টাইম মেশিন নিয়ে অল্পবিস্তর আলোচনা বহু আগে থেকেই হচ্ছে। এমনকি ১৮৯৫ সালেই এই নামে একটি বিজ্ঞান কল্পকাহিনি প্রকাশিত হয়েছিল এইচ জি ওয়েলসের কলমে। বিশেষ করে, ১৯০৫ সালে আইনস্টাইনের স্পেশাল রিলেটিভিটি তত্ত্বটি প্রকাশের পর সময় নিয়ে মানুষের কল্পনা ভিন্ন মাত্রা পায়।
স্টিফেন হকিং এটাকে কেবল জনপ্রিয় করেছেন, যেহেতু তাঁর বই প্রচুর বিক্রি হয়েছিল। তুমি যে সম্ভাবনাটির কথা লিখেছ, এটির প্রমিত নাম ‘গ্র্যান্ডফাদার প্যারাডক্স’। এমন প্যারাডক্স নিয়ে অনেক মুভিও আছে, তুমি হয়তো ব্যাক টু দ্য ফিউচার চলচ্চিত্রটির কথা শুনে থাকবে। সম্ভব হলে দেখে নিয়ো।
এসবের মোদ্দাকথা হলো, অতীতে ফিরে গিয়ে নিজের দাদাকেই যদি মেরে ফেলো, তবে তুমি আসবে কোত্থেকে? এর বিপরীতে অনেক ব্যাখ্যা আছে। যেমন ক্রনোলজি প্রোটেকশন বিধি। এই তত্ত্ব অনুযায়ী, প্রকৃতি কখনোই তোমাকে এটা করতে দেবে না।
কিন্তু প্যারালাল ইউনিভার্সের সম্ভাবনা যদি সত্যি হয়, তখন আবার বিকল্প অনেকগুলো সম্ভাবনার কথা আসে, বাস্তবতা তখন বিকল্প পথে ধাবিত হয়। যদিও প্যারালাল ইউনিভার্সের অস্তিত্ব এখন পর্যন্ত কাগজে-কলমেই। তাই তোমার প্রশ্নের উত্তর হচ্ছে, এটা সম্ভব নয়। তুমি তোমার অতীতে যেতে পারবে না। তবে তুমি ভবিষ্যতে যেতে পারবে, যদি অত্যধিক দ্রুতগতিসম্পন্ন কোনো নভোযানে চড়ে বসো। এমন হলে, তোমার যদি কোনো যমজ ভাই বা বোন থাকে, তাহলে বছর দশেক পর ফিরে এলে দেখবে, তোমার বয়স ১০ বছর বাড়লেও তোমার ভাই বা বোনের বয়স বেড়েছে কয়েক গুণ।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।