জুমবাংলা ডেস্ক: আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন থেকে শুরু করে ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ, বিশ্বের বড়-বড় রাষ্ট্রনেতার শরীরে নাকি সাধারণ মানুষের রক্ত বইছে না। তাদের রক্তে নাকি রয়েছে ভিন্গ্রহী মিশ্রণ। এমনটাই মনে করেন আমেরিকার ৪ শতাংশ মানুষ। তারা সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে (রেপটিলিয়ান কন্সপিরেসি থিওরি) বিশ্বাস করেন।
আমেরিকার বুকে যে তত্ত্ব মাথা তুলেছিল বিশ শতকের শেষ দিকে। তারপর ধীরে ধীরে ডালপালা মেলেছে সে তত্ত্বভিত্তিক বিশ্বাস।
আমেরিকান তাত্ত্বিক ডেভিড আইক বিশ শতকের শেষ দিকে কিছু বই লিখে সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব প্রচার করেন। প্রাথমিক পর্যায়ে তার তত্ত্ব সাড়া ফেলে দিয়েছিল সারা দেশে। এই তত্ত্ব অনুসারে, বিশ্ব রাজনীতিতে চালকের আসনে যারা আছেন, তাদের বেশির ভাগই সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বের আওতায় পড়েন। মানুষের বেশে থাকলেও তাদের আসল উদ্দেশ্য মানুষের সমাজের উপর আধিপত্য কায়েম করা।
ডেভিড আইকের মতে, প্রাচীন কালে পৃথিবীতে এসে নেমেছিল ভিন্গ্রহীরা। মানুষের চেয়ে বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন এই সমস্ত প্রাণী মানুষের সঙ্গে মিলেমিশে থাকতে শুরু করে। মানবপ্রজাতির সঙ্গে জিনগত মিশ্রণের মাধ্যমে ধীরে ধীরে পৃথিবীতে বংশবিস্তার করে ভিন্গ্রহীরা। তারাই রাষ্ট্রনেতা হিসাবে ক্ষমতার শীর্ষে পৌঁছেছে। দেশ শাসনও করে চলেছে তাদের বংশধরেরাই।
শুধু রাষ্ট্রনেতা নন, সমাজ, অর্থনীতি, সংস্কৃতির নানা ক্ষেত্রে প্রতিষ্ঠিত ক্ষমতাসম্পন্ন ব্যক্তিত্বের শরীরে ভিন্গ্রহী সর্পিল রক্তের যোগ রয়েছে বলে মনে করেন আইকের তত্ত্বে বিশ্বাসীরা। কীভাবে চেনা যায় এই মানববেশী ভিন্গ্রহীদের? তার কিছু বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করা হয়েছিল ফিলিপ বাম্পের ‘হাউ টু স্পট দ্য রেপটিলিয়ান্স রানিং দ্য ইউএস গভর্নমেন্ট’ শীর্ষক প্রতিবেদনে।
সেখানে বলা হয়েছিল, কম রক্তচাপ, চামড়ায় নানা দাগ, চোখের মণির রং সবুজ, নীল বা হালকা বাদামি এই ধরনের বৈশিষ্ট্য এদের চিহ্নিত করার সহজ উপায়। এ ছাড়া, এদের মহাকাশের প্রতি বিশেষ আগ্রহ দেখা যায়। সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্ব নিয়ে আলোচনা করতে গিয়ে কেউ কেউ টেনে এনেছেন বাইবেলের দৃষ্টান্ত। তাদের মতে এই খ্রিস্টান ধর্মগ্রন্থেও ভিন্গ্রহী সরীসৃপদের কথা বলা হয়েছে। ইভের আপেল খাওয়ায় উস্কানি দেওয়ার নেপথ্যে নাকি ছিল সাপের ভূমিকা।
২০১৬ সালে মার্ক জ়াকারবার্গকে একটি সাক্ষৎকারে সরাসরি প্রশ্ন করা হয়, তিনি মানুষের বেশে আসলে ভিন্গ্রহী সরীসৃপ কি না। প্রশ্নটি অত্যন্ত ‘বোকা বোকা’ বলে মন্তব্য করেছিলেন মেটার কর্ণধার। বিশ্বের অন্যতম ধনী ব্যক্তি এবং টুইটারের মালিক ইলন মাস্কের মহাকাশপ্রীতি কারো অজানা নয়। তাকেও এই ‘ছদ্মবেশী ভিন্গ্রহী’দের দলে ফেলে থাকেন কেউ কেউ।
ব্রিটেনের প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ এবং বর্তমান রাজা তৃতীয় চার্লসকেও ভিন্গ্রহী সরীসৃপের বংশধর বলে উল্লেখ করেন অনেকে। ব্রিটেনের গোটা রাজবংশটিকেই এই পর্যায়ে ফেলেন অনেকে। সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাসীরা মনে করেন, আমেরিকার প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের শরীরেও ভিন্গ্রহী রক্ত বইছে। তিনিও মানবজাতির উপর চূড়ান্ত আধিপত্য কায়েমের ষড়যন্ত্রের শরিক।
আমেরিকার মোট জনসংখ্যার ৪ শতাংশ সর্পিল ষড়যন্ত্র তত্ত্বে বিশ্বাস রাখলেও বিজ্ঞানীদের অধিকাংশের দাবি, এই তত্ত্ব আদতে ভিত্তিহীন। অতীতে পৃথিবীর মাটিতে ভিন্গ্রহী হানা, কিংবা তাদের জিনগত সম্প্রসারণের কোনও বৈজ্ঞানিক প্রমাণ মেলেনি।
সূত্র: আনন্দবাজার
চোখের ধাঁধা: ছবির গাছের নিচে লুকিয়ে আছে একটি খরগোশ, বের করার চ্যালেঞ্জ
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।