জুমবাংলা ডেস্ক: দেশে ঝুঁকিপূর্ণ সব তৈরি পোশাক কারখানা মনিটরিংয়ের আওতায় আনতে উদ্যোগ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বেসরকারি গবেষণা সংস্থা সেন্টার ফর পলিসি ডায়লগ (সিপিডি)।
বুধবার (৩০ আগস্ট) রাজধানীর ধানমন্ডি কার্যালয়ে ‘তৈরি পোশাকশিল্পে কর্মক্ষেত্রের নিরাপত্তা : অর্জন ধরে রাখার চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক একটি মিডিয়া ব্রিফিংয়ে এ আহ্বান জানান সংস্থাটির গবেষণা পরিচালক খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম।
তিনি বলেন, ঢাকা সাভারে আলোচিত রানা প্লাজা ধসের পর তৈরি পোশাক কারখানা কর্ম পরিবেশ উন্নয়নে নানাবিধ কাজ শুরু হয়। বিগত ১০ বছরে কারখানা কোন পরিষদ নামে অনেক কাজ হলেও তা পুরোপুরি সম্পন্ন হয়নি।
অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন নির্বাহী পরিচালক ডক্টর ফাহমিদা খাতুন।
মিডিয়া ব্রিফিংয়ে বলা হয়, দেশের শিল্প কারখানা গুলোতে গত কয়েক বছরে অগ্নিদুর্ঘটনা বেড়ে চলেছে। ২০২০ সালে যেখানে ১৬৭টি অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটেছিল কত বছর তা বেড়ে হয়েছে ২৪১টি।
এছাড়া আরএমজি সাস্থেয়নিবিলিটি কাউন্সিলের আওতায় দেশে ১৮৮৭ টি কাট নাম মনিটরিং এর মধ্যে রয়েছে আর নিরাপদ হিসেবে ৩৫০ টি কারখানা সনাক্ত করা হয়েছে । অন্যদিকে ৮৫৬ টি কারখানা বর্তমানে কোন পরিদর্শন ব্যবস্থার আওতায় নেই। এই কারখানাগুলোকে অতিসত্বর নিরাপত্তা আওতায় আনতে হবে বলে গুরুত্ব আরোপ করেন ব্রিফিংয়ে। মূলত ইউরোপীয় ক্রেতাদের জোট আকোর্ড এবং উত্তর আমেরিকার কেন্দ্রে জোট অ্যালায়েন্স তৈরি পোশাক কারখানার কর্মপরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে থাকে। আকোর্ড চলে যাওয়ার পর দায়িত্ব নেয় আরএমজি সাস্টেনেইবিলিটি কাউন্সিল।
সংবাদ সম্মেলনে খন্দকার গোলাম মোয়াজ্জেম বলেন, কারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শনের থেকে আরো শক্তিশালী ভূমিকা পালন করতে হবে একই সাথে আর এস পি ও ডি আই এফ এর মধ্যে ঘনিষ্ঠ দরকার পাশাপাশি কারখানা পরিদর্শনে বয়লারকে যুক্ত করা প্রয়োজন। এছাড়া অনেক তৈরি পোশাক প্রতিষ্ঠান ইদানিংকালে নন ট্রেডিশন মার্কেটে তাদের ব্যবসা বর্ধিত করছে। তাই নীতি নির্ধারণ কর্তৃপক্ষের নজর দিতে হবে যাতে এসব প্রতিষ্ঠানেও তদারকির বাইরে না যায়।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।