বিনোদন ডেস্ক : সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে বাংলাদেশে ঝটিকা সফরে এসে আবারও নিজ বাসভূমে ফিরে গেলেন ৯০-এর দশকের জনপ্রিয় অভিনেতা টনি ডায়েস। যুক্তরাষ্ট্রের একটি কোম্পানীর গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত টনি ডায়েস।
তবে সেখানে যাওয়ার দীর্ঘদিন পর দেশের টিভি দর্শকের জন্য বিশেষ এক উপহার রেখে গেছেন। আসছে বড়দিনকে সামনে রেখে মাছরাঙা টেলিভিশনের নিয়মিত আয়োজন ‘রাঙা সকাল’-এর বিশেষ পর্বে অংশ নিয়েছেন টনি ডায়েস। রুম্মান রশীদ খান ও কাজী রওশন আরা সাকী’র উপস্থাপনায় ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বে টনি ডায়েস জানিয়েছেন তার জীবনের না বলা অনেক কথা।
খ্রিস্টান রোমান ক্যাথলিক টনি ডায়েস শুধু চার্চে গিয়ে বা ঘর সাজিয়ে ক্রিসমাস পালন করেন তা নয়, শারদীয় দূর্গাপূজার সময় স্থানীয় মন্দিরে গিয়ে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সাথে পূজা দেখা বা ঈদের দিন মুসলিম বন্ধুদের সঙ্গে কোলাকুলি করা তার অন্যতম ভালো লাগার বিষয়।
ঈদে দুধ-সেমাই না খেলে পুরো বছরের আনন্দই তার অপূর্ণ মনে হয়। শুধু তাই নয়, এসএসসি’তে ধর্ম বিষয়ে ইসলাম শিক্ষা নিয়ে পড়াশোনা করে পূর্ণমান ১০০ তে ৯৮-ও পেয়েছিলেন তিনি।
ছোটবেলা থেকে অভিনয়ের পোকা মাথায় ঘুরপাক খেলেও আবৃত্তি সংগঠন ও বেতারে কাজের অভিজ্ঞতা পেরিয়ে ১৯৮৯ সালে নাগরিক নাট্য সম্প্রদায়ের সঙ্গে যুক্ত হন তিনি। সেখানে টানা পাঁচ বছর মঞ্চে অভিনয় করার সুযোগ না পেলেও আক্ষেপ ছিল না তার। মূল অভিনয়শিল্পীদের প্রম্পটার হিসেবে কাজ করে ১৯৯৪ সালে বাংলাদেশ টেলিভিশনে অডিশন দেয়ার সুযোগ পান।
টনি ডায়েস জানান, তার কর্মজীবনের প্রথম সম্মানী ছিল ৫০ টাকা। বাংলাদেশ বেতার থেকে পাওয়া এ সম্মানী ছিল ওই সময়ের জন্য বিশেষ কিছু। অভিনয়কে ভীষণভাবে মিস করেন টনি ডায়েস। আর তাই মনের মতো পান্ডুলিপি ও চরিত্র পেলে ১০-১৫ দিনের জন্য বাংলাদেশে এসে যে কোনো সময় কাজ করতে তিনি প্রস্তুত।
এ সময়ের অভিনয়শিল্পীদের মধ্যে টনি ডায়েসের বিশেষ প্রিয় আফরান নিশো, জোভান, মেহজাবিন চৌধুরী, তানজিন তিশা ও শবনম ফারিয়া। ‘রাঙা সকাল’-এর এই বিশেষ পর্বটি প্রচারিত হবে আসছে ২৫ ডিসেম্বর, সকাল ৭টায় মাছরাঙা টেলিভিশনে। অনুষ্ঠানটি প্রযোজনা করছেন জোবায়ের ইকবাল।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।