জুমবাংলা ডেস্ক : দীর্ঘ ১০৭ দিন বন্ধ থাকার পর বুধবার মধ্যরাত থেকে কাপ্তাই হ্রদে মাছ ধরা শুরু হয়েছে। মাছ ধরা শুরুর প্রথম দিনে রেকর্ড পরিমাণ ১৮৪.৮৬৯ মেট্রিক টন মাছ পেয়েছেন জেলেরা। এতে প্রায় ৩৭ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর আগে একদিনে এত মাছ ধরা পড়েনি এই হ্রদে। এসব মাছের বাজার মূল্য প্রায় সাড়ে পাঁচ কোটি টাকা বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের কর্মকর্তা সোয়েব সালেহীন।
তিনি জানান, রাঙামাটির চারটি অবতরণ কেন্দ্রের মধ্যে রাঙামাটি সদরে ৯১.৮৬৬, কাপ্তাইয়ে ৬৮.৮৬৭, মারিশ্যায় ৪.৬৮২ ও মহলছড়িতে ১৯.৪৫৪ মেট্রিক টন মাছ এসেছে। গত বছর এই সময়ে মাছ ধরার প্রথম দিনে ১৫৪.৮২৩ মেট্রিক টন মাছ আহরণ হয়েছিল। যার মধ্যে প্রায় ২৮ লাখ টাকার রাজস্ব আদায় হয়।
জেলা বিএফডিসি সূত্রে জানা গেছে, দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার সর্ববৃহৎ কৃত্রিম জলধারা ও বাংলাদেশের অন্যতম প্রধান মৎস্য উৎপাদন ক্ষেত্র রাঙামাটির কাপ্তাই হ্রদ। যা দেশের মিঠা পানির মাছের ভাণ্ডার হিসেবে পরিচিত। গত বছর কাপ্তাই হ্রদ থেকে ১৭ হাজার ৮৭০ মেট্রিক টন মৎস্য আহরিত হয়, সেখান থেকে রাজস্ব আদায় হয় ১১ কোটি ৬৮ লাখ টাকা। ২০২২ সালে হ্রদে ৬০ মেট্রিক টন পোনা অবমুক্ত করা হয়।
বাংলাদেশ মৎস্য উন্নয়ন করপোরেশন (বিএফডিসি) রাঙামাটি বিপণন কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক লেফটেন্যান্ট কমান্ডার মো. তৌহিদুল ইসলাম বলেন, এই বছর কাপ্তাই হ্রদে যে পরিমাণ মাছ ধরা পড়ছে, এ ধারা অব্যাহত থাকলে গত বছরের চেয়ে রাজস্ব আয় বেশি হবে। মাছের প্রাকৃতিক প্রজনন নিশ্চিতে প্রতি বছর পহেলা মে থেকে তিন মাসের জন্য হ্রদে মাছ শিকার বন্ধ থাকে। এ বছর হ্রদে পর্যাপ্ত পানির অভাবে দুই দফায় ১৭ দিন বৃদ্ধি করা হয়।
বুধবার মধ্যরাত থেকে মাছ আহরণ শুরু হওয়ার পর জেলেরা মাছ ধরে ছোট ছোট নৌকা করে নিয়ে আসছে বিএফডিসির অবতরণ ঘাটে। প্রথমদিনেই কাচকি, চাপিলার আধিক্য ছিল সবচেয়ে বেশি। দীর্ঘ বিরতির মাছ আহরণ শুরু হওয়ায় প্রাণচাঞ্চল্য ফিরেছে কাপ্তাইয়ের জেলেদের মাঝে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।