টাইটানিক সিনেমাটি পৃথিবীর সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্রগুলোর একটি। এই সিনেমাটি প্রযোজনা করেছিল টুয়েন্টিথ সেঞ্চুরি ফক্স এবং পরিচালনা করেছিল জেমস ক্যামেরন। এটি প্রথম সিনেমা যা বক্স অফিসে ১ বিলিয়নের মাইলফলক অতিক্রম করেছিল। সিনেমাটি মুক্তি পাওয়ার পর থামেনি টাইটানিকের জয়যাত্রা। এটি বিশ্বের প্রথম সিনেমা যা এক বিলিয়ন ডলার আয় করেছিল।
সিনেমাটির প্রযোজনা প্রক্রিয়ায় টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ দেখার সুযোগ পেয়েছিল পরিচালক জেমস ক্যামেরন। এটি কানাডার নোভা স্কোটিয়ার ম্যারিটাইম মিউজিয়াম অভ দ্য আটলান্টিক এ সংরক্ষিত আছে। সিনেমাটি অস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল এবং একসাথে ১৪টি ক্যাটাগরিতে মনোনয়ন পেয়েছিল। এটি ১৯৫০ সালের ‘All About Eve’ সিনেমাকে টক্কর দিয়েছিল এবং অস্কার বাগিয়ে নিয়েছিল ১১টি ক্যাটাগরিতে।
সিনেমাটির শেষাঙ্কে রোজ এবং জ্যাককে একটি পাটাতনের উপর ভেসে থাকতে দেখা যায়। এই পাটাতনের ধারণা পরিচালক নিয়েছিলেন আসল টাইটানিকের এক ওডেন প্যানেলিংয়ের মডেল থেকে, যেটার খোঁজ মিলেছিল টাইটানিকের ধ্বংসাবশেষ থেকে।
সিনেমাটির ফিল্মিংয়ের মাঝামাঝি সময়ে ৮০ জন ক্রু মেম্বার অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। টাইটানিক সিনেমাটি একটি সাফল্য এবং এটি বিশ্বের সবচেয়ে সফল চলচ্চিত্রগুলোর একটি হিসাবে স্থান করে নিয়েছে। টাইটানিক সিনেমাটি একটি মহাকাব্যিক প্রণয়ধর্মী চলচ্চিত্র যা ১৯৯৭ সালে মুক্তি পায়।
এই চলচ্চিত্রটি রচনা, পরিচালনা এবং প্রযোজনা করেছেন জেমস ক্যামেরন। এই চলচ্চিত্রটি টাইটানিক জাহাজের দুর্ঘটনা নিয়ে নির্মিত যা ১৯১২ সালে সাগরে ডুবে গিয়েছিল। চলচ্চিত্রটির প্রধান চরিত্রগুলো হলো জ্যাক ড’সন (লিওনার্ডো ডিক্যাপ্রিও), রোজ ডিউইট বিউকেটার (কেট উইন্সলেট), কেইলডন “ক্যাল” নেথান হকলি (বিলি জেইন), রুথ ডিউইট বিউকেটার (ফ্রান্সিস ফিশার), এবং ক্যাপ্টেন এডওয়ার্ড জন স্মিথ (ক্যাথি বেটস)।
জাহাজটি তৈরি করতে যত খরচ হয়েছিল, তার চেয়েও বেশি খরচ হয়েছিল চলচ্চিত্রটি নির্মাণে। টাইটানিক নির্মাণে 7.5 মিলিয়ন ইউরো খরচ হয়েছিল, অন্যদিকে চলচ্চিত্রটি নির্মাণে 200 মিলিয়নেরও বেশি ইউরো খরচ হয়েছে। লিওনার্দো ডি’ক্যাপ্রিও এবং কেট উইন্সলেট চরিত্রে অভিনয়ের জন্য প্রথম পছন্দ ছিলেন না।
ব্র্যাড পিট, টম ক্রুজ এবং ম্যাডোনা এই চরিত্রে অভিনয়ের জন্য বিবেচিত হয়েছিলেন। চলচ্চিত্রে যে সব ছবি জ্যাক রোজকে আঁকছিল সেগুলো আসলে পরিচালক জেমস ক্যামেরন নিজ হাতে একেছিলেন।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।