টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ কোন দেশ কতবার নিয়েছে
২০২১ আইসিসি টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ হবে আইসিসি টি২০ বিশ্বকাপের সপ্তম আসর, যে টুর্নামেন্টের ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে। ওয়েস্ট ইন্ডিজ টুর্নামেন্টের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন।
এর পূর্বে ২০২০ সালের ১৮ অক্টোবর থেকে ১৫ নভেম্বর সময়ে অস্ট্রেলিয়ায় ২০২০ পুরুষ টি২০ বিশ্বকাপ আয়োজনের কথা থাকলেও ২০২০ সালের জুলাই মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট কাউন্সিল (আইসিসি) কোভিড-১৯ মহামারির কারণে টুর্নামেন্টটি স্থগিত হয়েছে বলে নিশ্চিত করে।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে ২০২১ সালের টুর্নামেন্টটি আয়োজন করবে ভারত, এবং সে সাথে অস্ট্রেলিয়াকে ২০২২ সালের টুর্নামেন্টটি আয়োজনের দায়িত্ব দেয়া হয়। কিন্তু এর পরে ২০২১ সালের জুন মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে ভারতে কোভিড-১৯ পরিস্থিতির অবনতির আশঙ্কা থাকায় টুর্নামেন্টটি ভারত থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
টুর্নামেন্টটি শুরু হবে ২০২১ সালের ১৭ অক্টোবর এবং টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলা হবে ১৪ নভেম্বর। টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড একযোগে আয়োজন করবে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান।
এখন পর্যন্ত টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ কোন দেশ কতবার জিতেছে, দেখে নিন তালিকা –
ভারত-পাকিস্তান, ২০০৭, দক্ষিণ আফ্রিকা
প্রথম টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপের ফাইনাল খেলেছিল উপমহাদেশের দুই চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী দেশ ভারত-পাকিস্তান। ভারতের ১৫৭ রান তাড়া করতে নেমে পাকিস্তানকে প্রায় জিতিয়েই দিচ্ছিলেন ইনফর্ম মিসবাহ-উল-হক। টি২০ ক্রিকেটে শেষ চার বলে ৬ রান নেওয়া কঠিন কিছু নয়। কিন্তু যোগিন্দর শর্মার বলে স্কুপ মারতে গিয়ে তিনি ধরা খেলেন ফাইন লেগে শান্তকুমারান শ্রীশান্তের হাতে। মিসবাহ বিশ্বকাপটাই হাত থেকে ফেলে দিলেন। ট্রফি উঠে গেলো ঝাঁকড়া চুলের মহেন্দ্র সিং ধোনির হাতে।
ফাইনালের স্কোরকার্ড:
ভারত: ১৫৭/৫ (২০ ওভার) (গৌতম গম্ভীর ৭৫, রোহিত শর্মা ৩০*, ইউসুফ পাঠান ১৫, যুবরাজ সিং ১৪। উমর গুল ২৮/৩, মোহাম্মদ আসিফ ২৫/১, সোহেল তানভির ২৯/১।)
পাকিস্তান: ১৫২/১০ (১৯.৩ ওভার) (মিসবাহ-উল-হক ৪৩, ইমরান নাজির ৩৩, ইউনিস খান ২৪, ইয়াসির আরাফাত ১৫, সোহেল তানভির ১২। ইরফান পাঠান ১৬/৩, আর পি সিং ২৬/৩, যোগেন্দর শর্মা ২০/২, শ্রীশান্ত ৪৪/১।
ফল: ভারত ৫ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ইরফান পাঠান (ভারত)। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: শহীদ আফ্রিদি (পাকিস্তান)।
পাকিস্তান-শ্রীলংকা, ২০০৯, ইংল্যান্ড
প্রথম বিশ্বকাপের আক্ষেপ পাকিস্তানকে খুব বেশি দিন বয়ে বেড়াতে হয়নি। দক্ষিণ আফ্রিকা বিশ্বকাপের দুই বছরের মাথায় ইংল্যান্ডে বসলো দ্বিতীয় টি২০ বিশ্বকাপের আসর। এবার ফাইনালে পাকিস্তানের প্রতিপক্ষ উপমহাদেশেরই আরেক দল শ্রীলংকা। শ্রীলংকার ১৩৮ রান টপকানো কঠিন মনে হচ্ছিল পাকিস্তানের। কিন্তু সঠিক সময়ে নিজেকে আবার প্রমাণ করে আফ্রিদি খেললেন অপরাজিত ৫৪ রানের ইনিংস। ৮ বল বাকি থাকতেই শিরোপা উঠে গেল ইউনিস খানের হাতে।
ফাইনালের স্কোরকার্ডঃ
শ্রীলংকা: ১৩৮/৬ (২০ ওভার) (কুমার সাঙ্গাকারা ৬৪*, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস৩৫* সনাথ জয়াসুরিয়া ১৭, চামারা সিলভা ১৪। আব্দুল রাজ্জাক ২০/৩, শহীদ আফ্রিদি ২০/১, উমর গুল ২৯/১, মোহাম্মদ আমির ৩০/১।)
পাকিস্তান: ১৩৯/২ (১৮.৪ ওভার) (শহীদ আফ্রিদি ৫৪*, কামরান আকমল ৩৭, শোয়েব মালিক ২৪, শাহজাইব হাসান ১৯। সনাৎ জয়াসুরিয়া ৮/১, মুত্তিয়া মুরালিধরন ২০/১।
ফল: পাকিস্তান ৮ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: শহীদ আফ্রিদি। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: তিলকরত্নে দিলশান।
অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড, ২০১০, ওয়েস্ট ইন্ডিজ
টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ এর সাফল্য দেখেই কি না আট মাস পেরোতে না পেরোতেই আরেকটি টি২০ বিশ্বকাপের আয়োজন করে ফেললো আইসিসি! ফাইনালে মুখোমুখি অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ড। সাধারণের মত ছিল, চ্যাম্পিয়ন হওয়া যাদের নেশা সেই অস্ট্রেলিয়ার কাছে স্রেফ উড়ে যাবে ইংলিশরা! কিন্তু হলো উল্টো। অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটে হারিয়ে ইংল্যান্ড টি২০ বিশ্বকাপই শুধু জিতলো না একটি ঐতিহাসিক অপবাদের দায়মুক্তিও ঘটালো। আইসিসির বৈশ্বিক কোন টুর্নামেন্টে ওটাই যে ছিল ইংলিশদের প্রথম কোন শিরোপা।
ফাইনালের স্কোরকার্ড:
অস্ট্রেলিয়া: ১৪৭/৭ (২০ ওভার) ( ডেভিড হাসি ৫৯, ক্যামেরন হোয়াইট ৩০, মাইকেল ক্লার্ক ২৭, মাইকেল হাসি ১৭*। রায়ান সাইডবটম ২৬/২, লুক রাইট ৫/১, গ্রায়েম সোয়ান ১৭/১)।
ইংল্যান্ড: ১৪৮/৩ (১৭ ওভার) ( ক্রেইগ কিসওয়েটার ৬৩, কেভিন পিটারসেন ৪৭, ইয়ন মরগ্যান ১৫, পল কলিংউড ১২। স্টিভেন স্মিথ ২১/১, মিচেল জনসন ২৭/১, শন টেইট ২৮/১।
ফল: ইংল্যান্ড ৭ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: ক্রেইগ কিসওয়েটার। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: কেভিন পিটারসেন।
শ্রীলংকা-ওয়েস্ট ইন্ডিজ, ২০১২, শ্রীলংকা
বহুদিন পর ওয়েস্ট ইন্ডিজ তাদের স্বর্ণযুগের কথা মনে করিয়ে দিল। ওয়ানডে বিশ্বকাপে পরপর দুটি বিশ্বকাপ ট্রফি জয় করা ক্যারিবিয়রা নিজেদের হারিয়ে খুঁজছিল। ঠিক এই সময়ই তারা শ্রীলংকার মাটি থেকে টি২০ বিশ্বকাপ জিতে নিল। লংকানদের ৩৬ রানে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন হওয়ার গৌরব অর্জন করলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ। ফাইনালে মারলন স্যামুয়েলসের ৭৮ রানের ইনিংস মনে রাখার মতো। আর দু’দুবার টি২০ বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও শিরোপা হাতছাড়া করতে হলো শ্রীলংকাকে।
ফাইনালের স্কোরকার্ড:
ওয়েস্ট ইন্ডিজ: ১৩৭/৬ (২০ ওভার) ( মারলন স্যামুয়েলস ৭৮, ড্যারেন স্যামি ২৬, ড্যারেন ব্রাভো ১৯। অজন্তা মেন্ডিস ১২/৪, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ১১/১, ধনঞ্জয়া ১৬/১।
শ্রীলংকা: ১০১/১০ (১৮.৪ ওভার) ( মাহেলা জয়াবর্ধনে ৩৩, নুয়ান কুলাসেকারা ২৬, কুমার সাঙ্গাকারা ২২। সুনীল নারিন ৬/৩, ড্যারেন স্যামি ৬/২, মারলন স্যামুয়েলস ১৫/১, স্যামুয়েল বদ্রি ২৪/১, রবি রামপাল ৩১/১।
ফল: ওয়েস্ট ইন্ডিজ ৩৬ রানে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: মারলন স্যামুয়েলস। ম্যান অব দ্য টুর্নামেন্ট: শেন ওয়াটসন।
ভারত-শ্রীলংকা, ২০১৪, বাংলাদেশ
বাংলাদেশের মাটিতে অনুষ্ঠিত টি২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপেরও ফাইনালে উঠলো শ্রীলংকা। প্রতিপক্ষ ভারত। এবার একই ভুলের পুনরাবৃত্তি করলো না লংকানরা। ফাইনালে ১৩ বল হাতে রেখে খুব সহজেই ভারতকে পরাজিত করে শিরোপা জিতে নিলো লাসিথ মালিঙ্গার দল। একই সঙ্গে ফাইনাল না জেতার অতৃপ্তি ঘুচলো মাহেলা জয়াবর্ধনে এবং কুমার সাঙ্গাকারার। মজার ব্যাপার, শ্রীলংকা টুর্নামেন্ট শুরু করেছিল দিনেশ চান্ডিমালের নেতৃত্বে। কিন্তু ফর্মহীনতায় দলে নিজের জায়গাই হারিয়ে ফেলেন তিনি। টুর্নামেন্টের মাঝপথে লংকানদের দায়িত্ব নেন লাসিথ মালিঙ্গা এবং তার হাতেই উঠে পঞ্চম টি২০ বিশ্বকাপের শিরোপা।
ফাইনালের স্কোরকার্ড:
ভারত: ১৩০/৪ (২০ ওভার) ( বিরাট কোহলি ৭৭, রোহিত শর্মা ২৯, যুবরাজ সিং ১১। রঙ্গনা হেরাথ ২৩/১, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ ২৫/১, নুয়ান কুলাসেকারা ২৯/১।
শ্রীলংকা: ১৩৪/৪ (১৭.৫ ওভার) ( কুমার সাঙ্গাকারা ৫২*, মাহেলা জয়াবর্ধনে ২৪, থিসারা পেরেরা ২৩*, তিলকরত্নে দিলশান ১৮। মোহিত শর্মা ১৮/১, সুরেশ রায়না ২৪/১, রবিচন্দ্র অশ্বিন ২৯/১, অমিত মিশ্র ৩২/১।
ফল: শ্রীলংকা ৬ উইকেটে জয়ী। ম্যান অব দ্য ম্যাচ: কুমার সাঙ্গাকারা। ম্যান অব দ্য টুর্ণামেন্ট: বিরাট কোহলি।
২০১৬ সাল – টি২০ বিশ্বকাপের ষষ্ঠ আসর বসে ভারতে ২০১৬ সালে।ফাইনালে উঠেছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও ইংল্যান্ড।শেষ ওভারে ব্রেথওয়েট এর দানবীয় ব্যাটিং এ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলো ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
২০২০ সাল – পোস্টপোন্ড করোনা মহামারীর জন্য ২০২০ সালের এপ্রিল মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত ঝুঁকি থাকার পরও টুর্নামেন্টটি সময়মত আয়োজনের পরিকল্পনা রয়েছে। কিন্তু তার পরের মাসে আইসিসির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান যে ২০২০ সালে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করা একটি বড় ঝুঁকির ব্যাপার। আইসিসি এটাও জানায় যে টুর্নামেন্টটি স্থগিতকরণের খবরসমূহ সত্য নয়, এবং স্থগিতকরণের বিকল্প খোঁজা হচ্ছে।
প্রাথমিকভাবে ২০২০ সালের ১০ জুন আইসিসির বৈঠক পর্যন্ত টুর্নামেন্টটি নিয়ে সিদ্ধান্তের ব্যাপারটি মুলতবি রাখা হয় এবং ২০২০ সালের জুলাই মাসে পরবর্তী ঘোষণা দেয়া হবে বলে জানানো হয়। ২০২০ সালের জুন মাসে ক্রিকেট অস্ট্রেলিয়ার চেয়ারম্যান আর্ল এডিংস জানান যে টুর্নামেন্টটি পরিকল্পনা অনুযায়ী অস্ট্রেলিয়ায় আয়োজিত হওয়ার সম্ভাবনা খুবই ক্ষীণ।
এডিংস এটাও বলেন যে অস্ট্রেলিয়া ২০২১ সালের অক্টোবর মাসে টুর্নামেন্টটি আয়োজন করতে পারে, এবং তার এক বছর পরে ২০২২ সালে ভারত পরবর্তী আসরের আয়োজক হতে পারে। আইসিসি ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে নিউজিল্যান্ডে আয়োজিত হতে যাওয়া নারী ক্রিকেট বিশ্বকাপের কাছাকাছি সময়ে টুর্নামেন্টটি আয়োজনের সম্ভাব্যতা নিয়েও চিন্তা করে।
টুর্নামেন্টটি আনুষ্ঠানিকভাবে স্থগিত হওয়ার এক মাস আগে অস্ট্রেলিয়ার পর্যটন মন্ত্রী সাইমন বার্মিংহাম ২০২১ সাল পর্যন্ত আন্তর্জাতিক যাতায়াতের জন্য অস্ট্রেলিয়ার সীমানা বন্ধ থাকবে বলে ঘোষণা দেন। আইসিসি নিশ্চিত করে যে অস্ট্রেলিয়া বা ভারতেই টুর্নামেন্টটি আয়োজিত হবে।
২০২০ সালের আগস্ট মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে ২০২১ সালের আসরটি আয়োজন করবে ভারত, এবং অস্ট্রেলিয়া আয়োজন করবে ২০২২ সালের আসরটি। একই মাসে আইসিসি নিশ্চিত করে যে শ্রীলঙ্কা ও সংযুক্ত আরব আমিরাতকে টুর্নামেন্টটির ব্যাকআপ ভেন্যু হিসেবে দেখা হচ্ছে।
২০২১ সালের এপ্রিল মাসে আইসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা জেফ অ্যালারডিস নিশ্চিত করেন যে মহামারির কারণে ভারত টুর্নামেন্টটি আয়োজনে ব্যর্থ হলে ব্যাকআপ পরিকল্পনা কাজে লাগানো হবে।একই মাসে ভারতীয় ক্রিকেট নিয়ন্ত্রণ বোর্ড (বিসিসিআই)-এর ধীরাজ মালহোত্রা নিশ্চিত করেন যে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে বিকল্প হিসেবে ব্যবহার করা হবে যদি ভারতে মহামারির অবস্থার আরও অবনতি হয়। বিসিসিআই ওমানকে সম্ভাব্য সহ-আয়োজক হিসেবে নেয়ার জন্য ওমানের সাথে আলোচনা চালায়।
২০২১ সালের ১ জুন আইসিসি বিসিসিআইকে ২০২১ সালের ২৮ জুন তারিখের মধ্যে টুর্নামেন্টটির আয়োজন নিয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেয়ার কথা জানায়। আইসিসি এটাও নিশ্চিত করে যে টুর্নামেন্টটি যেখানেই আয়োজিত হোক না কেন মূল আয়োজক হিসেবে বিসিসিআই-এর নামই থাকবে। পরবর্তীতে আইসিসি নিশ্চিত করে যে টুর্নামেন্টটি সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমানে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ওমান উভয়েরই এটি প্রথমবার কোনও বৈশ্বিক আইসিসি টুর্নামেন্ট আয়োজন, এবং কোনও টেস্টখেলুড়ে দেশের বাইরে ক্রিকেট বিশ্বকাপ আয়োজনও এবারই প্রথম।
টি ২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টটি শুরুর প্রায় দুই সপ্তাহ আগে ওমানের আল আমিরাতে টুর্নামেন্টের ভেন্যুর কিছু মাইল উত্তর দিয়ে ঘূর্ণিঝড় শাহিন তাণ্ডব চালায়। ওমান ক্রিকেটের চেয়ারম্যান পংকজ খিমজি ঘূর্ণিঝড়ের কারণে টুর্নামেন্টটি হাতছাড়া হয়ে যেতে পারত বলে মন্তব্য করেন।
টি ২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ দলসমূহ
২০১৮ সালের ৩১ ডিসেম্বরের হিসেবে স্বাগতিক ভারতসহ আইসিসি র্যাংকিং-এর সেরা নয়টি পূর্ণ সদস্য দল ২০২১ সালের টুর্নামেন্টে সরাসরি উত্তীর্ণ হয়। এ দশটি দলের মধ্যে র্যাংকিং হিসেবে সেরা আটটি দল সরাসরি টুর্নামেন্টের সুপার ১২ পর্বে উত্তীর্ণ হয়। শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশ সরাসরি সুপার ১২ পর্বে উত্তীর্ণ হতে ব্যর্থ হয়, এবং তাদেরকে টুর্নামেন্টের গ্রুপ পর্বে রাখা হয়। তাদের সাথে গ্রুপ পর্বে যুক্ত হয় ২০১৯ সালের বিশ্বকাপ বাছাইপর্ব থেকে উত্তীর্ণ হয়ে আসা ছয়টি দল। গ্রুপ পর্বের সেরা চারটি দল উত্তীর্ণ হবে সুপার ১২ পর্বের জন্য।
পাপুয়া নিউ গিনি বাছাইপর্বের গ্রুপ এতে বিজয়ী হয়ে প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের মূল পর্বে উঠে আসে। যেকোনও ফরম্যাটের বিশ্বকাপে এটিই পাপুয়া নিউ গিনির প্রথম অংশগ্রহণ। গ্রুপ বিতে বিজয়ী হয়ে আয়ারল্যান্ড দ্বিতীয় দল হিসেবে মূল পর্বে উঠে আসে।
প্রথম প্লেঅফ ম্যাচে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে আট উইকেটে পরাজিত করে নেদারল্যান্ডস মূল পর্বে উত্তীর্ণ হয়। ম্যাচটিতে সংযুক্ত আরব আমিরাত মাত্র ৮০ রান করতে সক্ষম হয়। দ্বিতীয় ম্যাচে ওমানকে ৫৪ রানে পরাজিত করে প্রথমবারের মত নামিবিয়া টি২০ বিশ্বকাপে খেলার যোগ্যতা লাভ করে। তৃতীয় প্লেঅফ ম্যাচে স্কটল্যান্ড স্বাগতিক সংযুক্ত আরব আমিরাতকে ৯০ রানে পরাজিত করে টি২০ বিশ্বকাপের মূল পর্বে নিজেদের স্থান নিশ্চিত করে। শেষ দল হিসেবে মূল পর্বে উত্তীর্ণ হয় ওমান, যখন তারা শেষ প্লেঅফ ম্যাচে হংকংকে ১২ রানে পরাজিত করে।
২০২১ সালের আগস্ট মাসে তালেবান আফগানিস্তানকে নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয়ায় টি ২০ ক্রিকেট বিশ্বকাপ টুর্নামেন্টটিতে আফগানিস্তান দলের অংশগ্রহণ নিয়ে সংশয় দেখা দেয়। আফগানিস্তান ক্রিকেট দলের মিডিয়া ব্যবস্থাপক হিকমত হাসান নিশ্চিত করেন যে দেশটিতে রাজনৈতিক অশান্তি থাকার পরও আফগানিস্তান টি২০ বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করবে। ২০২১ সালের ৬ অক্টোবর আফগানিস্তান দল টুর্নামেন্টের আগে একটি প্রশিক্ষণ ক্যাম্পের জন্য কাতারের দোহা গমনের উদ্দেশ্যে কাবুল ত্যাগ করে।
এবারের টি২০ বিশ্বকাপের সময়সূচী –
জুমবাংলা নিউজ সবার আগে পেতে Follow করুন জুমবাংলা গুগল নিউজ, জুমবাংলা টুইটার , জুমবাংলা ফেসবুক, জুমবাংলা টেলিগ্রাম এবং সাবস্ক্রাইব করুন জুমবাংলা ইউটিউব চ্যানেলে।