বিনোদন ডেস্ক: ইউটিউব হোক বা টিকটকের রিল, অথবা ইনস্টাগ্রামের পাতা- সব কিছুতেই ছেয়ে গেছেন দিল্লির অভিনেত্রী অঞ্জলি অরোরা। আজকাল অবশ্য একটি ভাইরাল এমএমএস বিতর্কের আঁচ থেকে নিজেকে বাঁচাতে ব্যস্ত অঞ্জলি। তবে সে বিতর্কের আগেও বহুবার তার ‘বেফাঁস’ কথায় বিতর্ক ছড়িয়েছে।
ভুবন বাদ্যকারের ‘কাঁচা বাদাম’ গানের ছন্দে ঝড় তোলা অঞ্জলিকে নিয়ে উচ্ছ্বাসে ভেসেছেন ‘লক আপ’-এর ভক্তেরা। কঙ্গনার ‘জেলে বন্দি’ থাকতে গিয়ে একের পর এক বোমা ফাটিয়েছেন তিনি। উঠেছে অঞ্জলির জনপ্রিয়তার পারদ। কখনও স্ট্যান্ড-আপ কমেডিয়ান মুনাওয়ার ফারুকির সঙ্গে দুষ্টুমিষ্টি প্রেম তো কখনও নিজের যৌনজীবন নিয়ে খোলামেলা ‘স্বীকারোক্তি’। অঞ্জলিকে যে অস্বীকার করার উপায় নেই, তা বেশ বুঝিয়ে দিয়েছেন তিনি।
‘লক আপে’ থাকাকালীন অঞ্জলি একবার বলে বসেন তার রাশিয়া সফরের কথা। যা শোনার পর অনেকেরই চোখ কপালে! তার সোজাসাপ্টা কথা- ‘ডিসেম্বরে রাশিয়ায় বেড়াতে গিয়েছিলাম। তখন আমি সিঙ্গল। সেখানকার হোটেলের রিসেপশনিস্টকে দারুণ লাগত। এক শনিবারের রাতে আমি ওর থেকে পাঁচ হাজার রুবল (ভারতীয় মুদ্রায় আড়াই হাজার টাকা) নিয়েছিলাম।’ এখানেই থেমে থাকলে বোধ হয় অঞ্জলির রুশ সফর নিয়ে এত হইচই হতো না। তবে তিনি সেখানেই থেমে থাকেননি। অঞ্জলি বলে চলেন সেই রাতের কথা- ‘আমার শুধু টাকার দরকার ছিল। আমাকে সে অর্থ দিয়েছিল। তার পর রাতভর দুজনে একসঙ্গে পার্টি করেছিলাম। আমার কোনো বন্ধু সে কথা জানে না। জানি না, মা-বাবা এ কথা শুনে কী বলবে।’
রুশ হোটেলকর্মীর সঙ্গে কি শুধুই পার্টি করেছিলেন অঞ্জলি? এ নিয়ে অনেকেই তাদের কল্পনায় বহুদূর গেছেন। আর অঞ্জলিকে নিয়ে বিতর্কের নৌকার পালে জোর হাওয়া লেগেছিল। এতেই শেষ নয়। ‘লক আপে’ মুনাওয়ারকে দেখার পর সোজা তাকে মনের কথা খুলে বলেছিলেন অঞ্জলি। দুষ্টু লোকেদের অবশ্য দাবি, এ সবই ছিল লোকদেখানো। কি বলেছিলেন অঞ্জলি? বেশ তো দুজনে একে অপরের চোখে চোখ, হাতে হাত রেখে ঘুরে বেড়াতেন। তারই ফাঁকে এক পর্বে অঞ্জলি বলে ফেলেছিলেন, ‘আমি তোমাকে ভালবাসি’ তা শুনে মুনাওয়ারের মুচকি হাসি বেরিয়েছিল। তিনি পাল্টা বলেছিলেন, ‘তোমার জন্য মাথার ডাক্তারকে ডাকছি।’ সঙ্গে সঙ্গে অঞ্জলির জবাব ছিল, ‘হ্যাঁ, তার প্রয়োজন আছে।’
অঞ্জলি এবং মুনাওয়ার- এমন ‘মিষ্টি’ জুটির প্রেম প্রেম ভাব সবে জমে উঠতে শুরু করেছে ‘লক আপে’, সে সময়ই আবার নিন্দুকদের হানা। ‘ও সব প্রেমট্রেম যে সবই মিছে’ তেমন কথাও ভেসে এসেছিল। মুনাওয়ারের প্রতি তার টান অমোঘ- এমন দাবি করেন অঞ্জলি। তিনি বলেন, ‘লক আপে থাকার সময় নিজের সমস্ত আবেগ মেলে ধরেছিলাম। ওই খেলার কোনো পর্বেই মিথ্যা কথা বলিনি। মুনাওয়ারের প্রতি আমার টানও অস্বীকার করিনি। একবার ভালোবাসার কথা বলার পর পিছু হটিনি। মিথ্যা বলে আমার কী লাভ?’
আজকাল অবশ্য সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল একটি এমএমএস নিয়ে অঞ্জলির দিকে আঙুল তুলেছেন অনেকে। এক জোড়া যুগলের শরীরী মিলনের দৃশ্য ভেসে উঠেছে তাতে। অনেকের দাবি, ওই ভিডিও ক্লিপের তরুণী আসলে অঞ্জলি। সত্যি নাকি? ঝাঁকে ঝাঁকে প্রশ্নের তীর এগিয়ে আসতেই ভেঙে পড়েছেন অঞ্জলি। ইউটিউবার সিদ্ধার্থ কাননের কাছে সাক্ষাৎকারে কেঁদেকেটে অঞ্জলির দাবি, তার নামে কুৎসা রটানো হচ্ছে। মজা লুটতেই এভাবে তার সম্মান নিয়ে ছিনিমিনি খেলা চলছে। সত্য-মিথ্যার বিচারের রায় আসার আগেই অবশ্য আবারও বিতর্কের ঘোলাজলে ডুবে গিয়েছেন অঞ্জলি। সূত্র : আনন্দবাজার
নিজের কণ্ঠে গাওয়া প্রথম গানের জন্য বিদেশ থেকে সম্মান পেলেন মনামী
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।