
জুমবাংলা ডেস্ক: মানবিক সহায়তা কর্মসূচির আওতায় ২০১৯-২০ অর্থবছরে দেশের সামুদ্রিক জলসীমায় ৬৫ দিন (২০ মে-২৩ জুলাই) সরকারের নির্দেশে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা জেলেদের জন্য দ্বিতীয় কিস্তিতে ১১ হাজার ৯০৩ দশমিক ৫৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বরাদ্দ করেছে সরকার। খবর ইউএনবি’র।
সমুদ্র উপকূলীয় ১২ জেলার ৫১ উপজেলা এবং চট্টগ্রাম মহানগরীর ৩ লাখ ৯৬ হাজার ৭৮৬টি জেলে পরিবারের জন্য এ বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। এর আওতায় প্রতিটি জেলে পরিবারকে ২৩ দিনের জন্য (১-২৩ জুলাই) ৩০ কেজি হারে ভিজিএফ চাল প্রদান করা হবে।
সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসকদের অনুকূলে ১৯ আগস্ট এ সংক্রান্ত মঞ্জুরি আদেশ জারি করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়। ভিজিএফ চাল ১৫ সেপ্টেম্বরের মধ্যে উত্তোলন ও সংশ্লিষ্টদের মাঝে বিতরণ সম্পন্ন করার জন্য জেলা প্রশাসকদের নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
কার্ডধারী এবং সমুদ্রগামী জেলে ব্যতিত এ ভিজিএফ প্রদান করা যাবে না মর্মে বরাদ্দ আদেশে নির্দেশনা প্রদান করা হয়েছে।
মাছের সুষ্ঠু প্রজনন ও সামুদ্রিক মৎস্য সম্পদ সংরক্ষণের জন্য ২০১৫ সাল থেকে প্রতিবছর ২০ মে থেকে ২৩ জুলাই পর্যন্ত মোট ৬৫ দিন বঙ্গোপসাগরে বাংলাদেশের অর্থনৈতিক জলসীমায় সব প্রকার মৎস্য নৌযান কর্তৃক সব প্রজাতির মৎস্য ও ক্রাস্টাশিয়ান্স (চিংড়ি, লবস্টার, কাটল ফিস প্রভৃতি) আহরণ নিষিদ্ধ করেছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
২০১৯-২০ অর্থবছরে মৎস্য আহরণ নিষিদ্ধকালে সমুদ্র উপকূলীয় ১২ জেলার ৪৪ উপজেলা ও চট্টগ্রাম মহানগরীতে সমুদ্রে মৎস্য আহরণে বিরত থাকা ৪ লাখ ১৯ হাজার ৫৮৯টি জেলে পরিবারকে প্রথম কিস্তিতে ৪২ দিনের জন্য মোট ২৩ হাজার ৪৯৬ দশমিক ৯৮ মেট্রিক টন ভিজিএফ চাল বিতরণ করেছে সরকার।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।