জুমবাংলা ডেস্ক : টাঙ্গাইলের সখীপুরে জ্বিন তাড়ানোর কথা বলে পঞ্চম শ্রেণীর এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ চেষ্টা মামলায় রুহুল আমিন (৩৫) নামের এক মুয়াজ্জিনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার রাতে ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার বড়কা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়। শুক্রবার রুহুল আমিনকে টাঙ্গাইল আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
ওই ছাত্রীর মা সোমবার দুপুরে মুয়াজ্জিন রুহুল আমিনকে একমাত্র আসামি করে ধর্ষণ চেষ্টার মামলা করে। রুহুল একবছর ধরে উপজেলার কুতুবপুর বাজার কেন্দ্রীয় জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন পদে চাকরি করতেন। ওই ঘটনার পর থেকে সে পালিয়ে ছিল।
পুলিশ জানায়, মাথা ব্যাথা রোগ সারাতে ঝাড়-ফুক দিতে মেয়েটির বাড়িতে আসে মসজিদের মুয়াজ্জিন রুহুল আমিন। দুইদিন বেলা ১১টার দিকে মেয়ের বাড়িতে এসে সবার সামনেই মাথায় ঝাড়-ফুক দেয় ওই মুয়াজ্জিন। তৃতীয় দিন গত ১৩ জুন বাড়িতে এসে মেয়ের মাকে বলে ওকে জ্বিনে ধরেছে। জ্বিন ছাড়াতে বাটিতে সরিষার তেল নিয়ে ওই মুয়াজ্জিন মেয়েকে একা একটা ঘরে নিয়ে যায়। তাঁর অনুমতি ছাড়া ওই ঘরে সবার জন্য প্রবেশ নিষেধ করে দেওয়া হয়। এক পর্যায়ে মেয়ের চোখে সরিষার তেল লাগিয়ে কাপড়-চোপড় খুলে ধর্ষণের চেষ্টা করলে মেয়েটি চিৎকার করে। পরে ঘরের বাইরে থাকা লোকজন চিৎকার শুনে ঘরে ঢুকে মুয়াজ্জিনকে আটক করে গণধোলাই দেয়।
সখীপুর থানার ওসি (তদন্ত) এএইচএম লুৎফুল কবির বলেন, রুহুল আমিনকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। সে ধর্ষণের চেষ্টার কথা স্বীকার করেছে।
জুমবাংলা/এসআর/
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।