জুমবাংলা ডেস্ক : জাতিসংঘ ঘোষিত টেকসই উন্নয়ন লক্ষমাত্রা অর্জনে বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মকাণ্ড, গবেষণা, উদ্ভাবন ও সফলতার ভিত্তিতে টাইমস এবং কিউএস প্রতিবছর প্রকাশ করে দুটি আন্তর্জাতিক রাঙ্কিং। আজ বুধবার (১২ জুন) প্রকাশিত হয়েছে ২০২৪ সালের টাইমস হায়ার এডুকেশন আন্তজার্তিক বিশ্ববিদ্যালয় ইমপ্যাক্ট রাঙ্কিং। টাইমসের এই মর্যাদাপূর্ণ রাঙ্কিংয়ে বাংলাদেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মাঝে দ্বিতীয় এবং আন্তর্জাতিক তালিকায় ১০০১তম হয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।
এসডিজি ১৪ তথা সমুদ্র বিষয়ক কর্মকাণ্ডে বিশ্বের সেরা ৪০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের মাঝে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর অবস্থান। সমুদ্র নীতি প্রনয়ন, সাগর বিষয়ক গবেষণা, প্রান্তিক মাছ চাষীদের জন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন এবং উপকূল রক্ষায় চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর মেরিন সায়েন্স অনুষদ ও হালদা গবেষণাগার, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগ এর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা এই অবস্থানের পেছনে বড় ভূমিকা রেখেছে। পরিবেশ রক্ষায় অবদানের জন্য এসডিজি ১৫ করে অর্জনে সেরা ৫০০ বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকাতে স্থান পেয়েছে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়। এই ক্ষেত্রে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে গাছ লাগানো, কার্বন নিঃসরণ হ্রাস, বিশ্ববিদ্যালয়ে অরণ্য ও সবুজ স্থানের পরিমাণ, পরিবেশ নিয়ে গবেষণা, দূষণ রোধে কার্যকর উপায় নিয়ে কর্মকাণ্ড, পরিবেশ নীতিতে অবদান ও আন্তর্জাতিক যৌথ গবেষণাকে অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ন হিসেবে মূল্যায়ণ করা হয়েছে।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের বনবিদ্যা ও পরিবেশবিজ্ঞান ইনস্টিটিউট, উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগ, ভূগোল ও পরিবেশ বিজ্ঞান বিভাগ এবং মৃত্তিকা বিজ্ঞান বিভাগের গবেষণা ও কর্মকাণ্ড এই ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ছিল। স্বাস্থ্য সুরক্ষায় গবেষণা ও কর্মকাণ্ডের জন্য এসডিজি ৩ এ চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় এর অবস্থান ৮০১—১০০০ এর মধ্যে। রোগ নিয়ে গবেষণা (ডায়বেটিস, ক্যান্সার, জেনেটিক রোগ, অটিজম), সংক্রামক ব্যাধি (কভিড, ডেঙ্গু, নিউমোনিয়া), এন্টিবায়োটিক অকার্যকারিতা, মাতৃ স্বাস্থ্য, শিশু স্বাস্থ্য, রোহিঙ্গা ও অভিবাসীদের স্বাস্থ্য, স্বাস্থ্য অর্থনীতি নিয়ে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগ, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণ বিজ্ঞান বিভাগ, মাইক্রোবায়োলজী বিভাগ ও নৃবিজ্ঞান বিভাগের কর্মকাণ্ড এই ক্ষেত্রে সমাদৃত হয়েছে। বৈষম্য হ্রাসে অবদান রাখার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান এসডিজি ১০ এ সেরা ৮০০—১০০০ এ। নারী পুরুষ শিক্ষার্থীদের সুষম অনুপাত, নারী শিক্ষার্থীদের কর্মক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য অবদান ও স্বীকৃতি, নারী শিক্ষকদের গবেষণায় বিশেষ ভূমিকা, শারীরিক প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ভবন নক্শা, দারিদ্র্য হ্রাসে উল্লেখযোগ্য সংখ্যক শিক্ষার্থীর জন্য বৃত্তির ব্যবস্থা করায় এ তালিকায় স্থান পাওয়া চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম কারণ।
চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এ প্রাপ্তিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. আবু তাহের চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় রাঙ্কিং কমিটির সকল সদস্য, বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকল শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। উপাচার্য বিশ্ববিদ্যালয় পরিবারের সকলের সন্মিলিত প্রচেষ্টা ও আন্তরিক সহযোগীতায় এ বিশ্ববিদ্যালয় অচিরেই দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে স্থান করে নিতে শিক্ষা—গবেষণা, উদ্ভাবন ও সমন্বিত প্রচেষ্ঠার ওপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি এ লক্ষ্য বাস্তবায়নে সকলকে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সবোর্চ্চ সততা, স্বচ্ছতা ও আন্তরিকতার সাথে পালনের আহবান জানান।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।