জুমবাংলা ডেস্ক : করযোগ্য আয় না থাকলেও ট্যাক্স সনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন) আছে এমন ব্যক্তিদের জন্যও ২ হাজার টাকা কর নির্ধারণের প্রস্তাব করেছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর)। আসন্ন বাজেটে এ প্রস্তাবের উপর সিদ্ধান্ত নেয়া হতে পারে।
তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, এমন নীতি আয়কর আইনের সাথে সাংঘর্ষিক। এতে রিটার্ন জমায় নিরুৎসাহিত হবেন টিআইএনধারীরা।
চলতি অর্থবছর ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কেনা, ব্যাংক ঋণ নেয়া, গ্যাস সংযোগ পাওয়াসহ ৩৮ সেবার আবেদনে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র বা স্লিপ বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এতে চলতি অর্থবছর রিটার্ন জমার পরিমাণ ২৪ শতাংশ বেড়ে ২৯ লাখ ছাড়িয়েছে। দেশে মোট টিআইএনধারীর সংখ্যা ৮২ লাখের বেশি।
সরকারি অন্তত ৪০ ধরনের সেবার জন্য আয়কর রিটার্ন জমার স্লিপ বাধ্যতামুলক। বর্তমানে করযোগ্য আয় না থাকলে রিটার্ন দাখিলের পর এনবিআর থেকে স্লিপ পেতে কোন অর্থ খরচ করতে হয়না। কিন্তু আসন্ন বাজেটে এক্ষেত্রে কমপক্ষে ২ হাজার টাকা ধার্য করা হতে পারে। রাজস্ব আয় বাড়াতে এমন পদক্ষেপ।
এনবিআরের এ সিদ্ধান্তের সমালোচনা করছেন সাধারণ মানুষ। তারা বলছেন, করযোগ্য আয় থাকলে কর দিতে আপত্তি নেই। করযোগ্য আয় না থাকার পরেও কর কেন দেবেন তা নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন তারা।
চলতি অর্থবছরে এনবিআরের রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা ৩ লাখ ৭০ হাজার কোটি টাকা। এর মধ্যে আয়করের লক্ষ্য ১ লাখ ২১ হাজার কোটির বেশি। যদিও ১০ মাসে আদায় হয়েছে ৭৮ হাজার কোটি টাকা। ন্যূনতম কর ধার্য করার পরিবর্তে রাজস্ব বাড়াতে করযোগ্য বড় জনগোষ্ঠীকে শনাক্তে জোর দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
সাবেক কর কমিশনার সাজ্জাদ হোসেন ভুঁইয়া বলেন, ‘আয়কর শুধু কর নয়, এটা সামাজিক ন্যায় বিচারের একটি ইন্সট্রুমেন্টও বটে। স্বাভাবিক নীতিমালা হলো যার করযোগ্য আয় আছে তিনিই আয়কর প্রদান করবেন।
‘করযোগ্য আয়কর নেই এরকম করদাতাকে ২ হাজার টাকা প্রদান করতে বলাটা সমীচিন হবে বলে মনে হয় না।’
উচ্চমূল্যস্ফীতির বিবেচনায় এবার বাজেটে করমুক্ত আয়সীমা ৫০ হাজার টাকা বাড়িয়ে সাড়ে তিন লাখ করার প্রস্তাব করা হতে পারে। এছাড়া সর্বোচ্চ স্তরের আয়ে করহার বাড়িয়ে আবার ৩০ শতাংশ করা হতে পারে।
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।