জুমবাংলা ডেস্ক : ত্রিপুরায় বন্যা পরিস্থিতির আরও অবনতি হয়েছে। এতে মারা গেছেন ১০ জন আর আক্রান্ত ৩৫ হাজারেরও বেশি মানুষ।
এদিকে বাংলাদেশে বন্যার দায় সরাসরি অস্বীকার করেছে ভারত।
২১ আগস্ট থেকে ত্রিপুরায় টানা বৃষ্টি হচ্ছে। ফলে ত্রিপুরার বিভিন্ন জেলা বন্যায় আক্রান্ত। সরকারি হিসাব অনুযায়ী, গত তিন দিনে অন্তত ১০ জনের মৃত্যু হয়েছে, আক্রান্ত প্রায় ৩৫ হাজার।
একই সঙ্গে পার্শ্ববর্তী বাংলাদেশের বিভিন্ন এলাকা বন্যায় প্লাবিত এবং সেখান থেকে দাবি করা হচ্ছে,
ত্রিপুরার গোমতী নদীর উজানে ডুম্বুর বাঁধের পানি ছেড়ে দেওয়ায় বাংলাদেশের লোকেরা বন্যায় আক্রান্ত হয়েছেন। যদিও ভারত সরকারের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বিষয়টি খারিজ করেছে।
বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালযের এক লিখিত বিবৃতিতে জানানো হয়েছে, ‘ত্রিপুরা এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় অত্যধিক বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা হয়েছে। আমরা লক্ষ্য করেছি বাংলাদেশের তরফে অভিযোগ উঠছে, ত্রিপুরার দামদুর বাঁধের জল ছেড়ে দেয়ায় সেই দেশের বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এটা তথ্যগতভাবে ভুল। ডুম্বুর বাঁধ ভারত বাংলাদেশ সীমান্ত থেকে ১২০ কিলোমিটার দূরে রয়েছে। সেই বাঁধের উচ্চতা মাত্র ৩০ মিটার, সেখানে যে জল জমা হয় সেটা বাংলাদেশে বন্যার কারণ হতে পারে না।’
বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারত এবং বাংলাদেশের মধ্যে বিভিন্ন নদী রয়েছে এবং প্রাকৃতিক দুর্যোগের ফলে দুই দেশের লোকেরাই ক্ষতিগ্রস্ত হন। পরিস্থিতি সামাল দিতে আমাদের এক হয়ে কাজ করতে হবে, অযথা দোষারোপ করার প্রয়োজন নেই।’
ত্রিপুরা সরকারের কৃষিমন্ত্রী রতনলাল নাথ জানিয়েছেন, ‘গোমতী হাইড্রো ইলেকট্রিক প্রজেক্টের কোনও গেট খোলা হয়নি। তাদের রিজার্ভারে ৯৪ মিটার পর্যন্ত জল ধরে রাখার ক্ষমতা রয়েছে। এর বেশি জল জমা হলে সেটা পাশের গেট দিয়ে সহজেই বেরিয়ে যায়। ফলে হঠাৎ করে গেট খুলে দিয়ে অত্যধিক জল ছাড়ার প্রশ্ন ওঠেনা।’
মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহা জানিয়েছেন, বঙ্গোপসাগরে নিম্নচাপের ফলে তাদের রাজ্য এবং পার্শ্ববর্তী এলাকায় গত তিনদিন অত্যধিক বৃষ্টিপাত হয়েছে। তিনি বলেন, ‘আমরা এধরনের বৃষ্টিপাত আগে কখনো দেখিনি। বিশেষ করে গোমতী জেলা এবং তার আশপাশের এলাকায় গত তিনদিনে ৩৭৫ থেকে ৩৮০ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত হয়েছে। হঠাৎ এত বেশি বৃষ্টিপাতের ফলে ভয়ঙ্কর বন্যা পরিস্থিতি দেখা দিয়েছে এবং আমরা রাজ্য ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর সহায়তায় ত্রাণকার্য চালিয়ে যাচ্ছি।’
বৃহস্পতিবার সকালে ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ত্রিপুরার পরিস্থিতির খোঁজ নেন। তিনি মুখ্যমন্ত্রী মানিক সাহার সঙ্গে ফোনে কথা বলেন এবং পরিস্থিতি সামাল দিতে সব ধরনের সহায়তার আশ্বাস দেন।
ত্রিপুরা রাজ্যের দুর্যোগ মোকাবেলা বিভাগের তরফে দেওয়া তথ্য অনুযায়ী, বৃহস্পতিবার পর্যন্ত প্রায় ৩৫ হাজার লোক বন্যায় আক্রান্ত। ৬৬২০টি পরিবার বন্যার ফলে ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছে। রাজ্যে এখন পর্যন্ত ৩৪৬টি ত্রাণ শিবির গড়ে তোলা হয়েছে।-ডয়চে ভেলে
ডুম্বুর বাঁধের কোনও গেইট খুলে দেওয়া হয়নি, দাবি ত্রিপুরার কৃষিমন্ত্রীর
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।