জুমবাংলা ডেস্ক: ভোলা জেলায় ঘূর্ণিঝড় ইয়াসের প্রভাবে প্রায় ৪৫’শ ঘর-বাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। এর মধ্যে অধিকাংশ বাড়ি-ঘরেরই আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া অতি জোয়ারের পানির ¯্রােতে প্রায় ২ হাজার গরু মহিষ নিখোঁজ রয়েছে। মনপুরায় ৬৫৪টি পুকুর ও মাছের ঘের তলিয়ে গেছে জোয়ারে। এখোনো নি¤œাঞ্চলের ২৩ টি চরে প্রায় ৬০ হাজার মানুষকে জোয়ারে পানি বন্ধী থাকতে হচ্ছে। তাদের জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে শুকনো খাবার দেয়া হচ্ছে। এছাড়া ঝড়ে নিহত ২ জনের পরিবারকে সরকারের পক্ষ থেকে ২০ হাজার টাকা করে মোট ৪০ হাজার টাকা প্রদান করা হয়েছে।
জেলা প্রশাসনের কন্ট্রোল রুমের দায়িত্বে থাকা জেলা ত্রাণ ও পুর্নবাসন কর্মকর্তা মো: মোতাহার হোসেন সকালে বাসস’কে জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাড়ি-ঘরের মধ্যে অধিকাংশই কাঁচা। জোয়ারের তীব্র ¯্রােতে ঘরের নিচের মাটি সরে গিয়ে ঘর পড়ে গেছে, আবার বাতাসে টিনের চাল উড়ে গেছে। ঝড়ে সবচে বেশি ক্ষতি হয়েছে মনপুরায়। এ উপজেলায় ৪ হাজার ৬০টি ঘর-বাড়ি বিধ্বস্ত হয়েছে। এর মধ্যে ৩৭’শ ৪০ টি হচ্ছে আংশিক। এছাড়া লালমোহনে ৬০, চরফ্যসনে ১৭০ ও বোরহানউদ্দিনে ২২০ টি ঘরের ক্ষতি হয়েছে বলে খবর পাওয়া গেছে।
তিনি আরো বলেন, তজুমদ্দিন উপজেলায় ঝড়ে ১২’শ মহিষ ও ৮’শ গরু হারিয়ে গেছে। মনপুরা উপজেলায় ১ কিলোমিটার পাকা রাস্তা সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। কাঁচা সড়ক ২৫ কিলোমিটার। এছাড়া ২টি ব্রীজ কালভার্ট ও ১টি মসজিদ সম্পূর্ণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ইতোমধ্যে সরকারের পক্ষ থেকে পানিবন্ধীদের জন্য ৩৭’শ ৫০ প্যাকেট শুকনো খাবারের বরাদ্দ এসেছে। ক্ষয়ক্ষতির তালিকা এখানো চলছে বলে জানান তিনি।
অন্যদিকে বোরহানউদ্দিন উপজেলায় অতি জোয়ারের পানিতে ১০০ টি পুকুর ও ঘেরের মাছ ভেসে গেছে। ১ কিলোমিটার বেড়িবাঁধের আংশিক ক্ষতি হয়েছে। এছাড়া ২’শ মিটার বাঁধ সম্পূর্ণ ক্ষতি হয়। গতকাল থেকেই ক্ষতিগ্রস্ত বাঁধের কাজ চলছে। এ উপজেলায় ৫ কিলোমিটার কাঁচা রাস্তার আংশিক ক্ষতি হয়।
এদিকে উপকূলের এ জেলায় সকাল থেকেই ঝড়ো হাওয়ার সাথে থেমে থেমে বৃষ্টিপাত হচ্ছে। উত্তাল রয়েছে মেঘনা নদী। সূত্র: বাসস
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।