষতা শুনে হেলেনার অত্যন্ত আস্থাভাজন হয়ে উঠেন।
এর ফলে ২০১৬ সালে তিনি ‘জয়যাত্রা ফাউন্ডেশন’ এর ডিজিএম হিসেবে নিযুক্ত হন। এরপর ২০১৮ সালে জয়যাত্রা টিভি প্রতিষ্ঠালগ্ন থেকে অতিরিক্ত দায়িত্ব হিসেবে জিএম (অ্যাডমিন) পদে নিযুক্ত হন। হাজেরা মূলত দুটি প্রতিষ্ঠানের প্রশাসনিক কার্যক্রমসহ হেলেনার আর্থিক বিষয়াদি দেখভাল করতেন বলে জিজ্ঞাসাবাদে জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।