Close Menu
Bangla news
    Facebook X (Twitter) Instagram
    Bangla news
    • প্রচ্ছদ
    • জাতীয়
    • অর্থনীতি
    • আন্তর্জাতিক
    • রাজনীতি
    • বিনোদন
    • খেলাধুলা
    • শিক্ষা
    • আরও
      • লাইফস্টাইল
      • বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি
      • বিভাগীয় সংবাদ
      • স্বাস্থ্য
      • অন্যরকম খবর
      • অপরাধ-দুর্নীতি
      • পজিটিভ বাংলাদেশ
      • আইন-আদালত
      • ট্র্যাভেল
      • প্রশ্ন ও উত্তর
      • প্রবাসী খবর
      • আজকের রাশিফল
      • মুক্তমত/ফিচার/সাক্ষাৎকার
      • ইতিহাস
      • ক্যাম্পাস
      • ক্যারিয়ার ভাবনা
      • Jobs
      • লাইফ হ্যাকস
      • জমিজমা সংক্রান্ত
    • English
    Bangla news
    Home জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক: অজানা তথ্য!
    বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক: অজানা তথ্য!

    Md EliasAugust 27, 20257 Mins Read
    Advertisement

    আকাশের তারাগুলি কি শুধুই দূরের জ্বলজ্বলে বিন্দু, নাকি মানবজীবনের অদৃশ্য সুতোয় বাঁধা? যখন রাতের নিস্তব্ধতায় আপনি নক্ষত্রপুঞ্জের দিকে তাকান, তখন কি কখনও গা শিরশির করে ওঠে—এই মহাজাগতিক নকশার সঙ্গে আপনার ব্যক্তিত্ব বা ভাগ্যের কোনো যোগসূত্র আছে কি? এই প্রশ্ন হাজার বছর ধরে মানুষকে তাড়া করে এসেছে। জ্যোতিষশাস্ত্র নিয়ে বিতর্কের ঝড় কখনও থামেনি। কেউ একে অন্ধবিশ্বাস বলেন, কেউ বা প্রাচীন বিজ্ঞানের অমূল্য ভাণ্ডার। কিন্তু জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে আলোচনা যতটা জরুরি, ততটাই অবহেলিত। এই অনুসন্ধানে আমরা খুঁজে বের করব—জ্যোতিষের দাবি ও বিজ্ঞানের মাপকাঠির মাঝে লুকিয়ে থাকা অজানা সত্যিকার সন্ধানগুলো। প্রাচীন পুঁথি থেকে আধুনিক গবেষণাগারের তথ্য—সবকিছুই উঠে আসবে এই অনুসন্ধানে।

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক: প্রাচীন জ্ঞান ও আধুনিক বিজ্ঞানের সংঘাত-সংলাপ

    জ্যোতিষশাস্ত্রের জন্ম প্রাগৈতিহাসিক সভ্যতার গর্ভে। ব্যাবিলনের জিগুরাট থেকে ভারদের বেদ, গ্রিক দার্শনিকদের পর্যবেক্ষণ থেকে মায়া সভ্যতার ক্যালেন্ডার—সবখানেই গ্রহ-নক্ষত্রের সঙ্গে মানবজীবনের সম্পর্কের সন্ধান পাওয়া যায়। কিন্তু এখানেই শুরু হয় বিতর্কের জটিলতা। জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক বোঝার আগে আমাদের বুঝতে হবে—প্রাচীনকালে জ্যোতির্বিদ্যা আর জ্যোতিষশাস্ত্র ছিল একই মুদ্রার এপিঠ-ওপিঠ। কেপলার বা গ্যালিলিওর মতো বিজ্ঞানীরা একইসাথে গ্রহণের সময় গণনা করতেন আর রাজদরবারে ভবিষ্যদ্বাণী দিতেন।

    কিন্তু ১৭ শতকে বৈজ্ঞানিক বিপ্লবের পর এই পথ দুটি ভাগ হয়ে যায়। জ্যোতির্বিদ্যা পরিমাপযোগ্য, পরীক্ষণযোগ্য পথে এগোয়, আর জ্যোতিষশাস্ত্র রয়ে যায় ব্যক্তিনির্ভর ব্যাখ্যা ও ভবিষ্যদ্বাণীর রাজ্যে। জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নিয়ে প্রথম বড় আঘাত আসে ১৯৮৫ সালে। ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ শন কার্লসন একটি যুগান্তকারী ডাবল-ব্লাইন্ড স্টাডি পরিচালনা করেন। ২৮ জন পেশাদার জ্যোতিষীকে দিয়ে তিনি ১১৬ জন ব্যক্তির জন্মকালীন গ্রহস্থিতির ভিত্তিতে ব্যক্তিত্ব বিশ্লেষণ করান। ফল ছিল হতাশাজনক—জ্যোতিষীরা শুধুমাত্র অনুমানের চেয়ে ভালো করতে পারেননি। এই গবেষণা ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের জার্নালে প্রকাশিত হয় এবং বৈজ্ঞানিক মহলে সাড়া ফেলে দেয়।

    তবে এখানেই গল্প শেষ নয়! ফ্রান্সের মনোবিজ্ঞানী মিশেল গকেলিন ৪০ হাজার মানুষের জন্মতথ্য বিশ্লেষণ করে দেখান, কিছু পেশার (যেমন ক্রীড়াবিদ বা শল্যচিকিৎসক) মানুষের জন্মের সময় নির্দিষ্ট গ্রহ (বিশেষ করে মঙ্গল ও শনি) দিগন্তরেখার কাছাকাছি অবস্থানে থাকে। যদিও পরবর্তী গবেষকরা এই তথ্যের পুনরাবৃত্তি করতে পারেননি, তবুও এটি জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে বিতর্ক নতুন করে উসকে দেয়। প্রাসঙ্গিকভাবে, বাংলাদেশের প্রথিতযশা জ্যোতির্বিজ্ঞানী ড. দীপেন ভট্টাচার্য বলেছেন, “জ্যোতিষের দাবি আর বিজ্ঞানের পদ্ধতির মধ্যে ফারাক আকাশ-পাতাল। কিন্তু মহাজাগতিক বস্তুর প্রভাব নিয়ে গবেষণার দরজা একেবারে বন্ধ নয়।”

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক ভিত্তি: মহাকাশীয় বলের প্রভাব ও মানবদেহের রহস্য

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক সম্ভাবনা নিয়ে সবচেয়ে চমকপ্রদ আলোচনা শুরু হয় যখন আমরা জ্যোতিষের মূল দাবিটিকে বৈজ্ঞানিক ল্যাবরেটরিতে নিয়ে যাই—গ্রহ-নক্ষত্র কি শারীরিকভাবে মানুষের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে? এ প্রশ্নের উত্তর খুঁজতে গিয়ে প্রথমে চোখ যায় চাঁদের দিকে। বিজ্ঞান давно প্রমাণ করেছে চাঁদের মহাকর্ষ বল জোয়ার-ভাটা সৃষ্টি করে। কিন্তু এর প্রভাব কি শুধু সমুদ্রেই সীমাবদ্ধ? ২০১৩ সালে ইউনিভার্সিটি অফ বাসেলের এক গবেষণায় দেখা যায়, পূর্ণিমার রাতে মানুষের গভীর ঘুম গড়ে ৩০% কমে যায় এবং মেলাটোনিন হরমোনের মাত্রায় পরিবর্তন আসে। এটা কি প্রমাণ করে জ্যোতিষীরা চাঁদের প্রভাব নিয়ে যা বলেন, তা একেবারে উড়িয়ে দেওয়ার নয়?

    গ্রহগুলোর প্রভাব নিয়ে আরও চাঞ্চল্যকর তথ্য আছে হাতে:

    • মঙ্গলের প্রভাব: NASA-র গবেষণা বলছে, মঙ্গলের চৌম্বকক্ষেত্রের ওঠানামার সঙ্গে সেখানকার বায়ুমণ্ডলের পরিবর্তন জড়িত। যদিও পৃথিবীতে এর সরাসরি প্রভাব নগণ্য।
    • সূর্যকলঙ্কের প্রভাব: সৌরঝড়ের সময় পৃথিবীর চৌম্বকক্ষেত্রে ব্যাঘাত ঘটে, যা বিদ্যুত্ গ্রিড বিকল থেকে শুরু করে পায়রার নেভিগেশনে সমস্যা সৃষ্টি করে। ২০২২ সালে বাংলাদেশের উপকূলে সৌরঝড়ের প্রভাবে রেডিও যোগাযোগে বিঘ্ন ঘটে।
    • জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জৈব-ছন্দ: ক্রোনোবায়োলজি নামক বিজ্ঞানের শাখা প্রমাণ করেছে, মানবদেহের জৈবিক ঘড়ি (circadian rhythm) চাঁদের গতি ও ঋতুচক্র দ্বারা প্রভাবিত হয়। এটা জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক এর একটি ট্যাঙ্গিবল কানেকশন।

    কিন্তু সমস্যা দেখা দেয় স্কেল এ! জ্যোতিষীরা যে দূরের গ্রহ (যেমন শনি, বৃহস্পতি) বা নক্ষত্রের প্রভাবের কথা বলেন, সেগুলোর মহাকর্ষীয় বা চৌম্বকীয় বল পৃথিবীতে পৌঁছানোর সময় এতই ক্ষীণ হয়ে যায় যে একটি মোবাইল টাওয়ারের সিগন্যালের চেয়েও তা দুর্বল। এখানেই জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক সীমাবদ্ধতা স্পষ্ট হয়ে ওঠে। পদার্থবিজ্ঞানের সূত্র বলে, কোনো বস্তুর মহাকর্ষ বল দূরত্বের বর্গের ব্যস্তানুপাতে হ্রাস পায়। অর্থাৎ, জন্মের সময় শনি যে রাশিতে ছিল, তার প্রভাব একটি মশার উড়ে যাওয়ার সময় সৃষ্ট বাতাসের চেয়েও কম!

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের মনস্তাত্ত্বিক দিক: কেন আমরা বিশ্বাস করি?

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দুর্বলতা সত্ত্বেও বিশ্বজুড়ে কোটি মানুষ এর ওপর আস্থা রাখেন। বাংলাদেশে জ্যোতিষচর্চা একটি লাভজনক শিল্পে পরিণত হয়েছে—পত্রিকার রাশিফল থেকে শুরু করে মোবাইল অ্যাপস, টেলিভিশন শো পর্যন্ত এর বিস্তার। এর পেছনে কাজ করে কিছু শক্তিশালী মনস্তাত্ত্বিক প্রক্রিয়া:

    • বর্ণুম প্রভাব (Barnum Effect): মানুষ এমন সব বিবরণে আকৃষ্ট হয় যা সাধারণ ও অস্পষ্ট, কিন্তু ব্যক্তিগত বলে মনে হয়। যেমন—”আপনি কখনও কখনও নিজের সিদ্ধান্ত নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হন”—এমন কথা প্রায় সবার ক্ষেত্রেই প্রযোজ্য! জ্যোতিষীরা এই কৌশল ব্যবহার করেন।
    • নিশ্চিতকরণ পক্ষপাত (Confirmation Bias): আমরা শুধু সেই তথ্য মনে রাখি যা আমাদের বিশ্বাসকে সমর্থন করে। রাশিফলে যদি বলা হয় “আজ আর্থিক লাভ হবে”—আর সত্যিই যদি কেউ রাস্তায় ১০ টাকা পায়, তাহলে সে ভাবে জ্যোতিষ ঠিক বলেছে! কিন্তু অসংখ্য ভুল ভবিষ্যদ্বাণী আমরা ভুলে যাই।
    • নিয়ন্ত্রণের মায়া: অনিশ্চিত জীবনে মানুষ নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি খোঁজে। গ্রহনক্ষত্রের গতিবিধি দেখে ভবিষ্যৎ জানার এই চেষ্টা আসলে উদ্বেগ কমাতে একটি কৌশল।

    ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মনোবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. নাসরিন ওয়াহিদের মতে, “জ্যোতিষশাস্ত্র মানুষের মৌলিক আবেগীয় চাহিদা পূরণ করে—নিয়ন্ত্রণের অনুভূতি, অনিশ্চয়তা হ্রাস এবং জীবনকে বৃহত্তর পরিপ্রেক্ষিতে দেখার সান্ত্বনা। এর আবেদন সহজে ম্লান হবে না।” এই জ্যোতিষ শাস্ত্রের মনস্তাত্ত্বিক দিক এর কার্যকারিতাকে “প্লেসিবো ইফেক্ট”-এর সঙ্গে তুলনা করা যায়—যদিও বৈজ্ঞানিক ভিত্তি নেই, তবুও বিশ্বাসের কারণে মানুষ উপকার পেতে পারে!

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক: ভবিষ্যত গবেষণার সম্ভাবনা ও সীমারেখা

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে গবেষণার দরজা কি সম্পূর্ণ বন্ধ? বিজ্ঞানীরা বলছেন—গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নগুলো এখনও অনুক্ত! যেমন:

    • জন্মকালীন মহাজাগতিক অবস্থা ও দীর্ঘমেয়াদী প্রভাব: মাতৃগর্ভে ভ্রূণের বিকাশের সময় সৌরকর্মাকতা বা চৌম্বকীয় ঝড়ের প্রভাব এখনও অজানা। কিছু গবেষক বলছেন, এই সময়কার মহাজাগতিক বিকিরণ ডিএনএ-তে মিউটেশন ঘটাতে পারে।
    • জ্যোতিষ ও পরিসংখ্যান: বিগ ডেটা এনালিটিক্সের যুগে, লক্ষ লক্ষ মানুষের জন্মতথ্য ও জীবনঘটনা বিশ্লেষণ করে দেখা যেতে পারে—গ্রহস্থিতির সঙ্গে জীবনের উল্লেখযোগ্য ঘটনার কোনো পারস্পরিক সম্পর্ক আছে কি না। তবে এ ধরনের গবেষণায় পদ্ধতিগত ত্রুটি এড়ানো চ্যালেঞ্জিং।
    • জ্যোতিষের সাংস্কৃতিক প্রতিক্রিয়া: বাংলাদেশ বা ভারতের মতো দেশে জ্যোতিষশাস্ত্র শুধু ভবিষ্যদ্বাণী নয়, সামাজিক রীতির অংশ (বিয়ে, গৃহপ্রবেশ, ব্যবসারম্ভ)। এর সমাজ-মনস্তাত্ত্বিক প্রভাব জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক বিশ্লেষণ এর গুরুত্বপূর্ণ অধ্যায়।

    তবে সতর্ক করতেই হয়—জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দাবি যাচাইয়ের ক্ষেত্রে কঠোর মানদণ্ড প্রয়োগ জরুরি। জ্যোতিষীরা প্রায়ই “বৈজ্ঞানিক জ্যোতিষ” দাবি করেন, কিন্তু তাদের পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি (পর্যবেক্ষণ, অনুকল্প, পরীক্ষণ, পুনরুৎপাদন) মানে না। এখানে মূল সমস্যা হলো জ্যোতিষের ভবিষ্যদ্বাণীগুলো অস্পষ্ট ও অপব্যাখ্যাসাপেক্ষ—যা বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে পরখ করা অসম্ভব করে তোলে।

    তাহলে জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে আমাদের চূড়ান্ত অবস্থান কী? গ্রহ-নক্ষত্র নিঃসন্দেহে পৃথিবীর জলবায়ু, জোয়ার-ভাটা ও জৈব ছন্দে প্রভাব ফেলে—এটা বিজ্ঞানের প্রতিষ্ঠিত সত্য। কিন্তু জন্মলগ্নের গ্রহস্থিতি নির্ধারণ করবে আপনার ব্যক্তিত্ব, বিবাহ বা চাকরির ভাগ্য—এ দাবির পক্ষে আজ পর্যন্ত কোনো প্রামাণ্য বৈজ্ঞানিক ভিত্তি পাওয়া যায়নি। জ্যোতিষশাস্ত্র মানবসভ্যতার সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও মনস্তাত্ত্বিক সান্ত্বনার উৎস হিসেবেই মূল্যবান, বিজ্ঞানের বিকল্প হিসেবে নয়। আপনার জীবন নিয়ন্ত্রণের আসল চাবিকাঠি থাকে আপনার হাতেই—বুদ্ধি, পরিশ্রম ও সিদ্ধান্ত গ্রহণের ক্ষমতায়। গ্রহদের দোষারোপ না করে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে পথ চলুন। কারণ, মহাবিশ্বের সবচেয়ে বিস্ময়কর জ্যোতিষ্ক হলো আপনিই—সচেতন, অনুসন্ধানী ও সম্ভাবনাময় মানবমস্তিষ্ক!


    জেনে রাখুন

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক পরীক্ষা কি কখনও সফল হয়েছে?
    ১৯৮৫ সালে শন কার্লসনের গবেষণাসহ বেশিরভাগ বৈজ্ঞানিক পরীক্ষায় জ্যোতিষের ভবিষ্যদ্বাণীমূলক ক্ষমতা ব্যর্থ প্রমাণিত হয়েছে। কিছু গবেষণায় (যেমন গকেলিনের গবেষণা) আংশিক সাফল্যের দাবি উঠলেও পুনরাবৃত্তি পরীক্ষায় তা নিশ্চিত হয়নি। বিজ্ঞানীরা মনে করেন, জ্যোতিষের দাবি পরীক্ষার অযোগ্য কারণ এগুলো অস্পষ্ট ও ব্যাখ্যাসাপেক্ষ।

    চাঁদের প্রভাব কি জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক প্রমাণ করে?
    চাঁদের মহাকর্ষীয় প্রভাবে জোয়ার-ভাটা হয় এবং কিছু গবেষণায় এর মানব ঘুম ও হরমোনের ওপর প্রভাব পাওয়া গেছে। তবে এই প্রভাব সার্বজনীন ও যান্ত্রিক, ব্যক্তিগত ভাগ্য নির্ধারণের সাথে সম্পর্কিত নয়। জ্যোতিষীরা চাঁদের যে “রাশিচক্রীয় অবস্থান”-এর কথা বলেন, তার বৈজ্ঞানিক ভিত্তি অপ্রমাণিত।

    জ্যোতিষশাস্ত্র ও জ্যোতির্বিজ্ঞানের মধ্যে মৌলিক পার্থক্য কী?
    জ্যোতির্বিজ্ঞান মহাজাগতিক বস্তুর পদার্থবৈজ্ঞানিক ধর্ম, গতি ও উৎপত্তি নিয়ে বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে গবেষণা করে। অন্যদিকে জ্যোতিষশাস্ত্র জন্মলগ্নের গ্রহ-নক্ষত্রের অবস্থানকে মানবজীবনের ঘটনার সাথে সম্পর্কিত করে—এটি একটি বিশ্বাসভিত্তিক প্রথা, যার পদ্ধতি বৈজ্ঞানিক মানদণ্ড পূরণ করে না।

    বাংলাদেশে জ্যোতিষশাস্ত্রের আইনি অবস্থান কী?
    বাংলাদেশে জ্যোতিষচর্চা আইনগতভাবে নিষিদ্ধ নয়, তবে জ্যোতিষের দাবিতে প্রতারণা বা অর্থশোধণ করলে তা দণ্ডনীয় অপরাধ। ২০০৮ সালে “অর্থশোধণ দমন আইন”-এর আওতায় কয়েকজন জ্যোতিষীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। জনগণকে সচেতনভাবে সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়।

    জ্যোতিষ বিশ্বাস কি ক্ষতিকর?
    যদি কেউ শুধু মনস্তাত্ত্বিক সান্ত্বনা বা সাংস্কৃতিক প্রথা হিসেবে জ্যোতিষ দেখেন, তাতে সমস্যা নেই। কিন্তু গুরুত্বপূর্ণ জীবনের সিদ্ধান্ত (চিকিৎসা, বিনিয়োগ, বিবাহ) শুধু রাশিফলের ভিত্তিতে নিলে তা ক্ষতির কারণ হতে পারে। জ্যোতিষের ভবিষ্যদ্বাণীতে অতিনির্ভরশীলতা উদ্বেগ ও দায়িত্বহীনতা বাড়াতে পারে।

    জ্যোতিষশাস্ত্রের কোনো দিক কি বিজ্ঞান দ্বারা স্বীকৃত?
    জ্যোতিষশাস্ত্রের মূল দাবি (জন্মকালীন গ্রহস্থিতি দ্বারা ব্যক্তিত্ব/ভাগ্য নির্ধারিত হয়) বিজ্ঞান স্বীকার করে না। তবে জ্যোতিষের ঐতিহাসিক গুরুত্ব, সাংস্কৃতিক প্রভাব ও মানবমনস্তত্ত্বে এর ভূমিকা সমাজবিজ্ঞান ও নৃতত্ত্বের গবেষণার বিষয়।


    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক নিয়ে এই গভীর অনুসন্ধান আমাদের দেখিয়েছে—মহাবিশ্বের রহস্য উন্মোচনে বিজ্ঞানের পথই সবচেয়ে নির্ভরযোগ্য। জ্যোতিষকে সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য বা ব্যক্তিগত বিশ্বাসের জায়গায় রাখলে ক্ষতি নেই, কিন্তু তাকে বিজ্ঞানের বিকল্প ভাবলে চলবে না। গ্রহদের দিকে তাকানোর চেয়ে নিজের ভেতরের অসীম সম্ভাবনার দিকে তাকান—সেখানেই লুকিয়ে আছে আপনার আসল নক্ষত্রলোক!

    জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।
    ‘ও astronomical influence Barnum effect Carlson study horoscope science Michel Gauquelin scientific astrology অজানা গ্রহের প্রভাব জন্ম কুণ্ডলী জ্যোতির্বিজ্ঞান জ্যোতিষ জ্যোতিষ ও বিজ্ঞান জ্যোতিষ গবেষণা জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক তথ্য দিক প্রযুক্তি বাংলাদেশী জ্যোতিষ বিজ্ঞান বৈজ্ঞানিক বৈজ্ঞানিক জ্যোতিষ মনস্তত্ত্ব রাশিফল শাস্ত্রের
    Related Posts
    iphone 17 pro price

    iPhone 17 নিয়ে সর্বশেষ যা জানা গেল

    August 27, 2025
    iQOO 15 Pro

    iQOO 15 Pro : 6.85-ইঞ্চি 2K LTPO OLED ডিসপ্লেসহ আসছে ফ্ল্যাগশিপ ফোন!

    August 27, 2025
    OnePlus 15

    OnePlus 15 : সবচেয়ে শক্তিশালী 5G ফোন হতে চলেছে এটি!

    August 27, 2025
    সর্বশেষ খবর
    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক

    জ্যোতিষ শাস্ত্রের বৈজ্ঞানিক দিক: অজানা তথ্য!

    Land

    অবশেষে পরিবর্তন হয়ে গেল ‍উত্তরাধিকার সম্পত্তি ভাগাভাগি পদ্ধতি

    Oasis, Paul Smith Debut '90s-Inspired Tour Merch Collection

    Oasis, Paul Smith Debut ’90s-Inspired Tour Merch Collection

    US Tariffs Threaten $48.2 Billion in Indian Exports

    US Tariffs Threaten $48.2 Billion in Indian Exports

    ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানা দরকার

    ক্রিপ্টোকারেন্সি সম্পর্কে জানা দরকার: আপনার প্রথম পদক্ষেপ

    South Korea stock market

    South Korea Stock Market Dips as Investors Cash In After US Summit

    মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ

    মিউচুয়াল ফান্ডে বিনিয়োগ: শুরু করার সহজ উপায়

    K-pop Group 'Demon Hunters' Sequel to Address Unanswered Questions

    K-pop Group ‘Demon Hunters’ Sequel to Address Unanswered Questions

    Bachelor in Paradise finale

    Strategic Rose Ceremony Shakes Up Bachelor in Paradise Finale

    পা

    ঘরোয়া উপায়ে হাত-পায়ের কালো দাগ দূর করার দুর্দান্ত উপায়

    • About Us
    • Contact Us
    • Career
    • Advertise
    • DMCA
    • Privacy Policy
    • Feed
    • Banglanews
    © 2025 ZoomBangla News - Powered by ZoomBangla

    Type above and press Enter to search. Press Esc to cancel.