জুমবাংলা ডেস্ক : প্রাণিজগতের প্রতিটি প্রাণীকেই খাদ্যগ্রহণ করে টিকে থাকতে হয়। অনেক খেটে-খুটে প্রতিটি প্রাণী নিজের বেঁচে থাকার আহার সংগ্রহ করে। মানুষ হোক কিংবা সামান্য পিঁপড়া বা ইঁদুর। সকলেই নিজের পেটের দায়ে খাটে।
একটুকরো এটোঁ খাবার আয়োজন করতে ইঁদুর এসে আমাদের পাতা ফাঁদে জীবন দেয়। বিষ খায়। পাতাল, বাসা, অফিসের অন্ধকারে বাস করে। ঝুঁকি নিয়ে মানুষের পাশে থেকেই খাদ্য সংগ্রহের সুযোগে থাকে।
পরিবেশবিদরা শহুরে ইঁদুর সম্পর্কে জানতে চেষ্টা করছেন। শহরে অহরহ খাবার পড়ে থাকে না। গ্রামের মতো ধান বা গমের জমিও নেই। তাহলে কীভাবে এই সামান্য এটোঁ খাবার দিয়ে করছে জীবধারণ?
শারীরবৃত্তীয় পরিবর্তন বা গঠনই কেমন হচ্ছে।
২০১৭-এর মলিকিউলার ইকোলজি জার্নালে গবেষকরা জানান সেই পরিবর্তনের কথা। নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্কে বাস করা সাদা-পায়ের ইঁদুরের বিপাকীয় জিনে এসেছে বেশ পরিবর্তন। এই জিন চর্বিযুক্ত স্ন্যাক্স, জটিল শর্করা সহজে হজমে সহায়তা করে। শহরের বাইরের ইঁদুরগুলোর সাধারণ খাদ্য শস্য, ফলমূল। আশেপাশে এসব খাবারের বাইরে কিছু পাওয়া যায় না।
টিকে থাকতে হলে এসব তৈলাক্ত ও জটিল শর্করাই খেতে হবে। সে মতেই এই শহরের সদস্যগুলো নিজেদের মানিয়ে নিয়েছে। হজমে সহায়ক জিন বিবর্তিত হয়েছে।
বিশেষজ্ঞরা এই ধারণাটিকে একটু কৌতুক করে নাম দিয়েছেন ‘দ্য চিজবার্গার হাইপোথিসিস’। তবে এই পরিবর্তনগুলো অঞ্চলভেদে ভিন্ন হতে পারে। যেমন, ম্যামোলজির আরেকটি গবেষণা জানাচ্ছে অন্য বৈশিষ্ট্যের কথা। পেনসিলভেনিয়ার পিটাসবার্গের সাদা-পায়ের ইঁদুরগুলোর মাথার খোলস—অন্য যে-কোনো ইঁদুর থেকে বড়ো। জীববিজ্ঞানীরা মনে করেন, বড়ো মস্তিষ্কের সুবিধা আছে। শহরের কোলাহলের পরিবেশেও ইঁদুরগুলোর শিকার ধরার দক্ষতা বাড়ে। স্মৃতিশক্তি শক্তিশালী হয়।
সূত্র: নিউ সায়েন্টিস্ট
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।