জুমবাংলা ডেস্ক : টানা ঊর্ধ্বমুখী প্রবণতার পর দেশের শেয়ারবাজারে টানা দরপতন দেখা দিয়েছে। সেইসঙ্গে কমেছে লেনদেনের গতি। আগের কার্যদিবসের মতো বুধবারও (১৪ ফেব্রুয়ারি) শেয়ারবাজারে ঢালাও দরপতন হয়েছে। ব্যাংক, বিমা, আর্থিক প্রতিষ্ঠানসহ সবখাতের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এর মাধ্যমে টানা তিন কার্যদিবস শেয়ারবাজারে দরপতন হলো।
ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) যে কয়টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম বেড়েছে, কমেছে প্রায় তার চারগুণ। অপর শেয়ারবাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জেও (সিএসই) অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমেছে। ফলে দুই বাজারেই কমেছে প্রধান মূল্যসূচক।
দিনের লেনদেন শেষে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম কমলেও এদিন লেনদেনের শুরুর চিত্র ছিল সম্পূর্ণ ভিন্ন। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার দাম বাড়ার মাধ্যমে লেনদেন শুরু হওয়ায় প্রথম মিনিটেই ডিএসইর প্রধান সূচক ৩০ পয়েন্ট বেড়ে যায়।
তবে প্রথম ঘণ্টার লেনদেন শেষ হওয়ার আগেই দাম কমার তালিকায় চলে আসে বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠান। ফলে সূচকও ঋণাত্মক হয়ে পড়ে। মধ্যে সূচক কিছুটা বাড়লেও, শেষ ঘণ্টায় বিক্রির চাপ বেড়ে যায়। ফলে প্রধান মূল্যসূচকের মোটামুটি বড় পতন দিয়েই দিনের লেনদেন শেষ হয়।
দিনের লেনদেন শেষে ডিএসইতে দাম বাড়ার তালিকায় স্থান করে নিয়েছে ৭৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিট। বিপরীতে দাম কমেছে ২৭৮টির। আর ৩৮টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের দাম কমলেও ৫টির শেয়ার দাম বেড়ে হল্টেড (একদিনে যতটা বাড়া সম্ভত ততটাই বেড়েছে) হয়েছে।
অধিকাংশ প্রতিষ্ঠানের দাম কমায় ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ২৩ পয়েন্ট কমে ৬ হাজার ৩৭১ পয়েন্টে নেমে গেছে। অপর দুই সূচকের মধ্যে বাছাই করা ভালো ৩০টি কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএসই-৩০ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ৮২ পয়েন্ট বেড়ে ২ হাজার ১৭২ পয়েন্টে অবস্থান করছে। আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক আগের দিনের তুলনায় দশমিক ১৯ পয়েন্ট কমে ১ হাজার ৩৯১ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে।
প্রধান মূল্যসূচক কমার পাশাপাশি কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। ডিএসইতে লেনদেন হয়েছে ১ হাজার ১৭৩ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। আগের কার্যদিবসে লেনদেন হয় ১ হাজার ৬৪৬ কোটি ৪১ লাখ টাকা। সে হিসেবে লেনদেন কমেছে ৪৭২ কোটি ৮৩ লাখ টাকা।
এ লেনদেনে সব থেকে বেশি অবদান রেখেছে বেস্ট হোল্ডিংয়ের শেয়ার। কোম্পানিটির ১২১ কোটি ৪০ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছ। দ্বিতীয় স্থানে থাকা লাভেলো আইসক্রিমের ৫০ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। ৪২ কোটি ৪২ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেনের মাধ্যমে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।
এছাড়া ডিএসইতে লেনদেনের দিক থেকে শীর্ষ দশ প্রতিষ্ঠানের তালিকায় রয়েছে, ফু-ওয়াং সিরামিক, ওরিয়ন ইনফিউশন, ওরিয়ন ফার্মা, আফতাব অটোমোবাইল, মালেক স্পিনিং, আইএফআইসি ব্যাংক এবং এবি ব্যাংক।
অপর শেয়ারবাজার সিএসইর সার্বিক মূল্যসূচক সিএএসপিআই কমেছে ১০২ পয়েন্ট। বাজারটিতে লেনদেনে অংশ নেওয়া ২৬৯টি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে ৫৬টির দাম বেড়েছে। বিপরীতে দাম কমেছে ১৯২টির এবং ২১টির দাম অপরিবর্তিত রয়েছে। লেনদেন হয়েছে ৪৪ কোটি ২২ লাখ টাকা। আগের দিন লেনদেন হয় ২৪ কোটি ৯২ লাখ টাকা।
পুঁজিবাজার থেকে টাকা তোলার অনুমোদন পেল ক্রাফটসম্যান ফুটওয়্যার
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।